somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আন্তর্জাতিক ভাবে জামায়াত নিষিদ্ধ হোক ।

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতে জামায়াতে ইসলামীকে আগামী ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে । জামায়াতে ইসলামী জম্মু এবং কাশ্মীর শাখার কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ।
১৯৪১ সালে জন্ম নেয়া জামায়াতে ইসলামী ১৯৪৭ সালের পর দুই দেশে বিভক্ত হয়ে যায়, জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এবং জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান । ১৯৭১ সালের পর পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী দলটি ১৯৭৮ সালে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামে পুন:গঠিত হয় ।
এর মধ্যে ভারতে জামায়াতে ইসলামী হিন্দু থেকে কাশ্মীরের অংশটি কাশ্মীর নামে আলাদা সংগঠন করে জামায়াতে ইসলামী জম্মু এবং কাশ্মীর নামকরণ করে । তার পর থেকেই, কাশ্মীরে হিংসাত্মক কার্যক্রমে জামায়াতে ইসলামী জম্মু ও কাশ্মীর অংশটি সক্রিয় হয় উঠে । এই দলটি, হিজবুল মুজাহেদিন, জেইশে মুহাম্মাদ, হরকাতুল জিহাদ, লশকরে তৌয়বা, আল বদর নামের বিভিন্ন মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে সক্রিয় ভারত বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে থাকে ।
কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধীতা, স্কুল ছাত্রদের মগজ ধোলাই করে তাদের জঙ্গিবাদে অংশগ্রহণ করাতে থাকে । কাশ্মীরের বিভন্ন অঞ্চলে এদের ট্রেনিং দিয়ে বর্ডার ক্রস করে আনা হাতিয়ার তুলে দেয়া হয় হিন্দুস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে একশন নিতে ।
তারই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগে ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশ্য করে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এবং তাতে ৪০ জন ভারতীয় জওয়ানের প্রাণ চলে যায়, এটি ছিল সম্পূর্ণ জামায়াতে ইসলামী দ্বারা সৃষ্ট জঙ্গিদের আক্রমণ । আর এদের ইন্ধন দাতা হিসেবে লাইন অব কোন্ট্রোল পার থেকে আসা পাকিস্তানী সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তা ।
সব মিলিয়ে জামায়াতী ইসলামী দলটি হল ওয়াহাবী ধারার একটি দল যারা সৃষ্টি থেকে সকল স্থানে অশান্তি তৈরিতে ব্রত ।
পাকিস্তানে তারা ১০ হাজার কাদিয়ানী মুসলীমদের পুড়িয়ে হত্যা করার মধ্য দিয়ে তাদের স্বশস্ত্র রাজনীতির অভিশেক ঘটায় । বাংলাদেশে ১৯৭১ সাল থেকেই শুরু করে বাঙালী উপর অত্যাচার । মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামায়াতের যে ভূমিকা তা সবার জানা । বাংলাদেশ স্বাধীনের পর পর পলাতক রাজাকার আলবদর সেনারা মিয়ানমারের আরাকানে আশ্রয় নেয় । ঠিক তার পর পরই আরাকানে শুরু করে পাকিস্তানের সহায়তায় রহিঙ্গাদের প্রণোদনা দেয়া, মিয়ানমার বিরোধী কার্যক্রম এবং মিয়ানমারের সাথে স্বশস্ত্র যুদ্ধের উস্কানী । মিয়ানমারে শান্তি বিনষ্টের পেছনে যদি কারণও হাত থাকে তা হল এই জামায়াতে ইসলামীর । কারণ, পাকিস্তানের ইরাদা হল তারা বাংলাদেশের তিন পার্বত্য অঞ্চল, মিয়ানমারের আরাকান এবং ভারতের কিছু পাহাড়ী অঞ্চল নিয়ে আলাদা রাস্ট্র গঠন করা । অপর দিকে, বাংলাদেশের রাস্ট্র ক্ষমতায় একক ভাবে আসীন হয়ে রাস্ট্রকে মিনি পাকিস্তান বানানো এবং ভারত থেকে কাস্মীরকে আলাদা করে পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেয়া বা আলাদা রাস্ট্র গঠন ।
জামায়াতে ইসলামী আবু আলা মওদুদীর দর্শনে এই জামায়াতে ইসলামী শুধু মাত্র যে এই ভারত উপমহাদেশেই আছে তা কিন্তু নয় । বিশ্বের বহু দেশে আলাদা নামে গঠিত হয়েছে এই দলটি, দর্শন তাদের একটাই ''মওদুদীবাদ'' ।
বাংলাদেশে এমন কোন অপকর্ম নেই যা জামায়াতে ইসলামী দ্বারা সংঘটিত হয়নি । বাংলাদেশেও যতগুলো জঙ্গি সংগঠন জন্ম নিয়েছে , তাদের মাতা হিসেবে জামায়াতের ভূমিকা পরিলক্ষিত । এমন কি দেশে কোন স্থানে কোন জঙ্গি ধরা পড়লে তার কাছ থেকে মওদুদী গোলাম আজমের বই আর সাইদীর ওয়াজের ক্যাসেট মিলেছে ।
মিসরে ইসলামী ব্রাদারহুড নামের দলটিও মওদুদিবাদেরই দর্শনে সৃষ্টি , যারা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল এবং মিসরে অশান্তি স্থাপনের নজির দেখিয়েছে । শেষমেষ তাদের নেতা রাস্ট্রপতি থেকে সরাসরি মৃত্যুদন্ড সাজা পেয়ে জেলখানায় বন্দী হয়েছে ।
'জামায়াতে ইসলামী' নামক দলটি পৃথিবীব্যাপী অশান্তি স্থাপনের জন্য জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে দেখা দিয়েছে । আল-কায়েদার মত এই দলটি বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন । এবং আন্তর্জাতীক ভাবে এই দলের সকল নেতাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গণগ্রেফতার ও সাজার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫০
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×