স্কুল জীবনের স্মৃতী রোমন্থন করি এমন জীবনতো আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না । জানিনা আপনাদের কার কেমন কেটেছে এই দিনগুলি বাট আমার জীবনের সবচেয়ে চিন্তাহীন আনন্দময় সময় কেটেছে উইথআউট এক্সাম ছাড়া । সেই স্কুলজীবনের ছোট্ট একটা হাসির ঘটনা শেয়ার করছি আপনাদের সাথে -
তখন প্রাইমরি শেষ করে হাইস্কুলে ছেক্সএ ভর্তি হই । হাইস্কুলের স্যারদের চেয়ে ম্যাডামদের প্রতি একটা আলাদা টান অনুভব করতাম । আমার হার্ট আবার একটু বেশিই দুর্বল ছিলো কিনা তাদের প্রতি । অনেক চেষ্টা করেছি হার্ট আর হার্ড করতে পারিনি । এই দুর্বল হার্ট নিয়ে অনেক বিপদেও পড়েছি ।
একবার ক্লাসে স্বপ্না ম্যাডাম ; তিনি দেখতে কিছুটা কারিশমা কাপুরের মতো ছিলো সম্ভবত ম্যাডামও সুন্দর ছেলেদের প্রতি দুর্বলচিত্তের ছিলো তাই তিনি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য ক্লাসের সুন্দর কিছু ছেলেকে এক এক করে ডেকে গানের গলা পরিক্ষা করতে ছিলো এক সময় ডাক পড়লো আমার এই ছেলে এই তুমি হ্যা হ্যা তুমি এইদিকে আসো তোমার নাম কি ? আমিতো পুড়াই "মেই হুনা" হিন্দি ছবির টিচার সুস্মীতা সেনের হিরো শাহরুখ খানের মতো উইড়াগেলাম ম্যাডামের কাছে । নাম কইয়া চোঁখ বন্ধ কইরা শুরু করেদিলাম জাতীয় সঙ্গীত একটু পড় শুনি কেলাসের সবাই হাসতাছে
হাসিতে ফাইটা পড়ছে । ম্যাডাম গান থামায় দিয়ে কান ধইরা কইলো জাতীয় সঙ্গীতের ২য় লাইন ছাড়া কি আর লাইন নাই তুই খালি ঐইটাই গাওয়া শিখছস আর গানের গলা এমন কেন তোর । একটা আদুরে থাপ্পড় দিয়ে আমারে আমার জায়গায় পাঠায় দিলো । আসলে আমি গান গাইতে পারিনা আর গানের গলাও একদম বাজে, সেদিন শুধু ম্যাডামের কারনে গাইছিলাম বাট ম্যাডামতো বুঝলোনা কি আর করার তারপর আর কখনো গান করিনি । ম্যাডামের কাছে যাইয়া গান গাইতে ধরে জাতীয় সঙ্গীতের পরের লাইনগুলা ভুলে গেছিলাম লজ্জা আর ভয়ে ।
এখনো এই স্মৃতী মনেপড়লে হাসি পায় আর ম্যাডামরে খুব দেখতে মুনচায় বাট সময় সুযোগের কারনে হয়ে উঠেনা । ম্যাডামকে শ্রদ্ধা ভরে সরন করছি তিনি আমাকে স্কুলে পরবর্তীতে খুব আদর করতো ।
জানিনা এখন
কোথায় আছে
কেমন আছে
দোয়া করি
সুন্দর থাকুক
ভালো থাকুক ।
সেদিন বলতে পারিনি আজ বলছি
Medam,
I LOVE YOU.

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



