somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাবির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বনাম স্বপ্নভঙ্গ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । আর শত শত ছাত্রছাত্রীর স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।১৪ ব্যাচের এইচএসসি ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থীর ঢাবিতে পড়ার স্বপ্ন পিষে মারা হচ্ছে ঢাবি প্রশাসনের অনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দুই মাস এগিয়ে আনা হল এবং ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ করা হল।যা ইতিহাসে এই প্রথম।এর ফলে অনেকেই আশাহত হয়ে যায়।তবুও তাদের অনেকেই এই অল্প সময়ে প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করেছে।এদের অনেকেই দ্বিতীয়বার নিজেকে গড়ে স্বপ্ন পূরণের জন্য ছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
অনেকে তো পরীক্ষাই দেয়নি দ্বিতীয়বারের জন্য ভালভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।যখন ঢাবির সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গেল তার কিছুদিন পর ঢাবি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দিল।কর্তৃপক্ষ কি একবারও ভাবেনি যে দেশে কত কত শিক্ষার্থীর স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে???
দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধের পেছনে তারা অযৌক্তিক কিছু যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে।যা যেকোন ব্যক্তি সজ্ঞানে বুঝতে পারবে যে তাদের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র যে অযৌক্তিক তা-ই নয়।এটি একটি নীতিবিবর্জিত অন্যায় সিদ্ধান্ত।
তারা যেসকল কারণ দেখিয়েছেন তার সমাধান তাদের কাছেই।তাদের দেখানো কারণগুলোর সমাধান ভিন্ন এবং যুক্তিযুক্ত পন্থাতেই সমাধান সম্ভব যা বিভিন্ন টকশোতে,আন্দোলনে এবং অনলাইনে শিক্ষার্থীরা উপস্থাপন করেছে।কিন্তু তারপরও ঢাবি কর্তৃপক্ষ অবুঝের মত ব্যবহার করার কারণটা অস্পষ্টই থেকে যাচ্ছে।মাননীয় উপাচার্য আরেফেন সিদ্দিকি কে একজন সৎ এবং আদর্শবান লোক বলেই এতদিন জেনে আসছি।কিন্তু উনার মত একজন সৎ এবং নীতিবান লোক কিকরে এমন সিদ্ধান্তে অটুট থাকতে চায়?
ঢাবি কর্তৃপক্ষসহ কেউ কেউ এই কথা বলে থাকে যে সেকেন্ড টাইম বন্ধ করতে হলে কোন
না কোন ব্যাচকে তো ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে।১৪ ব্যাচই নাহয় সেটা করল!
কোন বুদ্ধিতে তারা এমন কথা বলতে পারে সেটা আমার বোধগম্য নয়।
একজন শিক্ষার্থীর ১২ বছরের শিক্ষাজীবন সফল করার/সুন্দর ক্যারিয়ারময় জীবন শুরু হয় এই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে।আর এটি উৎসর্গ করা আর নিজের জীবনটা উৎসর্গ করার মধ্যে কোন পার্থক্য দেখছিনা।
আবার কিছু মানুষ বলে যে ঢাবি ছাড়া অন্য কোন ভাল ভার্সিটি নাই?ইত্যাদি ইত্যাদি।
হ্যা,মানলাম যে আরও আরও ভাল ভার্সিটি আছে।কিন্তু স্বপ্ন বলে একটা কথা আছে নাকি?!
Tuesday 10:32
তানাহলে একজন শিক্ষার্থী কি করে একটি বছরের মায়া ত্যাগ করে ঢাবিতে পড়ার জন্য?
এতদিন পর্যন্ত দুইবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।তবে এইবার কেন তাদেরকে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে?তবুও সেটা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই?এইটা কি কোন ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত?জাতির সুশিক্ষায় শিক্ষিত বিবেকের কাছে প্রশ্ন থাকল।
ঢাবির অযৌক্তিক এবং নীতিহীন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজু ভাস্কর্যের সামনে যখন ১৪ ব্যাচের স্টুডেণ্টরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি জানালো তখন ঢাবির কিছু স্টুডেণ্ট তাদের উপর হামলা চালাল।কিন্তু কোন যুক্তিতে?১৪ ব্যাচের অন্যায় কি ছিল?
হামলাকারী ঐসকল লোকদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছেনা।তাহলে জাতি কি এইটা ধরে নিবে যে ঢাবি কর্তৃপক্ষের ইঙ্গিতেই এইসব করা হয়েছে?
আমার চোখে ১৪ ব্যাচের স্টুডেণ্টদের কোন অযৌক্তিক দাবি প্রতিয়মান হচ্ছেনা।উল্টো ঢাবির সিদ্ধান্তকে নীতিহীন এবং অযৌক্তিক বলে মনে করে দেশের সকলে।দেশের প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও ১৪ ব্যাচের দাবিকে যৌক্তিক মনে করছে।স্বয়ং ঢাবির শিক্ষকেরাও মনে করে যে ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রতিটা দাবি সঠিক এবং যৌক্তিক।তাহলে কি ঢাবি সায়ত্ত্বশাসিত বলে তাদের কর্তৃপক্ষ যা ইচ্ছা তাই সিদ্ধান্ত নিবে?
যৌক্তিক দাবি আদায়ের এত এত আন্দোলন হচ্ছে আর প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তারপরও ঢাবি কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছেনা কেন?তাদের জীবনের কি কোন মূল্য নেই?
মাননীয় উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকি বিষয়টি বুঝেও না বুঝার মত ব্যবহার করছেন।
এইদিকে একটি খবর শোনা গেছে যে ১৪ ব্যাচ বড় ধরণের চক্রান্তের স্বীকার হচ্ছে।আর এর মূলে আছে ঢাবি প্রশাসন।নতুন সন্ধি তৈরী হয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে।আর এসব বিষয় ধামাচাপা রাখার জধ্য মিডিয়াকে দমিয়ে রাখা হচ্ছে ।
মাননীয় উপাচার্য এইটা ভাল করেই জানেন যে বাংলাদেশের এমন শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে পারবে।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে গোপন সন্ধির ব্যাপারটি এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ব্যাপারটি সত্য প্রমাণিত হলে মাননীয় উপাচার্যের সততা মাটিতে পিষ্ট হবে।আশা করি উপাচার্য সে বিষয়ে অবগত আছেন।এতকিছুর পরও ঢাবি কর্তৃপক্ষ এরুপ অন্যায় সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন সততার পরিচয় দিচ্ছে তা কারোরই বোধগম্য নয়।
এতকিছুর পরও ঢাবি যদি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা ভেবে থাকে তবে শেষে কিছু কথা না বলে থেমে
সত্য সর্বদা বিজয়ের হাসি হাসে! আর অন্যায় কিংবা জুলুম কখনো প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা আর পারবেওনা ইনশাআল্লাহ্।
অন্যায় এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এত এত তরুণদের স্বপ্ন ভঙ্গ করতে মনস্থির করে থাকলে তা বাদ দিতে হবে।এত এত তরুণদেরকে দমিয়ে রাখা অসম্ভব।ন্যায্য দাবি আদায়ে ছাত্র সমাজ কতটা সাহসী হতে পারে তার সাক্ষী কালের ইতিহাস।আর সেটা ভুলে গেলে চলবেনা।কিভাবে এইসব তরুণকে দমিয়ে রাখা হবে?অস্ত্রের মাধ্যমে?যুক্তির মাধ্যমে না পেরে অস্ত্রের মাধ্যমে লড়বেন এদের বিরুদ্ধে?এইসব তরুণদের কোন অস্ত্রের প্রয়োজন লাগেনা।
আর কোন কিছু এদেরকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা।কেননা এদের পাশে আছে সকল মানুষ।অবশেষে একটি কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে ন্যায্য দাবি যেকোন কিছুর বিনিময়ে অর্জন হবেই। দেশের সকলকে ন্যায়ের পথে,ন্যায়ের পাশে থাকার আহ্বান জানাই!আর যৌক্তিক দাবির সমর্থন দিবে প্রতিটা জনগণ এবং তাদের পাশে দাঁড়াবে সেই আশা ব্যক্ত করছি।দেশের প্রত্যেককে আহ্বান করি সত্যের সমর্থন জানিয়ে আমাদের ভাইবোন,আমাদের বন্ধুবান্ধবদের পাশে এসে দাড়াই।তাদের সমর্থন জানাই।এদের ন্যায় এবং যুক্তিসংগত দাবির সমর্থ জানিয়ে ঢাবির এই অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।
সত্য এবং ন্যায়ের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ্।শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা...
আমি আমার জায়গা থেকে ন্যায়ের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছি।
অবশেষে মাননীয় উপাচার্যের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলছি ।দয়া করে এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না যেন শত শত শিক্ষার্থীদের প্রতি অন্যায় করা হয় এবং স্বপ্ন নষ্ট হয়!এরা তো আপনারই শিষ্য!আপনার সন্তান সমতুল্য!নিশ্চয়ই সন্তান সমতুল্য এদের প্রতি কোন অবিচার করবেন না!আশা করি আপনি যথোপযুক্ত এবং ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে কালবিলম্ব করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×