কিছু লোক শেয়ার দিয়েছেন মার্কিনী গবেষকবৃন্দ নাকি বলেছেন বিশ্বে প্রথম মহামারীতে হোম কোয়ারিন্টিনের কথা রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন।
আমি ত দেখি মহামারী ও হোম কোয়ারিন্টিনের কথা বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টেই উল্লেখ আছে।
মোসি যখন মিসরে ফারাওকে বনী ইসরায়েলিদের আজাদি চাইলেন তখন ফারাও মানেনি, আর এতেই ১০ টি মহামারী দেখা দিয়েছিলো। এই ঘটনাগুলি পরবর্তিতে পবিত্র কোরআন শরিফেও স্থান পেয়েছে।
এই মহামারী তে মুসার অনুসারীরা মিসর ত্যাগ করেনি বরং হোম কোয়ারেন্টিনেই ছিলেন।
প্রাসাদে প্রাসাদে ব্যাঙ, মাঠে পঙ্গপাল, বালু থেকে উকুন, পানি রক্তে পরিণত হওয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি বাড়ির বড় সন্তানের মৃত্যু।
এসময় ঈশ্বর মোসিকে বলেছিলেন, তোমার জাতির লোকদের বলো তারা যেন গৃহ থেকে বের না হয়, আর প্রতিটি বাড়ির সামনে দরজাতে কুরবানির রক্ত লেপে দেয়। এতে মহামারি সেই গৃহে প্রবেশ করবেনা। ঘটনা তাই হল, মিসরীয় সকলের বাড়ির প্রথম সন্তান মারাগেলো আর ইসরাইলী সকলেই বেঁচে রইলো।
তাহলে রসুলুল্লাহ (সা) এর চাইতে অনেক আগেই মহামারী বিষয়ে ধারণা ও হোম কোয়ারেন্টিন কি তা স্পষ্টত আহলে কিতাবে উল্লেখ আছে।
তাহলে এই মিথ্যাচার করে কিছু লোকের লাভ কি? রসুলুল্লাহ (সা) হাদিসে যা বলেছেন যা কোরআনে আছে তা পালনের জন্য যথেষ্ট, মিথ্যাচার করে ধর্ম প্রচার হয়না।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪