somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাম্প্রদায়িকতা : ভারত ও বাংলাদেশ? -মুরতাহিন বিল্লাহ জাসির

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাম্প্রদায়িকতা : ভারত ও বাংলাদেশ? -মুরতাহিন বিল্লাহ জাসির


নামের পরিবর্তন : ভারতের আসাম রাজ্যের বাংলাভাষী বরাক উপত্যকা। বছর কয়েক আগে সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, নাম আসাম ইউনিভার্সিটি। শিলচর শহর থেকে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার দূরে যে স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত তার নাম দরগাকুনা। হযরত শাহজালাল (র.)'র সংগী ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে কোন একজন দরবেশ ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এ কারণে, তাঁর স্মৃতিধন্য এলাকাটির নাম হয়েছে দরগাকুনা। এলাকার ডাকঘরের নামও রাখা হয়েছে দরগাকুনা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ডাকঘরটির নাম ছিল দরগাকুনা। প্রায় ২০-২২ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এলাকাটির যখন গুরুত্ব বেড়ে গেল, তখন ডাকঘরটির নামও পাল্টে গেল। ‘দরগাকুনা' এবার হয়ে গেল ‘দুর্গাকুনা'। ডাকঘর কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। কাজেই এটা পরিষ্কার যে কাজটি করা হয়েছে সরকারিভাবে। কাগজ-পত্রে বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ার পর স্থানীয় লোকগণ যখন ডাকঘরটির নাম-বিকৃতির প্রতিবাদ করলেন, তখন বলা হলো, এটা ভুলে হয়ে গিয়েছে, সংশোধন করা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভুলটি আর সংশোধন করা হয়নি বা হবার কোন উদ্যোগই নেয়া হচ্ছে না। এ হচ্ছে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে হিন্দু মানসিকতার একটি মাত্র উদাহরণ।
কেবল উপরের উদাহরণ নয়, আরও ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে যে, ভারতের হিন্দুত্ববাদীগণ যে কোন মুসলিম ঐতিহ্য বা ঐতিহাসিক নিদর্শনের চিহ্নও বহাল রাখতে প্রস্তুত নয়। এটা তাদের নিকট যেন অসহনীয়। মুসলিম ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন নাম পরিবর্তনের কাজ সেখানে নানাভাবে চলছে। আলীগড় জেলায় গেলে দেখবেন বিভিন্ন স্থানে ‘আলীগড়' শব্দের স্থানে লেখা হয়েছে ‘হরিগড়'। মধ্যপ্রদেশের আজমগড়কে এখন বলা হচ্ছে ‘আরইয়মগড়'। এভাবে মির্যাপুরকে লেখা হচ্ছে ‘মীরজাপুর'। কারণ, হিন্দুদের ধারণা এ স্থানটিতে নাকি তাদের দেবী মীরজা বাস করতেন। লক্ষ্ণৌ শহরের প্রসিদ্ধ ‘বেগম হযরতমহল' পার্ককে এখন বলা হচ্ছে ‘উর্মিলা ভাটিকা'।
মুসলিম ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন নাম পরিবর্তনের কাজ ভারত-বিভাগপূর্বকালেও হয়েছে সুচতুর হিন্দুত্ববাদী ব্রাহ্মণদের কারণে। এ প্রসঙ্গে কয়েকটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর এক সময় ছিল মদিনাপুর। পরে অত্যন্ত সুচতুরভাবে নামটিকে বিকৃত করা হয়েছে। অনুরূপভাবে, বাংলাদেশের মোমেনশাহীকে করা হয়েছে ময়মনসিংহ এবং ঈশা খাঁর দীঘিকে ঈশ্বরদী। আরও দেখবেন, বিভিন্ন স্থানের মোহাম্মদপুর হয়ে গিয়েছে মামনপুর (আবার কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বিকৃত হয়ে তা হয়ে গিয়েছে ব্রাহ্মণপুর)।
বর্তমান স্বাধীন ভারতে নামের বিকৃতি নয়, পরিবর্তনের কাজটি অবাধে চলছে। উদ্দেশ্য, ভারতের মাটি থেকে মুসলিম ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনের সমুদয় চিহ্ন মুছে ফেলা। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার ঠিক পর থেকেই মহারাষ্ট্র রাজ্যের Poona শহর হয়েছে Pune এবং Thana হয়েছে Thane। অনুরূপভাবে, গুজরাটের বারোদা এবং আহমদাবাদ নতুন নাম হিসেবে পেয়েছে যথাক্রমে ভাদদ্রা ও আমদাবাদ। হুসাইন সাগর নামক যে মশহুর হ্রদটি সারা হায়দরাবাদ শহরের পানির প্রয়োজন মেটায়, তাকে এখন বলা হয় ‘বিনায়ক সাগর'। কারণ, কোন এক হিন্দু নাকি বলেছে, তাদের পৌরাণিক দেবতা গণেশের মূর্তিকে এ সাগরে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। শুধু হুসাইন সাগর কেন, এমনকি ‘হায়দরাবাদ' শহরটির নাম পরিবর্তন করে ‘ভাগ্যনগর' রাখার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানানো হচ্ছে। নাম পরিবর্তনের জন্য আরও নতুন নতুন দাবি উঠছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, ‘আল্লাহাবাদ' এর নাম হবে প্রয়াগ, ফয়যাবাদ হবে সাকেট এবং লক্ষ্ণৌ হবে লক্ষণপুর।
এদিকে বাংলাদেশের অবস্থা হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে হিন্দু ঐতিহ্যবাহী কোন কিছুর নামের পরিবর্তনের একটি ঘটনাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখানে বরং হিন্দু ঐতিহ্যবাহী নামকে আরও মহিমান্বিত করা হচ্ছে।
ইতিহাস বিকৃতি : ভারতে শুধু স্থানের নাম নয়, মুসলিম শাসনকালের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ব্যাপারে নতুন নতুন ইতিহাস তৈরি করা হচ্ছে। এটা ঐতিহাসিক সত্য যে দিল্লীর বিখ্যাত কুতুব মিনারটি নির্মাণ করেছিলেন কুতুবুদ্দিন আইবেক। কিন্তু কট্টর মৌলবাদী সংগঠন আরএসএস'র পরিচালিত স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিখানো হচ্ছে, কুতুবমিনার কোন মিনার নয়, এটা আসলে একটি স্তম্ভ। হিন্দু রাজা সমুদ্রগুপ্ত এ স্তম্ভটি নির্মাণ করেছিলেন। বিষ্ণু দেবতার জন্য নিবেদিত এ স্তম্ভটির নাম তিনি দিয়েছিলেন বিষ্ণুস্তম্ভ। পরে হিন্দু রাজা পৃথ্বীরাজ স্তম্ভটির সংস্কার করেছিলেন। কুতুবুদ্দিন আইবেক স্তম্ভটির কিছু অংশ ভেঙে দিয়ে তাতে ফার্সি কিছু উক্তি লিখিয়ে নিয়েছিলেন। তখন থেকেই স্তম্ভটির নাম হয়েছে কুতুবমিনার। আরও শিখানো হচ্ছে, তাজমহল মুসলিম শাসনামলে নির্মিত হয়নি। এটা আসলে একটি শিবমন্দির, যা হিন্দুদের গৌরবের যুগে নির্মিত হয়েছিল। এগুলো ইতিহাস বিকৃতির কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। হিন্দুত্ববাদীগণ অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিকল্পনার আওতায় ভারতের ইতিহাসকে ইচ্ছেমত বিকৃত করে নতুনভাবে লিখছে এবং শিক্ষার্থীদের নতুন ইতিহাস শিখাচ্ছে। ‘ইতিহাস শুদ্ধক মন্ডল' নামক ইতিহাস পুনর্গঠনে নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান মি: পি.এন. অউক বিশ্বাস করেন, ভারতের ইতিহাসকে নতুনভাবে লিখতেই হবে, কারণ মুসলিম ও ইংরেজ শাসকগণ ইতিহাসকে বিকৃত করেছিলেন। বিজেপি নেত্রী সাধ্বী রিতম্ভরা সদম্ভে ঘোষণা করেছেন,
“Wherever you find ruins, wherever you come upon broken monuments, you find the signature of Islam. Wherever you find creation, you discover the signature of Hindu.”
অর্থাৎ, যেখানেই কোন ধ্বংসাত্মক কাজ দেখবেন, যেখানেই কোন ভগ্ন মনুমেন্ট দেখবেন, তাতে পাবেন ইসলামের স্বাক্ষর। যেখানেই কোন সৃজনমূলক কাজ দেখবেন, তাতে পাবেন হিন্দুর স্বাক্ষর।
মুসলিম শাসনামলের স্মৃতিবাহক স্থান ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন এবং ইতিহাস বিকৃতি হতেই থাকবে। যতদিন পর্যন্ত প্রতিটি মুসলিম ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ভারতের মাটি থেকে মুছে ফেলা না হবে, ততদিন পর্যন্ত এ কাজ চলতেই থাকবে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রায় সাড়ে চারশ' বছর পূর্বে নির্মিত বাবরি মসজিদকে গুঁড়িয়ে ফেলার পর নিখিল ভারত সন্ত সমিতির সভাপতি আচার্য ভামদেব সদম্ভে ঘোষণা করেছিলেন: “We must wipe out the symbols of our past slavery. The Babari Masjid is one of such symbols.”
অর্থাৎ, আমাদেরকে অতীতের দাসত্বের প্রতিটি নিদর্শনকে অবশ্যই মুছে ফেলতে হবে। এ ধরনেরই একটি নিদর্শন হচ্ছে বাবরি মসজিদ।
বাংলাদেশের অবস্থা : আমাদের প্রতিবেশী ধর্মনিরপেক্ষ (?) দেশটির সাম্প্রদায়িক মানসিকতার মাত্র কয়েকটি উদাহরণ ইত:পূর্বে দেয়া গেল। এবার সরকারিভাবে ঘোষিত ইসলামী রাষ্ট্র বাংলাদেশের দিকে একটু নজর দেয়া যাক। নিছক সাম্প্রদায়িক বিবেচনায় হিন্দু ঐতিহ্যের স্মৃতিবাহী কোন স্থান বা স্থাপনার নাম পরিবর্তনের চিন্তা কস্মিনকালেও এ দেশের মানুষের ছিল না। ভারতে যা হচ্ছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেও এ ধরনের কোন ঘটনা এদেশে ঘটেনি। একটি উদাহরণ দিচ্ছি। সিলেট শহর থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী শহর করিমগঞ্জ খুব একটা দূরে নয়। অবিভক্ত ভারতে এলাকাটি সিলেটেরই অংশ ছিল। বৃটিশ আমলে এহিয়া চৌধুরী নামক জনৈক শিক্ষানুরাগী মুসলমান সেখানে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কলেজটির নাম ছিল ‘এহিয়া কলেজ।' ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার সাথে সাথে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘করিমগঞ্জ কলেজ'।
নাম পরিবর্তনের এ ঘটনার কোন প্রতিক্রিয়া কিন্তু সিলেটে হয়নি। সিলেটের হিন্দু ঐতিহ্যবাহী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আজও স্বনামে অবস্থান করছে। যেমন, মুরারীচাঁদ কলেজ, মদনমোহন কলেজ, রাজা গিরীশচন্দ্র হাইস্কুল, দুর্গাকুমার পাঠশালা, সারদা হল প্রভৃতি। অনুরূপভাবে, সিলেটের দুটো উপজেলা হিন্দুদের দু'জন দেবতার নাম বহন করছে। এগুলো হলো বিশ্বনাথ এবং জগন্নাথপুর। বিশ্বনাথ হচ্ছে শিব এবং জগন্নাথ বিষ্ণুর অন্যতম নাম। উপজেলা দুটোতে বহু আলেম-উলামা রয়েছেন, মাদরাসা রয়েছে। কিন্তু, ইসলামের মৌলিক শিক্ষা তাওহীদের সাথে সাংঘর্ষিক হলেও কেউই কোনদিন নাম দুটো পরিবর্তন করার কথা চিন্তা করেনি। ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়া-আসা করার সময় একটি গ্রামের প্রবেশপথে বড় একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়। তাতে লেখা রয়েছে ‘ব্রাহ্মণগ্রাম'। বৃটিশ আমলে ব্রাহ্মণদের প্রভাবে গ্রামটির এ নাম রাখা হয়েছিল। কিন্তু বৃটিশ ভারত বিভাগের পর গ্রামের ব্রাহ্মণগণ ভারতে চলে গেলেও স্থানীয় মুসলমানগণ এ নামটিকে শুধু অাঁকড়ে ধরে রাখেননি, বরং সাইনবোর্ডটি টাঙিয়ে ব্রাহ্মণ ঐতিহ্যকে উপরে তুলে রেখেছেন।
শুধু সিলেটের কথা কেন। বাংলাদেশের কোথাও এমন ঘটনা বের করা মুশকিল, যাতে সাম্প্রদায়িক বিবেচনায় কোন নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা শহরেই এর বহু প্রমাণ রয়েছে। পরিবর্তন তো নয়ই, এমনকি হিন্দু ঐতিহ্যকে আরও মহিমান্বিত করার চেষ্টা এ দেশে অহরহ চলছে। উদাহরণস্বরূপ, বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ধরা যাক। মাত্র সেদিন এটা ছিল একটি কলেজ।& কোন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির অনুদানে হয়তো কলেজটির এ নাম রাখা হয়েছিল। কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নীত করার সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার পার্থক্য জানতেন না, তা বলা যায় না। এ পার্থক্যকে বিবেচনায় রেখে নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন স্থাপনার নামের সাথে ‘জগন্নাথ' শব্দটিকে বহাল রেখে এ দেশের কোন গুণীজনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম রাখা যেতো। এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তা করা হয়নি। তা না করে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রেখে তার মর্যাদাকে অনেক উন্নত করা হয়েছে। এ ধরনের উদারতার আরও বহু উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। তথাপি ব্রাহ্মণ্যবাদী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া এবং বৈদেশিক শক্তির পোষ্য এদেশী জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীদের প্রচার-প্রচারণায় মনে হয়, সাম্প্রদায়িকতা কোথাও থাকলে কেবল এ দেশেই আছে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় : শুনা যাচ্ছে, কবি রবীন্দ্রনাথের নামে দেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। জানি না, এটা করা হচ্ছে এ দেশের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য, না রবীন্দ্রনাথের প্রতি কারো বিশেষ অনুরাগের কারণে। কবি ও সাহিত্যিক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ সবার শ্রদ্ধার পাত্র, সন্দেহ নেই। কিন্তু জমিদার হিসেবে তিনি এদেশবাসীর জন্য এমন কিছু রেখে যাননি যার কারণে তিনি আমাদের নিকট বাড়তি কিছু দাবি করতে পারেন। তাঁর জমিদারির আয়ের সমুদয় অর্থ যোগান দিতেন এদেশেরই নিপীড়িত মুসলিম প্রজাগণ, আর তিনি তা ব্যয় করতেন হিন্দু অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গে। সেখানে তিনি শান্তি নিকেতন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন, কিন্তু এ দেশের লোকদের জন্য জনহিতকর কিছুই করেননি, এমনকি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও না। বৃটিশ সরকার ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর যারা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাদের শীর্ষস্থানে । তার অবস্থান ছিল সর্বদাই এ দেশের জনগণের স্বার্থের প্রতিকূলে। এদিক থেকে বলা যায়, রবীন্দ্রনাথের নামে যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়, তবে তা হবে একটি নির্মম পরিহাস, যদিও এদেশের একশ্রেণীর লোকের নিকট তিনি কেবল শ্রদ্ধেয় নন, পূজনীয়ও বটে। কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কোন ব্যক্তি যা ইচ্ছা করতে পারেন। কিন্তু জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা খরচ করে রবীন্দ্রনাথের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার যৌক্তিকতা কতটুক, বিশেষ করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যপীড়িত এ দেশে, তা ভেবে দেখার দরকার আছে।
আরবী ভাষার একটি প্রবাদ দিয়েই শেষ করছি। বলা হয়েছে: মূর্খের দু'টি অবস্থা: সে হয়তো অমিতাচারী নতুবা কিপটে।

-লেখক: সাবেক গবেষক ও কনসাল্টেন্ট, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা।

Click This Link
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×