somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিরিশিরি ভ্রমন ২০১০

২২ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা কজন বন্দ্বু গিয়েছিলাম বাংলাদেশের সিমান্তবর্তী নেএকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি যা এক অপুর্ব জায়গা । আমি নিশ্চিত, আপনি আমার সাথে একমত হবেন যে বিরিশিরি বিনোদনের জন্য এক চমৎকার জায়গা । সেখানে দেখার মত আছে খরস্রোতা সোমেশ্বর নদীর সচ্ছ পানি, পাহাড়, ১৯১২ প্রতি্ষ্ঠিত সাধু যোশেফের ধর্ম পল্লী রানী খং, চিনামাটির পাহাড়, বিজয়পুর সীমান্তফাড়ীঁ, কৃষক বিদ্রোহী কুমুদিনি হাজং এর বাড়ি, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমী, টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ, রাণীমাতা রাশমণি স্মৃতি সৌধ, কমলা রাণী দিঘী ।
সোমেশ্বর নদী

আমাদের বিরিশিরি ভ্রমন কাহিনি এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা কারলাম, তবে আমি আপনাদের কে সর্তক করে দিচ্ছি যে আসলে আমরা বিরিশিরি বলে জানলেও সব দর্শনীয় স্হান গুলো কুল্লাগড়া ইউনিয়ন এলাকার মধ্যে অবস্থিত আর বিরিশিরি ইউনিয়ন পার হয়ে কুল্লাগড়া যেতে হয় । এখানে মনে রাখার মত বিষয় হল জারিয়া ঝাঞ্জাইল বাজার পর্যন্ত বাসে করে যেতে পারবেন তবে যদি মাইক্রো বা প্রইভেটকার হয় তাহলে জারিয়া ঝাঞ্জাইল বাজার থেকে ডান দিকের কাচা রাস্তা হয়ে দুর্গাপুর উপজেলা সদর প্রায় ১৫ কিঃ মিঃ পথ । আর বাস দিয়ে গেলে জারিয়া ঝাঞ্জাইল বাজার এর পর একটি ভাংগা ব্রিজ নৌকা করে পার হয়ে মটর বাইক বা রিক্সা করে দুর্গাপুর যেতে পারেন ।


আমরা নয় বন্দ্বু হিমু, মামুন, রাসেল, জসিম, মিন্টু, বিপু, সজল, সোহেল এবং আমি রোজার ঈদের ৩য় দিন ঢাকা থেকে ৬০০০ টাকায় একদিনের জন্য মাইক্রো ভাড়া করি ।

ময়মনসিংহ শহরের আগেই গাড়িতে গ্যাস ভরে নিতে হবে




সোমেশ্বরী নদীর দুর্গাপুর প্রান্ত

আমরা সকাল ছয়টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করি এবং নয়টায় ময়মনসিংহের ভালুকা গিয়ে গাড়ি থামিয়ে সকালের নাস্তা করি, এখানে প্রায় এক ঘন্টা দেরি তাই আপনাদেরকে আমার পরামর্শ খাবার দাবার গাড়িতেই সারবেন ।
নেত্রকোনার জারিয়া ঝাঞ্জাইল বাজার পার হয়ে আমরা এক মহাবিপদে পরি সামনে এক অসমাপ্ত ব্রিজ গাড়ি আর যাবেনা । পরলাম এক জামেলায় তখন আবার প্রচন্ড বৃষ্টি, কিছু ইনফরমেশন কালেক্ট করলাম _নৌকা করে নদী পার হয়ে ঐ পার থেকে মটর সাইকেল অথবা রিকসা করে প্রায় নয় কিঃ মিঃ দূর্গাপুর বাজার, তখন বেলা প্রায় ১২ । অন্য একটি উপায় পাওয়া গেল দূর্গাপুর বাজার যেতে একটি বিকল্প কাচা রাস্তা আছে, গাড়ি ঘুরাতে হবে কিন্ত রাস্তা সরু তার উপর চাকা ফেসে গেছে তাতে গাড়ি ঘুরাতে আমাদের এক ঘন্টা সময় লাগল । সবাই বৃষ্টিতে বিজে সাথে কিছু স্থানীয় লোক গাড়ি ঠেলে দিলেন । আমি দুঃখিত যে গাড়ি ঠেলার কোনো ছবি তুলতে পারিনি । অবশেষে আমরা দূর্গাপুর বাজার এসে পৌছালাম বেলা ২ টায়

দূর্গাপুর পৌছার পর


দুপুরের খাবার সেরে অনেক দর কষাকষি করে ৭০০ টাকায় রানি খং গির্জা পর্যন্ত ট্রলার ভাড়া কারলাম ।তবে প্রকৃত ভাড়া তিন ঘন্টার জন্য ৪০০ টাকার বেশী হবেনা ।



হিমুর এই ছবির দাম লাখ টাকা,

সোমেশ্বরী নদী

সোমেশ্বরী নদী

সোমেশ্বরী নদী


তবে আপনারদের কে আমার পরামর্শ যদি শীত মৌসমে যান তবে রিকসা বা পায়ে হেটে যেতে পারেন রানি খং তবে বর্ষা কাল হলে ট্রলার ভাড়া করে যাবেন । আমি যেহেতু বর্ষা মৌসমে গেছি তাই আমি এই মৌসমকেই ভাল বলব একারনে যে নৌকা দি্য়ে গেলে ভারত এবং মধ্য অবস্থিত সোমেশ্বরী নদীর রুপ অবলোকন করতে পারবেন ।

রাণী খং গির্জা


রাণী খং গির্জার সামনে

এখানে বলে রাখা ভাল দূর্গাপুর বাজার থেকে রাণী খং প্রায় সাত কিঃ মিঃ আর রাণী খং গীর্জা একটি উচু পাহাড়ের উপার অবস্থিত ।

পায়ে হেটে উপরের দিকে উঠছি

রাণী খং থেকে ৭ মিনিট হাটলেই বিডিআর এর বিজয়পুর সীমান্তফাড়ীঁ এটিও একটি উচূ টিলার মধ্যে অবস্থিত নদীর ওপার বাংলাদেশের কিছু সিমানা এবং ভারতীয় বড় বড় পাহাড় যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই ।

বিজয়পুর সীমান্ত ফাড়ীঁ থেকে ওপারে বাংলাদেশের একটি বিডিআর ক্যাম্প ।

এই দিকে

এবার বিজয়পুর সীমান্ত ফাড়ীঁ থেকে আমরা চারটি রিকসা ভাড়া করি চিনা মাটির পাহাড় ।
রিকসা ভাড়া যাওয়া এবং আসা ১৫০ টাকা করে তবে একটির ভাড়া ২০০ বলুনত কেন ? হাতে সময় থাকলে হেটেই যেতে পারেন সময় নিবে ৩৫ কি ৪০ মিনিট । ঐ পথেই পাবেন হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ ।

হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ

ভিত্তি প্রস্তর

হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ সামনে ।

রিক্‌সা থামিয়ে আমরা ফটোসেশন এর কাজ সেরেনিলাম মাত্র তিন মিনিটে । কারন আমাদের হাতে একদম সময় নেই ।

চিনামাটির পাহাড়ের দিকে যাচ্ছি

আমাদের হাতে সময় না থাকার কারনে শুধু প্রথম পাহাড়ে যেতে পারলাম, তবে আপনারা সময় নিয়ে যাবেন তাহলে আমাদের মত কোনো আফসোস থাকবেনা ।

চিনামাটির পাহাড় এর সামনে
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:৩২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×