কুমির খেকো কাছিম :
হিংস্র এই কাছিমগুলোর মূল আবাসভূমি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাংশ । মাংসাশী এই কাছিম সবধরণের প্রাণীর জন্য সমান বিপদজনক । তবে কুমিরের যম হিসেবেই সমাধিক পরিচিত ।
টাইগার শার্ক :
টাইগার শার্ক প্রজাতির হাঙর , শিকারি হাঙরের মাঝে আকার-আকৃতিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম । মানুষখেকো হিসেবে এর তেমন পরিচয় না থাকলেও , এর বিশেষত্ব শিকারের বৈচিত্রে। এর শিকারের তালিকায় যত বেশি প্রাণী আছে , অন্য কোন হাঙর প্রজাতি তার ধারে কাছেও নেই
জলহস্তী:
বলা হয়ে থাকে সবচেয়ে সুখী জলহস্তীও এত বেশি কলহপ্রবণ যে নিজেদের মাঝে যে কোন সময় রক্তারক্তি করে বসে। আফ্রিকায় প্রতিবছর হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে যে বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রাণ হারায় , সে তালিকায় জলহস্তী শীর্ষে ।
লোনা পানির কুমির :
উভচর প্রাণীদের মাঝে এই প্রজাতির কুমির আকারে সবচাইতে বড় । প্রতিটি কুমিরের একটি নির্দিষ্ট এলাকা থাকে । এলাকায় অনুপ্রবেশকারি যেকোন প্রাণী বা মানুষকে নিমিষে ঘায়েল করে ফেলতে এই কুমির দারুণ পারদর্শী।
ব্ল্যাক মামবা :
কেবল সাপের মাঝেই নয় , ব্ল্যাক মামবা হল পৃথিবীর সবচাইতে বিষাক্ত প্রাণী। এর বিশেষত্ব এর নিখুঁত শিকারে । ব্ল্যাক মামবার নিশানায় পরিণত হওয়ার পর রক্ষা পাওয়া যে কোন প্রাণীর পক্ষেই প্রায় দুঃসাধ্য । বুদ্ধিমত্তার জোরে এই সাপ , সাপুড়েদের কাছেও মূর্তিমান আতঙ্ক ।
হানি ব্যাজার :
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে , উইজেল (বাঘডাশ/বনবিড়াল) প্রজাতির এই প্রাণীটিকে সবচেয়ে সাহসী এবং দুর্ধর্ষ প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । আফ্রিকা ছাড়াও মাংসাশী এ প্রাণীটির দেখা মেলে পাকিস্তান , ভারত আর ইরানের বেলুচিস্তান প্রদেশে ।
করাত দন্তী ভাইপার সাপ :
অন্য সব বিষাক্ত সাপের চাইতে এই গোখরো সাপের আক্রমনে অনেক বেশি মানুষ মারা যায় । এর অন্যতম কারণ হল মানববসতির আশপাশেই এদের আনাগোনা বেশি । ভারত এদের মূল শিকারক্ষেত্র
বর্শা-ফরিং চিংড়ি :
শিকারি ফরিংয়ের সাথে আকৃতিগত মিল থাকায় এই চিংড়ির এমন নামকরণ । এর ধারালো শুঁড়ের মাথায় খাঁজকাটা শীর্ষভাগের সাহায্যে শিকার বিঁধিয়ে বধ করতে এর জুড়ি নেই ।
পেরেগ্রিন বাজপাখি :
৩২২ কি.মি গতিতে উড়তে সক্ষম এই বাজপাখির দৃষ্টি প্রচন্ড তীক্ষণ । চোখের নিমিষে মধ্য আকাশে উড়ন্ত পাখি ছোঁ মেরে তুলে নেয়া এর নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ।
পেইন্টেড হান্টিং ডগস:
হিংস্র এই বন্য কুকুর প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হয়েও রক্ষা পাওয়ার ঘটনা নেই বললেই চলে। শিকারকে নিশ্চিতভাবে ঘায়েল করে ফেলার শক্তির কারণে এরা অনেক প্রাণীদের জন্য মৃত্যুদূতের নামান্তর দলবদ্ধতা আর হিংস্রতা এদের মূল শক্তি । জাম্বিয়া , কেনিয়া , জিম্বাবুয়ে এবং আফ্রিকার দক্ষিণাংশের অন্যান্য দেশে এদের দেখা মেলে ।
সূত্র: ব্রিটিশ ব্রডকাসটিং কর্পোরেশন এনভায়রনমেন্ট , উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:০৪