somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বলিউডের আধুনিকতা এবং আমরা

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশের অনেক অনেক ছেলে-মেয়ে বলিউডের ভালো রকমের অনুসারী।
অনুসারী বলতে সেখানে যা যা হচ্ছে সেটাকে একটা ট্রেন্ড হিসেবে গ্রহণ করাটা তাদের এক রকমের ফ্যাণ্টাসি!
এটার একটা প্রমাণ হিসেবে দেখাতে পারি আমাদের ঈদের বাজারগুলোকে।
বিগত বছরগুলোতে যে এই ট্রেন্ড চালু হয়েছে সেটা বলা যাবে না। ভারতীয় পণ্যের মার্কেট আমাদের মাঝে প্রবেশ করেছে আরো আগেই। যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম স্টারপ্লাসে আমার চাচী সিরিয়াল দেখতো। তখন উনার কাছে শুনেছিলাম তিনি নাকি রোজার ঈদে কিনেছেন "পার্বতী" শাড়ী। আর এরপরের কুরবানীর ঈদের জন্যে উনার প্ল্যান হচ্ছে "পল্লবী" শাড়ী কেনা।
যারা কিছুটা জানেন তাদের বলার আর প্রয়োজন নেই যে পার্বতী এবং পল্লবী হচ্ছে তখনকার এক জনপ্রিয় হিন্দি সিরিয়ালের মেইন ক্যারেক্টার এবং ভিলেন ক্যারেক্টারের নাম।

এই সিরিয়ালের পাশাপাশি বলিউডের নামি-দামী ব্যবসা সফল ছবিগুলোএর নায়িকার পরিহিত কাপড় হয়ে উঠেছে ব্যাবসার মূল বিষয়।
রিসেণ্ট দিনগুলোতে বেবী ডল কিংবা চেন্নাই এক্সপ্রেসের বাজার কাটতি দেখলে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ অবশিষ্ট থাকে না। এসব বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। আলাদা করে আমার কিছু লিখতে যাওয়ার আর প্রয়োজন দেখছি না।

কিন্তু আজকে যেটা লিখছি সেটা একটু অন্য দিকের। শুরুতে যে বললাম ইয়াং জেনারেশন বলিউড নিয়ে ফ্যাণ্টাসিতে ভোগে, সেটা অস্বীকার করার কিছু নেই। সেখানকার নায়ক-নায়কারা যেমন পোষাক পরিধান করে সেই রকম পোষাক কেনার জন্যে যেমন ছেলে-মেয়েদের আগ্রহের কমতি নেই, তেমনি তাদের জীবন ধারনের পদ্ধতিও যে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা অনুসরণ করবে না সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
কিছুক্ষণ আগে এই নিউজটা দেখলাম।

আংশিক 'লিভ ইন' করছেন রণবীর-ক্যাটরিনা

এমন খবর দেখলে এমনিতেই খারাপ লাগে, তা সে যেকোন দেশেরই হোক না কেন। সামাজিক দিকট আভাবতে গেলে ঘৃণা চলে আসে তাদের প্রতি। আর উপরে যেটা বলেছি সেসব দিক মাথায় রাখলে আমার ভয়টা আরো বেড়ে যায়।
ভারতের তারকারা যে ভয়ংকর জীবন পদ্ধতি অবলম্বন করছে সেটা আমাদের যুব সমাজের কাছে কোনদিন না তথাকথিত ফ্যাশনে পরিণত হয়ে যায়!
কিছু বছর আগে দেখেছিলাম আরেক খ্যাতনামা পরিবারের সদস্য সোহা আলি খান তার ছেলে বন্ধুর সাথে লিভ-টুগেদার করছে। এ নিয়ে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় তখন তার জবাব টা ছিলো অনেকটা এমন যে, "আমার কাছে বিয়ের চেয়ে দু'জনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং টা ইম্পরট্যান্ট।"
এক্ষত্রে সাংবাদিক অন্য কোন প্রশ্ন করেছিলেন কিনা জানা নেই। কিন্তু আমার মনে হয়েছিলো একটা প্রশ্ন করার, যদি এতো ভালো অন্ডারস্ট্যান্ডিং-ই থেকে থাকে দু'জনের মাঝে যে লিভ-টুগেদার করতে কোন সমস্যা হচ্ছে না; তাহলে বিয়েটা করে ফেললে সমস্যাটা কোথায় ???


এর পরের ঘটনা উনার ভাই সাইফ আলি খানকে নিয়ে। এই নবাব সাহেব অনেক ঘটা করে বিয়ে করেছেন কাপুর কণ্যা কারিনাকে। নামের বিয়ে মাত্র, সেটা বুঝতে কারোই কোন কষ্ট হওয়ার কথা না। আর যদি কষ্ট হয়েও থাকে তো এক্ষেত্রে কারিনার উক্তিটুকু দিলেই কাজ সেরে যায়। সে বলেছে, "সাইফের সাথে আমার বিইয়েটা কাগজের কিছু স্বাক্ষর মাত্র। সামাজিকতা রক্ষা করার স্বার্থে।" - এই বিয়েও আসলে লিভ-টুগেদার ছাড়া আর কিছুই নয়া।

আর আজ দেখলাম ক্যাটরিনা আর রনবিরের এই ঘটনা। একে অবশ্য পারশিয়াল লি-টুগেদার বলতে আমি অধিক আগ্রহী। যেহেতু তারা সাপ্তাহে ২/৩ দিনের বেশি থাকছে না ;)

কিন্তু এসব আলোচনার উদ্দেশ্য কি ? অথবা টাইটেলে যে "আমরা" ব্যবহার করেছি সেটাই বা কেন ? আমরা আসলে স্বাক্ষি গোপালের মতো হয়ে গেছি। যা হচ্ছে হোকনা ! কেউ অল্প-সল্প প্রতিবাদ করতে চাইলেও মুখ ভেংচি দেই। আবার বেশিরভাগই আমরা আমিত্ব নিয়ে পড়ে আছি। আমি যা ইচ্ছে করবো , তাতে কার কি ??

এই চিন্তা থেকে আমাদের বের হওয়ার পথ খুঁজতে হবে। আর, হ্যাঁ, এই রকম অনেকেই লিখে। কিন্তু ঐ লিখাতেই ক্ষান্ত! প্র্যাক্টিক্যালি কেউ কিছু করার চিন্তাও করে না। কীবোর্ডে যে যত ঝড় তুলতে পারে সে ততো বড় সেলিব্রেটি :-/
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×