"সরকারের উচিৎ বিটিভি বাদে দেশীয় সকল চ্যানেল ব্যান করে দেওয়া। আর ইন্ডিয়ার কিছু চ্যানেল যেমন স্টার জলসা, জি বাংলা, জি সিনেমা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এগুলোকে ডিশলাইন ছাড়াই সংযোগের ব্যবস্থা করা।"
কারণঃ
১# টিভি খোলার পর দেশীয় যেসব চ্যানেলের দারস্থ হইনা কেন দেখা যায় অন্তহীন বিজ্ঞাপন।
২# সারাদিন খুঁজেও একটা ভালো অনুষ্ঠান পাওয়া সম্ভব হয়না। এক দুইটা পাওয়া গেলেও দেড় দুই মিনিট পর পর ৫ মিনিটের বিজ্ঞাপন।
৩# নিরবিচ্ছিন্ন, স্বল্প বিজ্ঞাপনওয়ালা ও দারুণ সকল অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলা দেখানো উচিৎ।
৪# দেশীয় অনুষ্ঠানমালায় বিরক্ত হয়ে যখন ভাবি দেশের খবর দেখব তখন দেশীয় চ্যানেলগুলো চালাতে গেলেই আতঙ্কিত হতে হয়। একটার পর একটা দুঃসংবাদ, খুন, দূর্ঘটনা, রাহাজানি আর দূর্নীতির খবর দিতেই থাকে। ভালো কোন খবর প্রায় থাকেনা বললেই চলে।
৫# বিটিভিই একমাত্র চ্যানেল যেটা দেশ প্রেমের কথা বলে। এটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের চ্যানেল। সারাদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর স্বপ্নের বাস্তবায়ন প্রচার করাই এই চ্যানেলের লক্ষ।
৬# বিটিভিই একমাত্র চ্যানেল যেটা দেখলে আতঙ্কিত হতে হয়না। কারণ বিটিভির খবরে কখনোই দুঃসংবাদ, খুন, দূর্ঘটনা, রাহাজানি আর দূর্নীতির খবর প্রচারিত হয়না। বিটিভিতে শুধু শান্তি আর শান্তি, উন্নয়ন আর উন্নয়ন, নেই কোন জনদুর্ভোগ।
৭# বিটিভি ছাড়া কোন চ্যানেলই সরকারের উন্নয়নের কথা প্রচার করেনা। সরকার নেগেটিভ দিকগুলো তুলে ধরাই ওসব চ্যানেলের লক্ষয়!
৮# বিটিভিতে বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে অনুষ্ঠান দিলেও সেই অনুষ্ঠান অন্যান্য যেকোন দেশীয় চ্যানেলের চেয়ে বেশি মানসম্পন্ন।
৯# দেশীয় চ্যানেলগুলোতেও স্টার জলসাকে ফলো করে পারিবারিক কুটনামীর কিছু নাটক তৈরি করেছে। এই নাটকগুলোর কোন কোয়ালিটিই নেই ইন্ডিয়ান কুটনামীর নাটকের সাথে তুলনা করার। এর পরেওতো রয়েছেই অজস্র বিজ্ঞাপনের ঝুলি!
১০# সর্বোপরি বিটিভি, স্টার জলসা, জি বাংলা, জি সিনেমাকে বাংলাদেশের প্রধান চ্যানেল করে সারা বাংলাদেশের সম্প্রচারের নীতিমালা করলে দেশের প্রত্যেকটা পরিবার জ্ঞানার্জনের দিশা খুঁজে পাবে।
আরও হাজার কারণ আছে যেগুলো এই মূহুর্তে মনে নেই। তবে এই কারণ গুলোই যথেষ্ট দেশীয় বদখত চ্যানেলগুলোকে ব্যান এবং মা-বোনের প্রিয় ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলোকে জাতীয় চ্যানেল ঘোষণার। কারো দ্বিমত থাকিলে তাহা জনসম্মুখে প্রকাশ করিতে পারেন।