somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মৃতির ঘ্রাণ

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চারদিকে গাড়ির হর্ন, অসঙ্খ্য মানুষের ভাবলেশহীন ছুটে চলা, এরই মাঝে দাড়িয়ে মাঝে মাঝে থমকে যাই। সবকিছু থেকেও বুকের ভেতর কোথায় যেন হাহাকার করছে বিশাল এক শূন্যতা।
চৈত্রের আকাশে কোন নি:সঙ্গ চিল যেমন পাক খায় তেমনি ইট পাথরের শহরে র অলি গলিতে অগুনিত মানুষের মাঝে আমিও যেন পাক খাচ্ছি একাকি। সেই চিল যেমন শিকারের আশায় ঘুরছে আমিও তেমনি কোন এক অজানা সুখের পিছে ছুটছি অবিরাম।
ক্লান্তিতে যখন চোখবুজে আসে তখন প্রতিদিনই ফিরে যাই সেই শৈশব কৈশরের ফেলে আসা ধুসর দিন গুলিতে। ছুটে বেড়াতে ইচ্ছে করে সুতো কাটা ঘুড়ির পিছে, শরীর ডুবিয়ে বসে থাকতে
ইচ্ছে করে শান্ত কোন দিঘির জলে বা নতুন পানিতে ভরে ওঠা বিলে।
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই দিন, সপ্তাহ, মাস বা বছর কেটে যায়। ফিরে পাওয়ার আশাগুলো ও কেমন ফিকে হতে হতে মিলিয়ে যেতে বসেছে। এর মাঝেই হঠাৎ সেদিন কোন এক কাজের জন্য যেতে হল এমন এক স্মৃতি ঘেরা যায়গায়।
সোনাতলা পিটি আই। প্রাথমিক শিক্ষক দের প্রশিক্ষণের ইন্সটিটিউট। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিলের উপর ছায়া ঘেরা একটি শান্ত ক্যাম্পাস। এর সাথেই আমার বাড়ি হওয়ায় শৈশব কৈশর সবই কেটেছে এর মাঠে। এর বড় বড় শতবর্ষী গাছ গুলোতে লুকিয়ে ছিল সেসময়ে র ভয়, অনুভূতি আর রহস্য।
সেদিন যখন এর গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলাম তখনই কোথা থেকে যেন এক
দমক জমে থাকা ঘ্রাণ আমার নাকে এসে লাগল। চোখ বুজে ফেলেছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। অনুভব করছিলাম হৃদয়ের সমস্ত অনুভূতি দিয়ে। চোখ মেলে দেখছিলাম বসন্তের প্রথম হাওয়ায় ঝরে পরা শুকনো পাতা গুলো ঠিক আগের মতই আছে। আর সেই পুরনো ঘ্রাণ।
যে ঘ্রাণের সাথে মিশে আছে ফেলে আসা সোনালী শৈশব। ইচ্ছে করেছিল সেই ঘাসের মাঠে শরীর এলিয়ে দিয়ে চেয়ে থাকি আকাশের দিকে। সমস্ত অস্ত্বিত্ব দিয়ে আমি অনুভব করতে চেয়েছি আমার শিকর কে। পুরোন দালানের কোনায় কোনায় জমে থাকা পুরোন ঘ্রাণ যেন স্মৃতি হয়ে জমে আছে প্রতিটি ধুলোর পরতে পরতে।
সুখ কি তাহলে এই? বুক ভরে স্মৃতির
ঘ্রাণ নেয়া?
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×