এক, আদিতে পহেলা বৈশাখ 'সর্বসাধারনের উৎসব' থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে এর নিয়ন্ত্রন চলে গেছে 'কর্পোরেট ক্লাব' এবং 'কর্পোরেট মালিকানাধীন মিডিয়া' র হাতে -যারা ভোগবাদী ব্যবস্হার এজেন্ট হিসেবে নারীকে পন্য বানাতে চায়, যৌনতাকে উস্কে দেয়। প্রমান চান? আমি আপনি ফেইসবুকে নারীর অবমাননায় যতটুকু সোচ্চার, তারা ততটুকুই উদাস। কারন এই যৌন-রাক্ষসগুলো যে তাদেরই সৃষ্টি!
দুই, যে দেশে দলই সরকার, দলই রাষ্ট্র, সেখানে জনগনতো শুধুই 'সংখ্যা' -থার্ড ক্লাস। অতএব প্রজাকূলের শরীরের উপর শাসকদলের ছাত্র সদস্যদের অধিকার থাকবেই- এবং সেই অধিকার বলেই তারা কখনো পুরুষদের ঠ্যাঙাবে, কখনো নারীদের বস্ত্র্রহরন করবে। একই দিনে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবরত নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর ছাত্রসংগঠনের সেই সত্যই প্রতিষ্ঠা করল আবার।
তিন,ঘটনার কয়েকগজ দুরে থেকেও পুলিশ সদস্যরা শুধু 'মজা'ই নিলেন; এবং মজার অংশ হিসেবে পরবর্তিতে আবার যৌন-রাক্ষসদের বহাল তবিয়তে ছেড়েও দিলেন ;কিন্তু জনগনকে তেমন আশ্চর্য হতে দেখেনি। যে রাষ্ট্র পুলিশকে 'ব্ল্যাংক চেক' দেয় মানুষ খুন - গুমের জন্য, গ্রেফতার বানিজ্যের জন্য, ধর্ষনের জন্য, সেখানে পুলিশ যে নিজেই বস্ত্রহরনে যোগ দেয়নি-এটাইতো বিষ্ময়ের ব্যাপার।
চার, প্রক্টরের কাছে যখন নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানানো হচ্ছিল তিনি তখন 'ভিডিও গেমস্' এ মত্ত। পরিহাস হচ্ছে, এই দলকানা চামারগুলোকেই হয়ত কোন একদিন দেখতে পাবেন নারী অধিকার বিষয়ক সেমিনারে ফাটানো বক্তৃতা দিতে!