somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিরপিনের থাইল্যান্ড ভ্রমন (প্রথম পর্ব)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিরপিনের ড্রিম লাইনার


পূর্বকথাঃ
চাকরি জীবনে পদার্পনের পর থেকে রোজার ঈদে বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ খুব একটা হয় না, তবে চেষ্টা থাকে কোরবানি ঈদে দেশের বাড়িতে যাওয়ার। আমার এলাকায় যেতে বাসের বা ট্রেনের ঈদের টিকিট পাওয়া দুঃসাধ্য। বিমানের রিটার্ন টিকেটের দাম দেখলাম প্রায় সাড়ে ষোল হাজার টাকা। বাড়ির কাছের এয়ারপোর্ট থেকে আমার বাড়ি প্রায় আরো পাঁচ ঘণ্টার পথ। কাজের পরিকল্পনা করেছিলাম ঈদের ছুটিতে দক্ষিণ ভারতে যাব। সে মত কয়েকটা হোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু আমার ভাতৃপ্রতিম ভারতিয় সুহৃদ আলাপকালে জানালেন যে এবারে জয় শ্রীরাম ওয়ালাদের দাপট ভালই দেখা যাচ্ছে, আপাতত ভারত যাত্রা প্রোগ্রাম পেছানোই ভালো হবে। থাই লায়ন এয়ারের ঢাকা-ব্যাংকক রিটার্ন টিকিটের দাম ঢাকা হায়দ্রাবাদ রিটার্ন টিকিট এর দামের চেয়ে বা ঢাকা আমার দেশের বাড়ি রিটার্ন টিকেটের দামের চেয়ে কম হওয়ায় ব্যাংকক যাওয়া যায় কিনা সে কথা চিন্তা করছিলাম। শ্রদ্ধেয় ব্লগার জনাব খায়রুল আহসান এবং জুনাপার ব্লগে থাইল্যান্ড ভ্রমনের বিবরণ শুনে থাইল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহ আগে থেকেই ছিল। এই অবস্থায় স্ত্রী ও উসকে দিলেন যে এশিয়ার মধ্যে ভারত বাদে আর কোন জায়গায় আমার যাওয়া হয়নি। যেহেতু ছুটি আছে থাইল্যান্ডে যাবার এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না করি ( জগতে এমন স্ত্রী ও আছেন যারা স্বামীকে থাইল্যান্ড যেতে উদ্বুদ্ধ করে!!) সব বিবেচনা করে ১১ দিনের জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়াই ঠিক করে ফেললাম।

টিপসঃ
থাই ভিসা-- বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের থাইল্যাণ্ডে যেতে স্টিকার ভিসা দরকার হয়। ভিসা প্রসেসিং এর কাজ বাড্ডা লিংক রোড এর কাছে, হোসেন মার্কেটের উল্টা দিকে ভিএসএফ গ্লোবাল এর অফিস থেকে করা হয়। ভিএসএফের ফি সহ ভিসা প্রসেসিং ফি ৩৭৪০ টাকা, প্রসেসিং সময় সাত দিন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ টার মতো ফ্লাইট ঢাকা ব্যাংকক রুটে সরাসরি যাতায়াত করে, এর বাহিরে কিছু ফ্লাইট কোলকাতা/সিঙ্গাপুর/মালয়েশিয়া হয়েও যায় । সেই হিসাবে ডাইরেক্ট ফ্লাইটেই প্রতিদিন দু হাজারের বেশি লোক ব্যাংকক যেতে পারার কথা , কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হল থাই এম্বাসি দিনে ৩০০ টিরও বেশি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করে না। বিমান সংস্থাগুলো কিভাবে এই রুটে ব্যবসা করে তা আমার মাথায় আসে নাই। যেহেতু দিনে মাত্র ৩০০ টি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করা হয়, ভিসা অ্যাপ্লিকেশন কারীদের মধ্যে মারামারি- ধাক্কাধাক্কি নৈমিত্তিক ব্যাপার। লাইনে সিরিয়াল পেতে গেলে আপনাকে ভোর সাড়ে পাঁচটার আগে এসে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ঝামেলা এড়াতে চাইলে কোন ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাসপোর্ট দিয়ে দেবেন, এরা সামান্য ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ফি নিয়ে আপনার হয়ে লাইনে দাঁড়াবে এবং ভিসা সংগ্রহ করে দেব।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আয়তন-- বাংলাদেশের প্রায় চার গুন বড়।
লোক সংখ্যা - প্রায় ৭ কোটি।
ভাষা- থাই, কিন্তু সব টুরিস্ট ডেস্টিনেশনেই ইংরেজি বোঝার এবং কিছুটা বলার লোক পাওয়া যাব.
কারেন্সি - বাথ, ১ বাথ = প্রায় ৩ টাকা।
আবহাওয়া- প্রায় সারা বছরই গরম শীতের তীব্রতা নেই, উত্তরে ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত শীত পড়ে। যথেষ্ট বৃষ্টি হয়।
বর্ডার- বার্মা, লাওস, কম্বোডিয়া এবং সামান্য কিছু অংশে মালয়েশিয়া।
সময়: বাংলাদেশে যখন সকাল ৬ টা তখন থাইল্যান্ডে সকাল সাতটা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

যাত্রা হলো শুরুঃ রাত একটা বা বিলাতি নিয়মে সকালে একটায় আমার ফ্লাইট। আমার পরিকল্পনা ছিল এয়ারপোর্টে এগারোটার মধ্যে পৌঁছানো। রাত নটা চল্লিশের মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বিভিন্ন কাজের চাপে রাতে ভরপেট খাওয়ার সুযোগ হলো না। ইচ্ছে ছিল পাশের দোকান থেকে কিছু খাবার কিনে নেব, যেয়ে দেখি খাবার শেষ। কাজেই পেটে কিছুটা খিদে নিয়েই রওনা দিয়ে দিলাম। বাস ড্রাইভার মনে হলো প্রতিজ্ঞা করেছে যে রাস্তায় যত লোক দেখবে সবাইকেই জিজ্ঞাসা করবে- ভাই ভালো আছেন? আসেন, একসঙ্গে যাই।-- বাধ্য হয়ে দু কিলোমিটার পথ যাবার পর বাস বদল করে ফেললাম। যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত ভালোমতো এসে দেখি এখান থেকে বিশাল জ্যাম। গুগল ম্যাপ দেখাচ্ছে কুড়িল ফ্লাইওভার পর্যন্ত জ্যাম।ম্যাপ অনুসারে এখন এখান থেকে এয়ারপোর্ট রেল স্টেশন পর্যন্ত গাড়ীতে যেতে ৫০ মিনিট লাগবে, বাসে আরো কিছু সময় বেশি লাগার কথা । ঘড়িতে এখনই দশটা তিরিশ। দুশ্চিন্তা এবং সারাদিনের ক্লান্তির কারণে আমার অল্পঅল্প মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেল। এর মাঝে উঠলেন এক ক্যানভাসার। তিনি তিরিশ বছর ধরে গাড়িতে জামবাক বিক্রি করে আসছেন। তিনি জানালেন বেশ কয়েক বছর ধরে তার কোম্পানি জাম্বাক এর দাম বাড়েনি, তবে কোম্পানি কৌটায় জামবাক এর পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।



এরকম কম পরিমাণে জামবাকওয়ালা কৌটা বিক্রি করতে তার খারাপ লাগে, কিন্তু তার করার কিই বা আছে। বাস এখনো জামে আটকা পড়ে আছে, টেনশনের সাথে মাথা ব্যথা একটু একটু করে বাড়ছে। আমি ফোন খুলে চেক করতে থাকি উবারের মোটরসাইকেল নিলে কতক্ষণে যাওয়া সম্ভব। আশেপাশে কোন মোটরসাইকেল দেখা যাচ্ছে না। মাথাব্যথা আরো বাড়ছে। জাম্বাক মাখলে ভালো হতো, কিন্তু এর মধ্যে জামবাক ওয়ালা বাস থেকে নেমে গেছে। ভাগ্য একটু সুপ্রসন্ন হচ্ছে মনে হলো, গাড়ির বহর ধীরে ধীরে সামনের দিকে চলা শুরু করেছে। রাত এগারোটা পাঁচ নাগাদ ফ্লাইওভারের গোড়ায় এসে পৌছালাম। এখান থেকে গাড়ি মোটামুটি তুফান গতিতে ছুটে চলল , এগারোটা কুড়ির আগেই পৌঁছে গেলাম এয়ারপোর্ট স্টেশন এর কাছের বাস স্ট্যান্ডে, সাড়ে এগারোটার মাঝে এয়ারপোর্টের ভিতরে।

আমি এখন ঢাকা এয়ারপোর্টের ভিতরেঃ
দেরিতে আসায় চেক ইন কাউন্টারের সামনে তেমন লম্বা লাইন ছিল না। লাইনে আমার ঠিক সামনের জন অতিরিক্ত লাগেজের জন্য অনলাইনে পে করেছে, কিন্তু সামনের নবিশ অপারেটর এটা হ্যান্ডেল করতে পারছেনা । কাজেই আমাকে পাশের লাইনের পিছনে গিয়ে দাঁড়াতে হলো। বোর্ডিং পাস এর পর ইমিগ্রেশনে মাত্র কয়েক মিনিট লাগলো। কয়েক ঘণ্টা আগে এবছরের মতো হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়েছে, এয়ারপোর্ট মোটামুটি শুনশান।

মাথাব্যথা এখনো ছেড়ে যায়নি, এর সঙ্গে নতুন উপসর্গ যোগ হয়েছে কোমর এবং পায়ে ব্যথা- কারণ সারাদিনের ক্লান্তি , আগের দু দিনের পরিশ্রম এবং এক দিনের নিদ্রাহীনতা। অফিসে ঈদের ছুটি বিকেল পাঁচটার পরে শুরু হয়েছে, আজকের দিনটা নষ্ট করতে চাই নি বলে এত তাড়াহুড়া। দুপুরে জোড়াতালি দিয়ে কিছু একটা খাওয়া হয়েছিল। এয়ারপোর্টের ভিতরে খাবারের দাম অনেক বেশি। পেটকে মানানোর জন্য ৭০ টাকা দিয়ে একটা ভেজিটেবল রোল কিনে খেলাম। (লেখা আছে ময়লা ইত্যাদি দোকানের ময়লার ঝুড়িতে ফেললে পাঁচ টাকা ফেরৎ দেবে। চাইলাম, বলে পাঁচ টাকা নেই। আপনার ওখানে খেলে খুচরো টাকা সাথে রাখবেন।) জলের বোতল সাথেই ছিল। লায়ন এয়ারের টিকিটের দাম কম কিন্তু এখানে লাগেজ শুধু হ্যান্ডব্যাগ সাথে নেয়া যাবে- ওজন ৮ কেজি পর্যন্ত । জলের বোতল সহ আমার লাগেজ ছিল ৬ কেজির কাছাকাছি, এরমধ্যে ব্যাগের নিজের ওজন সাতশো গ্রামের মত। বিশেষ কারণে শীতের জামা নিয়েছি, একটা জ্যাকেট (কারণ পরে ব্যাখ্যা করা হবে)। ভ্রমণের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ব্যাকপ্যাক হালকা রাখাই আমার পছন্দের। ডিসপ্লে বোর্ডে প্লেনের কোন খবর দেখছি না। অনলাইনে চেক করে দেখলাম প্লেন লেট। ব্যাংকক থেকে আসবে, এরপরে ঢাকা থেকে ছাড়বে। ব্যাংকক থেকে ছাড়াতেই ডিলেই হয়েছে। সাথে পাওয়ার ব্যাংক নেই, ফোনটা ফুল চার্জ করে রাখা দরকার । ৮০ পার্সেন্ট এর মতো চার্জ আছে। অনেকগুলো ভাঙাচোরা চার্জিং পয়েন্ট এর মধ্যে একটা ভালো খুঁজে পেয়ে সেখানে ফোনটা চার্জ করতে শুরু করলাম। ডেঙ্গু আতঙ্কে সব জায়গায় মশা মারা শুরু হয়েছে। এয়ারপোর্টও তার ঐতিহাসিক মশা প্রজনন ক্ষেত্র গুলো দূর করে বেশ মশা নিধন করেছে বোঝা গেল। এর মাঝে দু একটা মশা ঘুরঘুর করতে দেখলাম, এগুলো সম্ভবত নর্থ বা সাউথ সিটি কর্পোরেশনের মশা না, বিদেশ থেকে বিনা টিকিটে চলে এসেছে। নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পর বোর্ডিং শুরু হলো। এর আগে কখনো ঢাকা এয়ারপোর্টে সিকিউরিটি গেটে জুতা খুলতে হয়নি, এবার স্যান্ডেল খুলতে হলো।

কিরপিন এখন প্লেনেঃ
বোর্ডিয়ের সময় দেখলাম অধিকাংশ যাত্রী ভারতীয়। মাত্র পনেরো কুড়ি জন দেখলাম মঙ্গলয়েড চেহারার- চিনে বা এরকম কিছু হবে। বাজেট এয়ার লাইনে খাবার দেয় এটা আগে দেখি নি। এরা খাবার এবং পানি দিল।



সামান্য খাবার, ক্ষুধার্ত থাকায় আমার কাছে অসামান্য ছিল। চিজ-সবজি সহ একরকম ব্রেড রোল। খাবার সম্পূর্ণ ভেজিটেরিয়ান-- বিভিন্ন ধর্মের খাবার নিয়ে রেস্ট্রিকশনের বিষয়ে এদের ধারণা আছে। ঢাকা-ব্যাংকক ফ্লাইং টাইম আড়াই ঘন্টা। ড্রাইভার খুব ভালো ছিল, অথবা রাস্তায় জাম মনে হয় কম ছিল, প্রায় সোয়া দুঘন্টায় ব্যাংকক পৌছে গেলাম। কিন্তু দুই নম্বরি সব জায়গায়। লায়ন এয়ারের কমদামের টিকিটের মর্ম বুঝলাম। ব্যাটা ড্রাইভার রাতেরবেলা আমাদেরকে ব্যাংকক না নামিয়ে বহুদূরে নামিয়ে দিয়েছে। ল্যান্ডিং এরিয়া থেকে এয়ারপোর্ট টার্মিনাল এ বাসের পৌঁছাতে প্রায় ১০ মিনিটের মত লাগলো। আমার দেখা অন্যতম বড় এয়ারপোর্ট।

জ্ঞানের কথাঃ
ডন মুয়েঙ এয়ারপোর্ট পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন এয়ারপোর্ট গুলোর মধ্যে একটি। এর বয়স ১০০ বছরেরও বেশি । প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সামান্য কিছুদিন আগে এটি চালু হয়। ২০০৬ সালে এটি রিনোভেশন এর জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল, ২০০৭ সালে আবার খুলে দেওয়া হয়। ২০০৬ সালে বন্ধ হওয়ার আগে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত এয়ারপোর্ট এর মধ্যে ১৪ নম্বরে ছিল। এখন ব্যাংককের সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট। এয়ার এশিয়া এবং লায়ন এয়ারের মত লো কস্ট এয়ার লাইনগুলো ডন মুয়েঙ এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে। ফ্লাইট টিকিট সার্চ করার জন্য ব্যাংক সুবর্ণভূমি এর জন্য BKK এবং ডন মুয়েঙ এয়ারপোর্টের জন্য DMK কোড ব্যবহার করতে হবে।

ডন মুয়েঙ এয়ারপোর্টেঃ
এয়ারপোর্ট মেন বিল্ডিংয়ে পৌঁছলাম ভোর ৫-৫০ এ। ফজরের নামাজের খুব বেশি সময় বাকি নেই। দৌড়াতে দৌড়াতে একটা টয়লেট খুঁজে পেয়ে ওযুর কাজ সেরে নিয়ে নামাজের জায়গা খুঁজছিলাম। প্লেনে চীনে ম্যান চেহারার যে সহযাত্রীরা ছিল তাদের মধ্যে একটা বড় গ্রুপ ছিল ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম। এয়ারপোর্টের এক কর্মচারী আমাদেরকে বারান্দায় জায়গা দেখিয়ে দিল বলল এখানে নামাজ পড়লে কোন সমস্যা নেই। (ডন মুয়েঙ এয়ারপোর্টে মসজিদ আছে, তবে তা ইমিগ্রেশন পার হবার পর।) ফজরের নামাজ জামাতে পড়তে পেরে ভালো লাগলো। নামাজের পর ইন্দোনেশিয়ার গ্রুপ জাকার্তায় কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য আলাদা হয়ে গেল, আমি চলে গেলাম ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে। পথে অনেকগুলো কারেন্সে এক্সচেঞ্জ বুথ। রেট- ১ ডলার= ২৯.৩৪ বাথ। আমি জানি এই এরিয়ায় এক্সচেঞ্জ রেট কিছুটা কম থাকে, বের হবার পরে এক্সচেঞ্জ করবো ঠিক করলাম। ইমিগ্রেশনের লাইনে যত লোক দেখলাম দেখলাম তার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি চিনে চেহারার। থাইল্যান্ডে আসা ট্যুরিস্টদের মধ্যে সম্ভবত চীন থেকে আসা টুরিস্টের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। আমার লাইনে আমার সামনে তিন চারজন বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারী ছিলেন। প্রথমজন মোটামুটি দ্রুত বের হয়ে গেলেন। দ্বিতীয়জন ইংরেজি একেবারেই বোঝেন না, থাই ভাষা জানার প্রশ্নই ওঠে না। ব্যাটা এমন চিজ, দেখলাম সাইন ল্যাঙ্গুয়েজও বোঝে না। ওনার সামনে ডিসপ্লেতে ছবি ভেসে উঠছে কিভাবে কোন আঙ্গুলের পর কোন আঙ্গুল রেখে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান করাতে হবে। কিন্তু উনি কিছুই বুঝছেন না। আমার সামনের ভদ্রলোক উনার বোনের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়ে কিছু বক্তব্য দেওয়ার পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হল এবং প্রায় ৬-৭ মিনিট লাইনে থাকার পর ওই ভদ্রলোক ইমিগ্রেশন ক্রস করলেন । আমার সিরিয়াল আসলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পর আমার পাসপোর্টে ভিসা তে একটা ইউজড লেখা স্টাম্প মেরে দিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসার ছেড়ে দিলেন। এপারেও অনেক কারেন্সি এক্সচেঞ্জ বুথ । সবগুলোতেই রেট সমান, ভিতরে যা, এখানেও তা :( । এরা ডলারের ছোট বিলও গ্রহণ করে। তবে ভিতরে বাইরে সব বুথে পরিষ্কার করে লেখা আছে ছোট ডলারের বিলের জন্য এক্সচেঞ্জ রেট কিছুটা কম (১ ডলার =২৯.২৬ বাথ)। শহরে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করলে কিছুটা ভালো রেট পাবো, আমার এখানে এক্সচেঞ্জ করার আগ্রহ কম। ইনফরমেশন লেখা ডেস্ক এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এই এক্সচেঞ্জ বুথ গুলোই কি সব নাকি বাহিরে আরো আছে । ওখানে কর্মরত মহিলা খুব সুন্দর করে আমাকে বুঝিয়ে দিলেন এই কাস্টমস চ্যানেল এলাকা পার হলে আরো কয়েকটা কারেন্সি এক্সচেঞ্জ বুথ আছে। ওদিকে দৌড়ে যেয়ে দেখি ওখানেও একই রেট :( । আমার আপাতত এখান থেকে শহরে যাবার বাস ভাড়ার মতো টাকা লাগবে, বেশ কয়েকটা এটিএম বুথ, একটা থেকে কিছু টাকা তুলে নেই, শহরে যেয়েই না হয় টাকা বদল করবো। ও হরি! এখানে ক্যাশ মেশিন থেকে টাকা তুলতে গেলে ২২০ বাথ (সাড়ে ছয়শত টাকার মতো) ক্যাশ উইথড্রয়াল চার্জ কেটে নেয়!! সে যত টাকা ই তুলি না কেন, ফ্ল্যাট রেট ২২০ বাথ। বুঝলাম কিছু করার নেই ধরা খেয়ে গেছি, এই রেটেই ভাঙাতে হবে।

টিপসঃ
আসার সময় কিছু ছোট বিল সাথে রাখবেন। ঢাকায় যখন কিনবেন, ছোট বিলগুলোর দাম কম পড়বে। এখান থেকে পাঁচ ডলার মত ভাঙিয়ে নিলেই আপনার শহর পর্যন্ত যাওয়ার বাস ভাড়া হয়ে যাবে। ট্যাক্সিতে শহর যেতে চাইলে কুড়ি ডলার ভাঙানোই নিরাপদ হবে।


ডলার ভাঙানোর জন্য কম বয়স্কা সুন্দরি ক্লার্ক কোন কাউন্টারে আছে দেখে নিয়ে সেখানে যেয়ে আগে এক মিনিট তার রূপের প্রসংশা করলাম। তার পর জিজ্ঞাসা করলাম সে রেট একটু বেশি দিতে পারবে কি না। (এই কৌশল এর আগে এক জায়গার ব্যবহার করে সুফল পেয়েছিলাম)। খুব বিব্রত হয়ে মেয়েটি জানালো আমাকে সে বেশি দিতে পারবে না, তবে আমি চাইলে চকচকে নোট বা আমার পছন্দ মতো খুচরো নিতে পারি। কি করার। এখান থেকেই ভাঙালাম। মেয়েটা অবশ্য ১০০ ডলারের বদলে ২৯৩৪ না দিয়ে ২৯৩৫ বাথ দিয়েছিলো !:#P । এখন শহর যাত্রা, তবে আগের কাজ আগে। সবার আগে চরকা ।



চরকাঃ
এই এয়ারপোর্টে টুরিস্টদের জন্য টুরিস্ট সিম বিক্রি করা হয়। বেশ কয়েকটি কোম্পানির সিম পাওয়া যায়। ট্রিপঅ্যাডভািজার থেকে জেনেছিলাম চরকার নেটওয়ার্ক ভালো। সাত দিন মেয়াদি সিমের দাম তিনশ বাথ, ১৫ দিন মেয়াদি সিমের দাম ৬০০ বাথ। আমার থাকা ১১ দিনের। খরচ বাঁচানোর জন্য ৭ দিন মেয়াদের সিম কিনতে চেয়েছিলাম। ভাবলাম কিছু টাকা অ্যাড করে মেয়াদ বাড়িয়ে নেব। সেলস কাউন্টারের হাসিমুখো বয়স্কা মহিলা জানালেন ৬০০ বাথের সিমের ভিতরে ১০০ বাথ কথা বলার ক্রেডিট ভরা আছে, কিন্তু ৩০০ বাথের সিমে কোন টক টাইম নেই, আমাকে কথা বলতে চাইলে টাকা ভরতে হবে। কাজেই ৬০০ বাথই মেনে নিলাম। কোন ডিসকাউন্ট দিলো না :( , তবে ভদ্র মহিলা যত্নের সাথে সিম ইজেক্ট টুল দিয়ে সিম বের করে নতুন সিম ভরে সেট আপ করে দিলেন। আগের সিম কোথায় রাখবো তা নিয়ে আমার দুশ্চিন্তা বুঝতে পেরে টেপ দিয়ে নতুন সিমের প্যাকেটের গায়ে সিম লাগিয়ে দিলেন। এতে আছে ১৫ দিন মেয়াদের ৬ জিবি 4G ডাটা। ৬ জিবি শেষ হওয়ার পরেও এক মাস ডাটা ব্যবহার করা যাবে তবে তা কম স্পিডে।

শহর যাত্রাঃ
আমার হোটেল খাওসান (নাকি খাহোসান?) রোডের কাছাকাছি। গুগল ম্যাপ অনুসারে এখান থেকে কোন ডায়রেক্ট বাস নেই, আমাকে প্রায় ১৩ মিনিট হেঁটে রাস্তার উল্টো দিকের এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে (স্টেশন ঠিক উল্টো দিকে দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু ক্রস করার যায়গা নেই, ঘুরে যেতে হবে)। সেখান থেকে ট্রেনে করে শহরে যেতে হবে। শহর থেকে বাসে করে খাও সান এলাকায় যেতে হবে। মোটামুটি দু -আড়াই ঘন্টার জার্নি। অথবা আমি ট্যাক্সি নিতে পারি। ট্যাক্সিতে আনুমানিক সাড়ে তিনশ বাথ লাগবে, এক ঘন্টার কাছাকাছি লাগবে। ডন মুয়াং এয়ারপোর্ট শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূর। ভাবছি স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞাসা করব, এখান থেকে বিকল্প কোন উপায় খাওসান রোডের কাছাকাছি বাস বদল করে বা অন্য উপায়ে যাওয়া যায় কিনা। আশেপাশে তাকিয়ে মনে হলো থাইরা অনেক আগেই ক্লোনিং আবিষ্কার করে পুরুষদের এলিমিনেট করে দিয়েছে। এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন ক্রস করার পর এখন পর্যন্ত কোনো পুরুষের দেখা পায়নি। চারিদিকে শুধু মহিলা আর মহিলা। এরমাঝেই ইউনিফর্ম পরা একজনকে জিজ্ঞাসা করতে এসে বলল যে এখান থেকেই খাওসান রোডের বাস যায়।( প্রিয় ব্লগার, থাইল্যান্ডের গেলে গুগল ম্যাপের উপর আস্থা কম রাখবেন। এটা অন্তত অর্ধেক জায়গায় আমাকে ভুল ইনফরমেশন দিয়েছে। এয়ারপোর্ট ট্রেনের কথা অন্য পর্বে আসবে।) বাসের কাউন্টার খুঁজতে দু কদম হাঁটাতেই দেখলাম এক জায়গায় বড় বোর্ডের মধ্যে লেখা আছে ওয়ান টু থ্রি ফোর বিভিন্ন বাস এবং তাদের মধ্যে একটা (৪ নম্বর) বাসা যায় খাওসান রোড এলাকায়। কিন্তু ঠিক কোন লাইনটা চার নম্বর বাসের তা বুঝে ওঠার আগেই দুটা বাস চলে গেল। অবশেষে লাইনে দাঁড়িয়ে সামনে-পেছনে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিত হলাম এটাই চার নম্বরি বাসের লাইন। লাইনে দাড়িয়ে দেখলাম গুগল ম্যাপ দেখাচ্ছে এখান থেকে শহরে যেতে দেড় ঘন্টা লাগবে। সকাল ৭ টা পার হয়ে গেছে। আজকের দিনটা আমার কাঞ্চন নগর (Kanchanaburi--থাই উচ্চারন আমার আসবে না, এটাকে কাঞ্চনবুড়ি বলা যায়, আমি কাঞ্চন নগর বলবো) যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। সকাল ৭-৫০এ কাঞ্চনগরের ট্রেন । ফ্লাইট লেট হওয়ার কারণে আমার সবকিছু লেট হয়ে গেল । কাজেই কাঞ্চনবুড়ির ট্রেন ধরা যাবে হবে বলে মনে হয় না। বিকল্প কি করা যায় তা লাইনে দাড়িয়ে চিন্তা করতে থাকলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুন্দর আরামদায়ক বাস চলে আসলো। সবারই বসার জায়গা হয়ে গেল। পাশে একজন হালকা গোপ ওয়ালা ব্যাটাছেলে বসেছে দেখে জানলাম থাইল্যান্ডে তাহলে ব্যাটা ছেলেরাও বাস করে। টিকিট কালেক্টর টিকিটের টাকা চাইলে ব্যাটা যখন মুখ খুলল তখন বুঝলাম ওটা ব্যাটা না , আসলে বেটি। বাসের ভাড়া ফ্ল্যাট রেট ৫০ বাথ । সামনে লাগেজ রাখার একটা জায়গা আছে, যাদের লাগেজ আছে রাখতে পারে। আমার কাছে অনেক দেশের তুলনায় ভাড়া সস্তা মনে হয়েছে। বাস বেশ তীব্র গতিতে ছুটে চলছিল । সকাল সাড়ে সাতটা। রাস্তায় অনেক গাড়ির জ্যাম দেখলাম। বাস উড়ালসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল, বড় কোন সিগনাল বা জ্যামে পড়িনি। ধারণারও অনেক আগে, এক ঘণ্টার কম সময়ে (৪০-৪৫ মিনিট হবে) খাওসান রোডের কাছে পৌঁছে গেলাম।

ব্যাংককের মাটিতেঃ গুগল ম্যাপ দেখাচ্ছে এখান থেকেই আমার হোটেল কাছে হবে, এখানে নেমে পড়লাম। টিকেট কালেক্টর মহিলা মনে রেখেছে আমি খাওসান রোডের কথা বলেছিলাম। আমাকে বলল খাওসান রোড আরো সামনে, এখানে আমি হেসে বললাম আমার এখান থেকেই কাছে হবে। উঠেছি Zee Thai Hostel এ।এখান থেকে হাঁটাপথে আট মিনিটের রাস্তা। বুকিং ডট কমে এদের রেটিং ৮.৭ । ভাড়া প্রতিদিন ১৭০ বাথ, প্রায় পাঁচ ইউরো বা ৫০০ টাকা, সাথে সকালের নাস্তা ফ্রি। এর চেয়ে শস্তা হোটেল আছে, রেটিং আটের উপর, কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা এখান থেকেই বেশি ভালো মনে হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হল সব হোটেলেই চেক ইন টাইম দুপুর দুটা বা এরকম। হোটেলের চেক ইন কাউন্টারে যেয়ে অনুরোধ করতেই আমাকে লকার রুম খুলে দিল। আমার ব্যাকপ্যাক ওখানে রেখে বেরিয়ে আসলাম। পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা, গায়ে পায়ে ব্যথা ।

হায় জামবাক :(


গুগুলে হালাল ফুড নিয়ার মি টাইপ করতেই দেখিয়ে দিল যেখানে বাস থেকে নেমেছিলাম তার ঠিক পাশেই হালাল খাবারের দোকান।



বাস থেকে নামার সময় একটা বাগান মতো দেখেছিলাম। এবার দেখি কর্পোরেশনের গাড়ি বাগানে জল ঢালছে। ছবি তুলে নিয়ে ভেতরে ঢুকলাম, বাগানটা ভালো করে দেখতে। দেখি এটা আসলে একটা পাবলিক টয়লেট! জায়গাটা পার হয়ে ম্যাপ অনুসারে একটু খুঁজতেই পেয়ে গেলাম খাবার দোকান। আমার ঠিক পিছন পিছন কজন আমেরিকান টুরিস্ট ঢুকলো, মেনু দেখে অর্ডার করলো চিকেন বিরিয়ানি। কাগজের মেনুর পাশাপাশি দেওয়ালে বড় বড় করে খাবারের ছবি আঁকা। ওয়েটারকে ভেজিটেরিয়ান কি আছে জিজ্ঞাসা করতে কয়েকটা আইটেমের কথা বললো। একটা ছবির দিকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করতে সে জানালো সালাদ- দাম ৪০ বাথ। শসা লেটুস ডিম এসব দেখা যাচ্ছে। ওয়েটারকে বলতেই দুমিনিট বাদে সালাদ এসে হাজির। কিন্তু সালাদের উপর কি একটা যেন ঘন বাদামি রঙের ঝোল ছিটিয়ে দিয়েছে। মুখে দিতেই বমি এসে গেলো। বিদঘুটে একটা গন্ধ এবং মিষ্টি মিষ্টি স্বাদ। পেটে প্রচন্ড খিদা। কিন্তু এ খাবার খাওয়া সম্ভব না। ওয়েটারকে এক বোতল ঠান্ডা পানি আনতে বললাম। আমার ব্যাগে পানি ছিল, কিন্তু আনতে ভুলে গেছি; যার কারণে ১০ বাথ আক্কেল সেলামি দিতে হবে। ওয়েটারকে দেখলাম একটা শক্ত , সূচালো স্ট্র নিয়ে সেটা পানির বোতলের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাড়াতাড়ি তাকে হাত উঠিয়ে মানা করলাম, বললাম এমনি পানির বোতল দিয়ে যেতে। থাইল্যান্ডে পানির বোতল কিনলে সব সময় সাথে স্ট্র দেয়। যে কোন সুপার মার্কেট বা রেস্টুরেন্টেই এই রীতি দেখেছি। কোন কোন স্ট্র বেশ শক্ত ও সূচালো, বোতল ফুটো করে ফেলা যায়। পানি দিয়ে সালাদ গিলে নিয়ে খাবার দোকান থেকে বের হলাম। কাঞ্চন নগর যাওয়ার ট্রেন ছিল সকাল ৭-৫০। এখন নটা পার হয়ে গিয়েছে। পরের ট্রেন দুপুর সাড়ে বারোটায়। ওটা ধরলে আজকে আর ফিরে আসা যাবেনা। বাসের রুট পরীক্ষা করে দেখলাম। শহরের এই মাথা থেকে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সেখান থেকে বাসে করে যাওয়া যায়, কিন্তু একই সমস্যা, পৌছাতে অনেক দেরি হবে, আজ ফেরা হবে না। কাজেই প্ল্যান চেঞ্জ করতে হল। আজ কাঞ্চন নগর যাবো না, আজ যাবো সামুদ পাখান

দ্বিতীয় পর্বের লিংক-- কিরপিনের থাইল্যান্ড ভ্রমন (দ্বিতীয় পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১
৩৬টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×