somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অমোঘ নিয়তি

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১...
আমার মন ভীষণ খারাপ। আমি বই পড়ার চেষ্টা করলাম 'অন্ধকারের গান', খুব মন খারাপ করা উপন্যাস। টিভি দেখলাম, তাতে আজেবাজে প্রেমের নাটক চলছে। কফি বানিয়ে খেলাম;কিছুতেই মন ভালো হল না।
আমি সোফায় বসতেই ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ শুনলাম। আমার হ্যালুশিনেশন হচ্ছে, প্রায়ই হয়। গল্পের চরিত্রগুলো মাথায় কথা বলতে থাকে।
কান্নার শব্দ বাড়তেই থাকলো!
আমি জান্নাতকে কল দিলাম, ওরা আজ আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
"হ্যালো, তোমরা পৌছেছ?"
"ভনিতা না করে কি বলতে চাও বল, তোমার ঢং ভালো লাগে না।"

"শাবাব কোথায়?ওকে মোবাইল দাও।আমি কথা বলবো।"
"ও আমাদের সাথে আসেনি।ও ওর গুণধর বাবার সাথেই থাকবে।আসার ঠিক আগে কোথায় লুকিয়ে পরেছে, আমি খুজে পাইনি।রেখে চলে এসেছি।তুমি খুজে দেখ, আমাকে জানাও!"

"জান্নাত শোনো....."
"চুপ, কোন চাল চালবে না।আমি আর তোমার সাথে নেই।পরিবারের অমতে তোমায় বিয়ে করেছি, বড় ভুল করেছি। তুমি তালাকনামা পেয়ে যাবে। আমি তোমার সাথে থাকছি না। তুমি ছেলেমেয়ে চাইলে, মামলা করতে পার।ছেলে তোমার কাছে কিছুদিন থেকে শিক্ষা হোক, পরে দেখবে পমপমিয়ে আমার কাছে চলে আসবে।"
জান্নাত এই প্রথম রেগে চলে গেল, তা না।আগেও গিয়েছে, আবার আমি নিয়ে এসেছি।আমি ওর দুলা ভাইয়ের বাসায় গেলে ও দেরি করে না। সাথে সাথেই চলে আসে, ও চলে যাওয়া আর ফিরে আসার জন্য ব্যাগ গুছিয়েই রাখে।
আজকে মনে হয়, ওর মন ভেঙে গেছে!বিকাল থেকে সেজে বসে আছে, জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল, ওদের কেউ নিতে এল না। আমার কাছে টাকাও নেই যে, কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাবো!

শাবাব খাটের নিচে ফুপিয়ে কাঁদছে।আমি আলো ফেলতেই কথা বললো।
"আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না,বাবা।তুমি বললেও না।"

২...
শাবাবের হাতে পেপারে মোড়ানো তিনটা প্রজাপতি, মাটির প্রজাপতি। ওর বান্ধবীর জন্মদিনের উপহার, আমি কিনে দিয়েছিলাম।
"কিরে জন্মদিনে যাসনি?"
"আমি যেতে চাইছি, মা যেতে দিচ্ছে না।মা বলে, আমাদেরকে দাওয়াত দেয়নি। তুমি বল বাবা, আমরা ঘরের লোক; আমাদের দাওয়াত দেয়া লাগবে কেন?"
এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। কোন অজানা কারণে এই কলোনি কোন অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দেয়া হয় না।
গত শুক্রবার আমার কলিগ এসআই খালেদ কবীর তার বোনকে বিয়ে দিলেন। পুরো কলোনি মরিচ বাতি দিয়ে সাজানো হল। নিশ্চয়ই এম.ই.এস ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করার সময় লোকজন মোহিত হয়ে তাকিয়ে ছিলো! বনলতা, আশালতা, স্বর্ণলতা তিনটা বিল্ডিং জ্বলছে!
আমরা বনলতা বিল্ডিংটার ১০ তলায় থাকি।

খালেদ বোনের জামাইকে একটা পাজেরো, উত্তরায় জমি আর কিছু টাকা দিয়েছে। ওর ফ্যামিলিতে ও একাই চাকরি করে। একজন এসআই'র বেতন স্কেল ১৬০০০-৩৯০০০, খালেদ কিভাবে পরিবার চালায়? এত টাকা কিভাবে জমালো? ওর কাছে জেনে নিতে হবে।
আমরা বনানী থানায় চাকরি করি, কোন অজানা কারনে কেউ আমাকে পছন্দ করে না।সবাই খালেদ আত্মপ্রাণ!

৩...
আমি আর জান্নাত দুজনেই চাকরি করি।ও মাইলস্টোন স্কুলে চাকরি করে।বায়োলজির লেকচারার।
শাবাবকে স্কলাস্টিকায় দিয়ে ও ক্লাসে যায়।ফেরার সময় ওকে নিয়ে ফেরে।আগে সমস্যা কম হত না, ছাফিনা হবার পর খুব সমস্যা! মেয়েটা কিছুতেই ভোরে ঘুম থেকে ঊঠবে না।প্রতিদিন একটা চড় খায়!
আমাদের গাড়ি নেই, থাকলে ভালো হত।জান্নাত, শাবাবের স্কুলে যেতে দেরি হত না। ওদের স্কুল উত্তরায়, উত্তরায় ওর স্কুলের পাশে বাসা নিয়ে থাকার সাধ্য আমাদের নেই।

দুইজন চাকরি করি,তবু সংসারে টানাটানি। মাসের শেষে টাকা থাকে না। আম্মা আব্বা গ্রামে থাকেন, এখানে নাকি দম বন্ধ লাগে।
ছোটবোনের বিয়ে ঠিক করেছি, পাত্র ব্যবসায়ী। নকলা বাজারে কাপড়ের দোকান, জুয়েলারি দোকান, মাছের আড়ত দিয়ে আহামরি অবস্তা!
পড়ালেখা কম, কিন্তু টাকা আছে।
সেই ছেলের বাবাও গতকাল এসে বসেছিল, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য টাকা চাই।বিয়ের আগেই যাদের এত আবদার, না জানি বিয়ের পর কি হবে!
আমার বোন ইংরেজিতে অনার্স, মাস্টার্স করেছে।পাত্রপক্ষ উচ্চ শিক্ষিত দেখেই পিছিয়ে যায়।
বোনটাকে আমার বন্ধু ফাহিম বা ইমনের সাথে বিয়ে দিলে ভালো হত।অবশ্য ইমনকে ইতি পছন্দ করবে না, ও একটু খাটো!
ফাহিম একটু উশৃংখল, রাজনীতি করে।চাকরি করবে মনে হয় না।তবু এই ছেলেটাই ইতির জন্য ভালো হবে, নিজের বন্ধুকে তো আর বোনের বিয়ের প্রস্তাব দেয়া যায় না!

মাঝেমধ্যে নিজেকে ক্ষুদ্র কীট মনে হয়।গত ইদে সবার জন্য কেনাকাটা শেষ, কেবল জান্নাতের ম্যাচিং করে জুতো কেনা বাকি। কিছুতেই পছন্দ হচ্ছে না, হয় মডেল নয়তো দাম।জান্নাত জুতা কিনলো না।
আমরা উবার নিয়েছি, এম.ই.এস আসতেই বিল ৩০০ টাকা।আমার কাছে আর টাকা নেই।আমরা নেমে বাসা পর্যন্ত হেটে এসেছি।
কি যে লজ্জা পেয়েছি!

জান্নাত সেদিন স্কুলের ম্যাডামের সাথে উত্তরায় প্লট দেখে এসেছে, দাম মাত্র ৭০ লাখ! কিস্তিতেও কেনা যাবে।
প্রায়ই মিনমিনিয়ে বলে যদি একটা গাড়ি কেনা যায়!
আমার চাকরি বেশিদিন হয়নি, প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে অত টাকা পাবো না।
সরকারি ঋণ নিয়ে প্লট বা গাড়ি কেনা যায়।যেকোনো একটা কেনা যাবে। কিন্তু বাকি সব থেমে যাবে! শাবাবের স্কুলের অত টাকা, গ্রামে টাকা দেয়া, বোনের বিয়ে, সংসার খরচ চলবে না। আম্মা ইদানীং চোখে ভালো দেখতে পান না, ঢাকায় এনে চিকিৎসা করতে হবে।
প্লট কিনে কি হবে, বাড়ি করার টাকা কই? গাড়ির ড্রাইভার নিতে হবে, ইউটিলিটি খরচ!আমি ভাবতেই পারিনা!
ছাফিনাও বড় হয়ে যাচ্ছে, ওকে স্কুলে দিতে হবে। ও যদি শাবাবের মত হয়, তবেতো কথাই নেই।স্কলাস্টিকায় চান্স পেয়ে যাবে। মেয়েটা আমার মায়ের মত রূপবতী, রূপবতী মেয়েরা বুদ্ধিমতী হয় না।

৪...
শাবাব আমার মেলে দেয়া পায়ে ঘুমিয়ে পরেছে। আমি দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি। আম্মা কল দিচ্ছে, নিশ্চিত টাকা লাগবে।মাসের শেষ, আমার কাছে টাকা নেই!কল রিসিভ করতে ইচ্ছে করছে না।
আমি শাবাবের হাত থেকে প্রজাপতিগুলো সরিয়ে নিয়ে চাইলাম, ও আরও শক্ত করে ধরলো।

"শাবাব, ওঠ। যা পাঞ্জাবি খুলে হাফপ্যান্ট, গেঞ্জি পর।তুই ঘেমে যাচ্ছিস।"
"না, আমাকে রেডি থাকতে হবে। নোভা আসবে, আমি জানি আসবে।"

"শাবাব বাবা, শোনো নোভা আসবে না, ৯ টা বাজে।চল আমরা বাইরে থেকে খেয়ে আসি।আজ তোমার আম্মু ফিরবে না।"
"নোভা আসবে।ও আমাকে ছাড়া কিছুই করতে পারে না।আম্মুও আসবে।নোভা আমাদের কাউকে ছাড়া কেক কাটবে না।"
শাবাবের চোখ ঝলমল করছে।
"জানো বাবা, ক্লাসে আমি যা করি নোভাও তাই করে।আর এতএত প্রশ্ন করে। ওদিকে তাকিয়ে আছিস কেন? কি করছিস?কিছু করছিস না কেন?তোর মন খারাপ কেন?তুই খুশি কেন?
ও আমাকে একটা চিঠি দিয়েছে, তুমি দেখবে?"

শাবাব,
একটি গোলাপ তিনটি গোলাপ চারটি গোলাপ!
ইতি,
নোভা

অনেকদিন আগে আমিও জান্নাতকে এমনই একটা চিঠি লিখেছিলাম "একটি পাখি তিনটি পাখি চারটি পাখি"। হুমায়ুন আহমেদের কোন উপন্যাস থেকে কপি করা।
নোভা নিশ্চয়ই কপি করেনি!তাহলে এটা হতো "একটি গোলাপ চারটি গোলাপ তিনটি গোলাপ"!অবশ্য বাচ্চাদের আলাদা ভাষা থাকে, মেয়েটি কি লিখেছে?

আমাদের দরজায় শব্দ হচ্ছে।জান্নাত আসেনি, ওর সাথে ছাফিনা আছে।ছাফিনা দরজা না খোলা পর্যন্ত দরজায় থাপ্পড় দিতে থাকে।
শাবাব লাফ দিয়ে দাড়ালো।
"দেখেছ বাবা, আগেই বলেছি। নোভা আসবে।"

৫...
"সাব্বির, বলতো সৃষ্টিকর্তা কোথায় থাকেন?" জান্নাত প্রশ্ন করেছে। ও কখন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে টের পাইনি।
নোভা মেয়েটা বিরাট জেদি, সে আমাদের পরিবারের কাউকে ছাড়া কেক কাটবে না। তাই জান্নাত, ছাফিনাকে আনতে গাড়ি পাঠানো হয়েছিল।ওরা সত্যিই আসবে, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না!

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মি. মোস্তফা জব্বার, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিরক্তমুখে বসে আছেন।এই দুজন মন্ত্রী একনাগাড়ে কথা বলতে পারেন, এখন একদম চুপ!
আসলে অতিথিদের সবাই চুপ।
নোভা তার বাবাকে প্রশ্ন করেছে,"বাবা তুমিও পুলিশ, সাব্বির আংকেলও পুলিশ।আমাদের এত টাকা, দুটা গাড়ি; ওদের নেই কেন? তুমি কি ঘুষ খাও?আমরা বড়লোক, ওরা গরীব কেন?তুমি যা কর, আংকেলকে শিখিয়ে দিচ্ছ না কেন?"
খালেদ কবীর বেশ রেগে আছে, অতিথিদের সামনে মেয়েকে চড় দেয়া যায় না।বিশেষ করে মেয়ের আজ জন্মদিন!
খালেদের জন্য খারাপ লাগছে!ও উত্তর দিতে পারছে না।নোভা ওর হাত মাথায় নিয়ে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে। কারও চোখে চোখ রেখে তো মিথ্যে বলা যায় না।

সে তুলনায় আমার প্রশ্ন সহজ।আমি জান্নাতের দিকে তাকিয়ে বললাম,"তিনি থাকেন দুঃখী মানুষের অন্তরে।"

অতিথিরা চলে যেতে লাগলো,যতটা না রেগে তার চেয়ে বেশি অবাক হয়ে। নোভা কিছুতেই কেক কাটলো না, খালেদ উত্তর দিতে পারেনি!

৬...
মাঝরাত। পাশের বারান্দা থেকে রজনীগন্ধার ঘ্রাণ আসছে। আজব! পাশের বাসার বাসার ভদ্রলোক আর আমি একসাথে চারা লাগিয়েছি।উনার টবে ফুল ফুটেছে, আমার চারাগুলো কেবল কুই ছাড়ছে, ফুল দেবার নিশানা নেই।

শাবাব আমার কোলেই ঘুমিয়ে পরেছে। ছাফিনা মেঝেতে ঘুমোচ্ছে। জান্নাতের ওদিকে খেয়াল নেই, ও কফি বানাচ্ছে। এটা শুভ লক্ষণ, জান্নাত খুশি থাকলেই কেবল কফি বানায়, মোকা।এতে দুধ, চিনি আর চকলেট ১ঃ১ঃ১ অনুপাতে থাকে। আমরা বারান্দায় বসে গল্প করতে করতে কফি খাই। দারুণ সুখ!
আমি শাবাব, ছাফিনাকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম।

জান্নাত কফির কাপ নিয়ে বারান্দায় পাটিতে বসে আছে। এক কাপ কফি, আমরা এক কাপ থেকেই খাই।
"মা, তোমায় কল দিচ্ছে ধরছো না কেন? ফাহিম ভাইয়ের বাবা বাড়ি এসেছিল ইতির বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। তুমি কি বল, মা জানতে চান।
আর শোনো, আমরা আর এখানে থাকবো না।উত্তরার দিকে চলে যাবো। ওখানে উত্তরখান এলাকায় বাসা ভাড়া একেবারে কম।শাবাবের স্কুলও কাছে, একেবারে গ্রামের এলাকা তাই মত মা-বাবা এসে থাকতেও পারবেন।শুধু তোমায় কষ্ট করে......"
আমি হেসে বললাম,"আমার কষ্ট হবে না, আমি পারবো।বনানী খুব বেশি দূর না।"

জান্নাত এগিয়ে আমার কাধে মাথা রাখলো।আশ্চর্য!রজনীগন্ধার ঘ্রাণ জান্নাতের শরীরের ঘ্রাণের কাছে হেরে গেছে।একটু আগেও রজনীগন্ধার ঘ্রাণে বারান্দা আচ্ছন্ন ছিল!
"সাব্বির, এখন তোমার অন্তরে সৃষ্টিকর্তা নেই!উনি তোমায় ত্যাগ করেছেন।হাহা...."
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×