প্রোপাগ্যান্ডা খুব ভালো করেই চলছে বাংলাদেশের উপর। প্রথমে লীগাররা দলীয় ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে প্রতিপক্ষের উপর জঙ্গীবাদের তকমা জুড়ে দিয়েছে। মুখরোচক সেসব বার্তাকে প্রমোট করেছে জামায়াতী হরতাল, হেফাজতের শাপলা চত্বর, বিএনপির পেট্রলবাজি। তারপর হল কিছু ব্লগার হত্যা। জমে একেবারে ক্ষীর। সর্বোপরি বাংলাদেশ আজ জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে! অস্ট্রেলিয়া দল আজ নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলতেছে। কদিন পর অন্যান্য দলও আসতে চাইবেনা। ব্যাপারটা দারুণ হচ্ছেনা?
.
দেশের উপর এই ধরণের প্রোপাগ্যান্ডা চালানোতে সবচেয়ে বড় প্রমোটার হল ছাগলসম(?) বাংলাদেশী মিডিয়া। মুখফস্কা লীগারদের মতই তারা তিলকে তাল বানিয়ে প্রচার করেছে। এমনভাবে ঘটনাগুলোকে প্রচার করে যে তা যেন সহজেই আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাভারেজ পেয়ে যায়। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতে দাঙ্গায় সব মরে গেলেও সে খবর ন্যাশনাল নিউজ প্যাপারের শেষের পাতাতেও স্থান পায়না।
.
এইবার প্রোপাগ্যান্ডায় আইএস এর অফিশিয়াল সাইট এক হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতালিয়ান নাগরিক হত্যাকে তারা নিজেদের কর্ম বলে চালিয়ে দিয়ে প্রোপাগ্যান্ডাকে শক্ত হতে সাহায্য করেছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে বাংলাদেশে আইএস এর শক্ত ঘাঁটি তৈরি হয়েছে।
.
সমাধান একটাই – “টুটি চেপে ধরুন!!”
.
১. মুখফস্কা লীগার লোকগুলোর মুখ বন্ধ করতে হবে।
২. মিডিয়ার পাখীর চোখ বসাতে হবে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন মহাসত্য নিউজ হলেও তা প্রচারের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসতে হবে।
৩. উগ্রপন্থী ফেসবুকারদের (আস্তিক/নাস্তিক) লেখালেখির বিধিনিষেধ কড়াকড়ি ভাবে আরোপ করতে হবে।
৪. দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কর্ম সরকারী মহলের ব্যক্তিদের করা যেমন বন্ধ করতে হবে, তেমনি অতি পন্ডিত দ্বারা অনলাইনে এই ধরণের নিউজ পাবলিশও বন্ধ করতে হবে।
.
বিদ্রঃ এই টুটি চেপে ধরার কাজ যদি না শুরু হয়, অচিরেই বাংলাদেশ পাকিস্তানের ভৃত্য জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হবে। তখন এ দেশকে পাকবন্ধুরা শখ করে পূর্ব পাকিস্তান বলেও ক্ষেপাতে পারে!! তখন বিদেশীরা খেলাতো দূরের কথা হাগুমুতু করার জন্যেও বাংলাদেশে আসবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০