সামুতে কোন পোষ্ট হিট হইতে হইলে নিক হিট হইতে হয়। কিন্তু নিক হিট হইতে হইলে কি করতে হয় সেইটা কেউ বলে নাই। তাই নিজের নামই শিরোনাম দিলাম।
গভীর একটা ষড়যন্ত্র বানায়ছি। সে যন্ত্র দিয়া এই পোষ্ট হিট করাইতে পারি কিনা দেখতে মন চায়।
সামুতে সাধারণত যে ধরনের পোষ্ট গুলো হিট হয়ঃ
১. আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক
২. আওয়ামী লীগ-বি এন পি বিতর্ক
৩. ভারত-পাকিস্তান বিতর্ক
৪. গবেষনাধর্মী পোষ্ট
৫. ১৮+ পোষ্ট
কোনটা নিয়া লিখব সেইটা নিয়া গবেষনা করতে করতে চিন্তা করলাম। আমার এই উর্বর মস্তিস্কে সব রান্নার মসলা আছে। তাই সবগুলাই রান্ধুম।
আমি বিতর্ক পছন্দ করি কিন্তু ঝগড়া পছন্দ করি না। তাই আগে বিতর্ক নামের যে কুৎসিত খেলা গুলো চলছে চলেন আগে সেগুলো থামাই।
১. আস্তিক নাস্তিকঃ
আস্তিক মানে কি? উত্তর বিশ্বাসী। আর নাস্তিক উত্তর অবিশ্বাসী। ব্যাস হয়ে গেল।
কি হল? রান্না হল। কিভাবে? আসেন ব্যাখ্যা করি। যারা বিশ্বাসী তাদের কাজ বিশ্বাস করা। তারা সবকিছুতে বিশ্বাস করে। তাদেরকে যদি বলা হয় ঐ তেতুলটা মিষ্টি। তারা না খেয়েই বলবে হ্যা মিষ্টি।
আর যারা অবিশ্বাসী তাদের কাজ অবিশ্বাস করা। তো তাদেরকে যতক্ষন না মাথা ফাটিয়ে দেখানো হবে যে দেখ তোর মাথায় রক্ত আছে। ততক্ষন তারা বিশ্বাস করবে না।
বিশ্বাসীরা আমাকে বলেন আপনারা কি বিশ্বাস করেন? যদি বলেন আমরা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করি। ধর্মকে বিশ্বাস করি। আমি বলব তো? সকালের নামায পড়েছেন? পূজো সেরে এসেছেন? আস্তিক দের ৮০ ভাগই বলবে না(যদি তারা সত্য বলে আর কি) তাহলে? আপনি আপনার ধর্মের প্রথম নিয়মটাই মানছেন না। আবার এসেছেন নাস্তিকদের পিঠিয়ে আস্তিক বানাতে। আর যারা বলবে আমি ৫ অয়াক্ত নামায পড়ি, কোরআন পড়ি, কিংবা প্রতিদিন সন্ধ্যায় পূজো করি। তাহলে আমি বলব, অসাধারণ।
তো আপনি কেন এই আস্তিক- নাস্তিক যুদ্বে মেতেছেন?
আমি আমার ধর্মের হয়ে লড়াই করছি।
কিভাবে?
ও ধর্মকে বিশ্বাস করে না। ঊল্টা আমার ধর্ম নিয়ে উলটা পালটা কথা বলে। আমার একটা নৈতিক দায়িত্ব আছে, তাঁকে থামানোর।
ওহ হো, তাই নাকি? ভালো তো। তা এই পর্যন্ত কয়জনকে থামাতে পেরেছেন?চুপ কেন? শোনেন মশাই, আপনি মুসলমান হলে আপনাকে বলি, আল্লাহ কাফেরদের অন্তরে মোহড় মেরে দিয়েছেন। তাদেরকে আপনি যতই প্রমান দেখান তারা তা দেখবে না। তাহলে শুধু শুধু তাঁকে বুঝানোর বৃথা চেষ্টার দরকার কি? উল্টো আপনার বোকামী দেখে সে আরো দৃঢ় প্রত্যয়ী হবে যে, আসলেই সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ নাই। সেটা দেখে আর কয়েকটা বেকুবও চিল্লান দিবে, আমিও নাস্তিক। তখন বলেন তো, আপনি ধর্মের পক্ষে লড়াই করলেন নাকি বিরুদ্বে?
এবার আসি নাস্তিকদের কাছে। আপনারা যে বিজ্ঞান ছাড়া কিছুই বুঝেন না। সেই বিজ্ঞান কি স্বয়ং স্বম্পূর্ণ? আজকে একজন এই নিয়ম বানায় তো, কালকে আরেকজন সেই নিয়মকে অর্থহীন বলে দাবি করে।
আর আপনি নিজের চোখে সৃষ্টিকর্তাকে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না?
আজব! আপনি যাকে বিশ্বাস করেন না তাঁকে কিভাবে দেখবেন। সৃষ্টিকর্তার কি আর কোন কাজ নাই। আপনাকে এসে বলবে যে আমি আছি, আমি আছি।
আমাদের মস্তিস্ক যতটা শক্তিশালী ঠিক ততটাই দূর্বল। এটা খালি মিল খুজে। যে যেই জিনিসের কোন মিল পাই না। সে জিনিসের অস্তিত্ত্ব সে স্বীকার করতে চাই না। বর্ষাকালে পানিতে আগুন ধরার মানে আপনার কাছে একরকম, গ্রামের ঐ পিচ্ছি ছেলেটার কাছে আরেকরকম। সৃষ্টিকর্তা তো একজনই তার মিল আপনি কোথায় পাবেন?
আর আপনার পকেটে অনেক যুক্তি আছে? সেগুলো দয়া করে আপনার পকেটেই রাখুন। অন্য আরেকজনকে নাস্তিক বানিয়ে আপনার লাভ কি?
তো আজকে থেকে আমি নাস্তিক- আমি আস্তিক এই চিল্লা চিল্লি বন্ধ কইরা দেন। কোন লাভ নাই।
২. আওয়ামী লীগ-বি এন পি বিতর্ক
এই দেশে খালি এই দুইটা দলেই আছে। এরাই থাকবে। ৫ বছর এর পেট ভরবে তো পরের ৫ বছর ওর। মাঝখান থেকে কিছু বেকুব প্রাণ হারাবে, আমি আওয়ামী লীগ করি আমি বি.এন.পি করি চিল্লাতে চিল্লাতে। ভাইরে ওদের কাজ ওরা করছে। আপনিও আপনার কাজ করেন। নেত্রী বলেছেন বলে আপনার জান দিলে যে আপনার পরিবারকে অনিয়শ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয়ার কি কোন অর্থ হয়? দেশের জন্য যদি সত্যিই কিছু করতে চান আগে নিজের পরিবারের জন্য করুন। আপনার পাশের প্রতিবেশীটি বেচে আছে কিনা দেখে আসুন।
৩. ভারত-পাকিস্তান বিতর্ক
ছোট্ট হলেও পৃথিবীতে বাংলাদেশ নামের একটি দেশ আছেরে ভাই। যেই দেশের একটা মানচিত্রের জন্য, একটা পতাকার জন্য, সে পতাকার স্বাধীনতার জন্য, মুখের ভাষার জন্য যুগ যুগ ধরে আমাদের পূর্বসুরিরা অকাতরে প্রাণ, সম্ভ্রম দিয়ে এসেছে। গর্ব করার মত আমাদের যা আছে। তা পৃথিবীর আর কোন দেশের কোন কালেই ছিল না। এই দেশের প্রতিটা অস্তিত্ত্ব আমরা অর্জন করে নিয়েছি। শুধু সমালোচনা একটা দেশকে কখনই এগিয়ে নিতে পারে না। ছোট্ট একটা দেশের পাশে এত বড় দেশ থাকলে সেটা ডোমিনেট করতে চাইবেই। তাই বলে তাদের পা চুষব। সে মানসিকতা এই দেশের মানুষের কোন কালেই ছিল না।
হয় ভারত না হয় পাকিস্তান। কেন? হিন্দুদের ভারত সাপোর্ট করা আর মুসলমানদের পাকিস্তান সাপোর্ট করা যেন ধর্মের অংশবিশেষ হয়ে পড়েছে। কেনরে ভাই? বাংলাদেশ কি দেশ না। ভারত এর কেউ ভারত ছাড়া অন্য টিম সাপোর্ট করবে, আপনি স্বপ্নেও সেটা বিশ্বাস করবেন? আমরা খালি সমালোচনা করতে চাই। পাশের বাসার একটা ছেলে ব্যাট নিয়ে মাঠে গেলে আমরা টিটকারি মারি," হু! আশারফুল হবে।" নিজের ছেলে ব্যাটা কেনার কথা বললে ব্যাট কিনে সে ব্যাট তার পিটেয় ভাঙ্গেন।
আরে ভাই উৎসাহ দেন। স্বপ্ন দেখেন। জানেন তো মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আজকে আপনি স্বপ্ন দেখা শুরু করলে আপনি না পারেন একদিন আপনার ছেলেই, আপনার ভাইই সেটা সত্য করবে।
আপনি যদি সত্যিকারের বাংলাদেশ প্রেমী হন। আপনি পৃথিবী আর যে দেশকেই সমর্থন করেন না কেন ভারত-পাকিস্থান কে কখনই নয়। কেন? আমার চেয়ে আপনারাই ভাল জানেন?
৪. গবেষনাধর্মী পোষ্ট
একটা মজার গবেষনা করলাম, বিদ্যালয়ের শিক্ষরা হয় বাচ্চা বাচ্চা টাইপের মানে হাসিখুশি হয় না হয় খুবই রাগী হয়। এরা সামাজিক অনুষ্টান তেমন একটা জমাতে পারে না। খুব বেশি কথা বলে। যার বেশির ভাগের প্রতি শ্রোতার কোন আগ্রহ থাকে না।
মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা হয় ফাজিল না হয় চরম বিদ্যান। এরা তাদের ঘন্ডির বাইরেও জনপ্রিয়তা পায়। পার্টি জমাতেও বেশ দক্ষ। সেটা যেমনই হোক।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা হয় ভীতু না হয় ক্যাডার টাইপের। এদের পার্টি জমাতে হয় না। কেননা এদের জন্যেই পার্টি।
৫. ১৮+ পোষ্ট
অনেক বড় হয়ে গেছে পোষ্ট তাই শুধু একটাঃ
এক ভারতীয় বৃদ্ব গেছে তাদের পন্ডিত মশায়ের কাছে।
- গুরু আমি তো মহা পাপ করে ফেলেছি। ভগবান কি আমায় ক্ষমা করবেন?
- ভগবান বড় দয়াময় তিনি সবাইকে ক্ষমা করবেন। তা হে বৎস কি করেছ তুমি।
- বাংলাদেশ-পাকিস্তেনের যুদ্বের সময় এক বাংলাদেশী কিশোরীকে আশ্রয় দিয়েছিলাম।
- এতে অপরাধের কি হল বৎস। তুমি আশ্রঅয় না দিলে তার ক্ষতি অবিসম্ভাবী ছিল। তুমি তো মহাপুন্যের কাজ করেছ।
- কিন্তু বাবা, আমি তাঁকে বলেছি যে আমি যে তোমাকে আশ্রয় দিয়েছি তার বিনিময়ে আমাকে সন্তুষ্ট করতে হবে। আমি যখন, যেভাবে চাইব।
- হুমম, তুমি তাঁকে আশ্রয় না দিলে তার মৃতুই হতে পারত। আর, তোমার কাছে আছে জানলে। পাকিস্তানিরা তোমারও ক্ষতি করতে পারত। ভগবান বড়ই ক্ষমাশীল তিনি নিশ্চয়ই তোমার পাপ-পুন্যের সঠিক বিচার করবেন।
খুশিতে ঘদঘদ বৃদ্ব তখন বলল আমি তাহলে ঐ মহিলাকে বলে দিতে পারি যে যুদ্ব শেষ হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




