সম্প্রতি বাংলাদেশে একজন স্বাপ্নিক পুরুষের পদচারনায় কেঁপে উঠেছে মিথ্যাচারের বেসাতিদের ভিত। উনি যাতে এদেশের রাজনীতিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সকল অপচেষ্টা ওই হীনচক্রটি করেছে ইতিপূর্বে। বিভিন্ন ঘটনায় উনার নাম জড়িয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে মাঠে ঘাটে পত্রিকায় টিভিতে। কিন্তু হালে পানি পায়নি।
কয়দিন আগে আমি একটি স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছিলাম যে, হেজাবি বাহিনী তাঁদের হাওয়া ভবনের তথাকথিত জঙ্গীবাদের হোতা ও বাওয়া রাজপুত্রের সকল কুকর্মকে জায়েজ করতে আরেকজন মানুষকে বিতর্কিত করা অপরিহার্য। এছাড়া তাঁদের আর করনীয় কিছু নাই। সেজন্য তাঁরা মরিয়া হয়ে চেষ্টাও করেছে। কখনো বিয়ে-স্ত্রী সংক্রান্ত বিষয়ে আবার কখনো অন্যকোন ইস্যুতে জড়ানোর অপচেষ্টা করেছে ক্লান্তিহীনভাবে। তাহাঁরাও শয়নে স্বপনে দিবানিশি দুঃস্বপ্ন দেখেছে যে, তাঁরা সফল হবেই! কিন্তু কিছুতেই তাঁহারা সফলতার মুখ দেখেনি। আহা আফসোস!
অবশেষে এই সেদিন যখন স্ত্রী-কন্যা সমেত দেশে এসে পৌঁছালেন। সবার মুখে কী চুনকালি লাগেনি? নিশ্চয়ই সেই দুঃস্বপ্ন দেখেনেওয়ালীরা খুব দুঃখ পেয়েছে! তাঁদের সকল আশায় গুঢ়েবালি!
এরও আগে কত চেষ্টা করেছে। ফেসবুক, ব্লগ, টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছে। আমরা জবাব দিয়েছি যথাসাধ্য। আম্রিকার পত্রিকার লিংক, লন্ডনের পত্রিকার লিংক, কানাডার পত্রিকার লিংক ইত্যাদি দিয়েছে। পরে দেখা গেছে সেগুলো তাঁদের নিজেদের বানানো ওয়েবপেইজে আপলোড করা মিথ্যাচারের দলিল! আর সিআইএ-আইএসআই এর গুপ্তচর সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর মিথ্যাচার তো সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে প্রায়শই। এর সঙ্গী ইউলিয়াম গোমেজ নামীয় কাপুরুষের উৎপাত কয়েকটি বছর জুড়েই আমরা অনলাইনে সহ্য করে আসছি। আর মিথ্যাচারের নিপুন শিল্পী মাহমুদুর রহমান সাহেব মিথ্যাচারের কল্যানে এখন লালঘরে বাস করছে। এদের মিথ্যাচারের কবল থেকে পবিত্র ইসলাম ধর্মও রেহাই পায়নি।
উপরোক্ত মিথ্যাবাদী কলম সৈনিকের ফলস্বরূপ অনলাইনে সকল মিথ্যার প্রতিনিধিত্ব করছে 'বাঁশের কেল্লা' নামীয় পেইজটি। যেখানে কুখ্যাত রাজাক সাঈদীকে চাঁদেও দেখানো হয়েছে। তাঁদের এহেন অপপ্রচারের হাতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনও রেহাই পায়নি।
আর হ্যাঁ, এই সকল কিছুর মাঠে প্রতিনিধিত্ব করেছে, মঞ্চে বয়ান ফরমাইছে আইনী মৌলভী মওদুদ-মির্জা গোয়েবলস গং। গোয়েবলসীয় থিউরি তাঁরা অনেক বিষয়ে সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারলেও একজন মানুষ সম্পর্কে পারেনি। তাঁরা প্রায় সফল হতে চলেছিল বলে স্বপ্নও দেখেছিল। কিন্তু সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যখন স্ত্রী-কন্যা নিয়ে আপন আঙিনায় পা রাখলেন তখন তাঁদের মাথায় ভাঁজ পড়ল।
আর সেই ভাঁজের তেজে তাঁরা এই স্বপ্নবান মানুষটির একটি বক্তৃতাকে কেন্দ্র করে ম্যাতকারে নামল। ভুল অপব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে ভেবেছিল এই নম্র ভদ্র মানুষটি সম্ভবত পাততাড়ি ঘুঁটিয়ে চাকুরীস্থলে দ্রুতই চলে যাবে। কিন্তু না। এবারেও তাঁদের আশা অপূর্ণই রইল। উল্টো জবাবই শুধু নয় অসীম সাহসের সহিত ব্যক্তিগত মতবিনিময়ের পাশাপাশি রাজনীতি-অর্থনীতি-সংস্কৃতি-তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি নানা বিষয়ে সভা-সেমিনার-সিম্পোজিয়াম সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে এমনকি ফেসবুকে ব্যক্তিগত পেজ খুলে মতামত দিয়ে যাচ্ছেন, তরুনদের নানান প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন, টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন অবিরত। ইতোমধ্যে দেশের সকল শ্রেনীপেশার মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা প্রশ্নাতীতভাবে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এমতাবস্থায় একটি গোষ্ঠী কোনোভাবেই নিশ্চুপ থাকতে পারছে না। যখন তাঁদের অস্তিত্ব পুনরায় হুমকির সম্মুখীন। এখন করবেটা কী? নিশ্চয়ই অতীতের মতো কোন পথ বেছে নিবে। মাহমুদুর রহমান জেলখানায় বন্দী থাকলেও সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বা ইউলিয়াম গোমেজের মতো মিথ্যাচারের নিপুন কারিগরগন বাইরেই আছে। তাঁরা গল্প সাজাবে। ফেসবুক ব্লগে ছাড়বে। ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে অনলাইন পত্রিকা বলে বাজারে ছড়িয়ে দেবে। যাতে করে এই স্বপ্নবান মানুষটি অন্য কোন ভালো কাজে, সৃষ্টিশীল কাজে বেশি সময় দিতে না পারেন, বেশি মনযোগী হতে না পারেন।
নানান কায়দায় উনাকে ব্যস্ত রাখা হবে শুধু ওই হীন চক্রটির আজেবাজে অপপ্রচারের জবাব দেয়াতে। সেজন্য অনেকে হয়ত ভুয়া আইডি খুলেও প্রতিনিয়ত মিথ্যা গল্প সাজাবে, কুৎসা রটাবে।
সৃষ্টিশীল দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে এই সৎ মানুষটির মুখ থেকে বিতর্কিত বক্তব্য বের করে আনা ও তাঁদের ন্যায় এবংবিধ নোংরা কথা চালাচালির খেলায় ব্যস্ত রাখার কৌশলই এখন রাজাকারের রক্ষক ও জঙ্গীবাদের হোতাদের একমাত্র কাজ।
তরুন প্রজন্ম আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। সেই স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করতে স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্লাবগুলো মরিয়া হয়ে গেছে একথা অস্বীকার করা উপায় নেই। তাই ছলে-বলে-কলে-কৌশলে এহেন নানান কুট-প্রক্রিয়ায় তাঁদের একমাত্র কাজ হলো এখন এই স্বপ্ন দেখাতে পারা মানুষটিকে বিতর্কিত করা এবং সস্তা-নগণ্য-অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত রাখা।
কিন্তু উনারা ভুলে গেছে যে, এখন আর 'সেকেলে' এবং 'এনালগ' প্রক্রিয়ায় দেশ চলেনা, মানুষও না। 'জ' বললে যেমন জয়বাংলার পাশাপাশি 'জয়' বুঝে তেমনি 'ক' বললে 'কাকের' পাশাপাশি বিদেশে টাকা পাচারকারীও বুঝে এবং 'ত' বললে 'তাল' এর সঙ্গে হাওয়া ভবনের তথাকথিত রাজপুত্রকেও বুঝে। মানুষকে অত বোকা ভাবার কোন কারন নাই।
কাজেই সাধু সাবধান!!!!
এই লেখাটি ইউলিয়াম গোমেজ নামীয় একজন কুমানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও উনার পরিবারকে হত্যার হুমকি দানের জন্য শাস্তি দাবী করে শেষ করছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




