somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

করোনা ভাইরাস মহামারীতে যেন ধ্বংসলীলা ভারতে, জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত ; পাকিস্তানের এগিয়ে আসা এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#IndiaNeedsOxygen

এই হ্যাশট্যাগটি শুধুই একটি হ্যাশট্যাগ নয়, এটা যে কতটা ভয়ংকর একটি হ্যাশট্যাগ তা আপনি এই হ্যাশট্যাগে ক্লিক করে ফেসবুক কিংবা টুইটার যেখানে ইচ্ছে, একটি ট্যুর দিয়ে আসলে টের পাবেন ।

গত বছর আমেরিকায় (তথা সারা বিশ্বের কোন একটি নির্দিষ্ট দেশে) ১ দিনে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ মানুষের করোনা শনাক্তের পর যারা ভেবেছিলেন, ওরকমটা শীতপ্রধান দেশ বলেই আমেরিকায় হয়েছে, এরকম কাঠফাটা গরমপ্রবণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে হবে না । কিন্তু এইবার ভারতে গত কয়েকদিন আগেই ১ দিনে প্রায় ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার করোনা রোগী সনাক্ত এবং ২১০০+ ব্যক্তির মৃত্যু - চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কোনরকম কন্ডিশনই এই করোনার জন্য প্রতিকূল অবস্থা বয়ে আনে না ।



শ্মশানগুলোতে চিতার পর চিতা জ্বলছে, এমন একটি ছবিও বেশ ভাইরাল হয়েছে ।


এমনকি লাশ পুড়ানোর জন্য সিরিয়ালও বেশ লম্বা ।


একটি চিতার আগুন থামার আগেই হয়তো আরেকটি চিতা তে আগুন ধরানো হচ্ছে ।


হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের অভাব আর চারিদিকে নিদারুন হাহাকার । হাসপাতালগুলোতে সিট না পেয়ে হাসপাতালের বাইরে রাস্তাঘাটে মানুষ শুয়ে আছে কিংবা হাসপাতালগুলোতে একটু পর পর সাইরেন বাজিয়ে এ্যাম্বুলেন্সগুলোর প্রবেশ – যা দেখছি তাতেই শিউরে উঠছি ।



অনেকগুলো প্রশ্ন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে । যেমনঃ বর্তমান মোদী সরকার এই অবস্থার দায় এড়াতে পারবে কী কিংবা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউ যাহাই বলি না কেন, এর জন্য পূর্বপ্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হোক, আংশিক ভাবে নেওয়া হয়েছিল কী কিংবা জনগণকে এই করোনা মহামারীর বিষয়ে সচেতন না করে রাজনীতির খেলায় বিজেপি, কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো কি এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিল কিংবা বিরোধী দলগুলোর কিংবা রাজ্য সরকারগুলোর সামর্থ্যের মধ্যে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নীতিবাচক মনোবাসনা ছিল কী ইত্যাদি ইত্যাদি ।

প্রশ্ন যাহাই হোক, উত্তরগুলো কেমন যেন মানুষভেদে ভিন্ন হচ্ছে । তবে এটা পরিস্কার যে, উচ্চমহল থেকে পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব ছিল । তবে ভারতের জনগণদের জন্য আশার বাণী হয়ে এসেছে, তারা যাদেরকে চিরশত্রু ভেবে আসতো, তাদের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি প্রদর্শন (পাকিস্তানী জনগণের কারণে পাকিস্তানে এই হ্যাশট্যাগ নাম্বার টপে আছে) এবং ভারতের জন্য সামর্থ্যের মধ্যে কিছু করতে পারার ইচ্ছা প্রকাশ । এমনকি পাকিস্তানী জনগণ তাদের সরকারকেও ভারতের সাহায্যার্থে কিছু করার জন্য অভ্যন্তরীণভাবে চাপ দিচ্ছে । জী, হ্যা, সকল ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে - মানুষের বিপদে মানুষের এগিয়ে আসা এবং সেটি ধর্ম, জাত, কূল ইত্যাদি বিবেচনা না করেই ।

কেন জানি মনে হয় করোনার হাজারটা নেগেটিভ দিকের মধ্যে এই একটাই পজিটিভ দিক, আর তা হচ্ছে, বিপদের সময় বন্ধু – শত্রু চিনতে পারার সুযোগ কিংবা আরও পরিস্কার করে বললে, উপর দিয়ে কেউ যেমনই হোক, তার ভিতরটা আসলে কেমন, সেটা চিনতে পারার সুযোগটা পাওয়া যাচ্ছে । তবে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিপদ নামক মেঘের ঘনঘটা দ্রুত কেটে যাবে, এমনটা আশা করা হয়তো যায়, কিন্তু সেই আশা কতটুকু বাস্তব, তা বলা যাচ্ছে না । কয়েকদিন পর পর এই ভাইরাসের একেক ধরনের স্ট্রেইন (চাইনিজ স্ট্রেইন, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রেইন, সাউথ আফ্রিকান স্ট্রেইন, পশ্চিমবঙ্গীয় স্ট্রেইন ইত্যাদি) যেন মানুষের সর্বোচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে চূর্ণ করে দেওয়ার পণ করেছে ।

তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে আমাদের প্রতিবেশী রাস্ট্রের এই বিপদের সময় তাদের প্রতি সহানুভূতি ব্যক্ত করছি এবং এই পবিত্র মাহে রমযানে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি, যেন তিনি এই পৃথিবীর সকল অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষকে তার রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় দান করেন এবং এই করোনা নামক অভিশাপকে চিরতরে দূর করেন । আমিন
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×