সহিংস আন্দোলন কর্মসূচি মোকাবেলায় প্রায় দুই কোটি টাকার ২০ হাজার টিয়ার শেল ও ৫০ হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট কেনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ বাহিনীর জন্য এ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদের চাহিদা জানিয়ে একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গোলাবারুদ সরবরাহকারী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চীন সফর করে গোলাবারুদ আমদানির ব্যাপারে চূড়ান্ত করেছে।
সূত্র জানায়, চলতি মাসের প্রথমদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটের চাহিদা জানিয়ে পুলিশের বার্ষিক বাজেট থেকে ওই পরিমাণ অর্থ ছাড় দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করা হয়। তবে পুলিশের বার্ষিক বাজেটে অতিরিক্ত এ অর্থের বরাদ্দ না থাকায় দেখা দেয় বিপত্তি। জানা গেছে, অতিরিক্ত অর্থের বরাদ্দ না থাকলেও সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনুরোধে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে ওই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হবে। আর জুন মাসের শেষদিকে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটের চালান দেশে এসে পৌঁছাবে। তবে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলায় গোলাবারুদ কেনাকাটার বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার। তিনি বলেছেন, এটি পুলিশের নিয়মিত কেনাকাটার একটি অংশ। এর সঙ্গে আন্দোলন মোকাবেলার কোন সম্পর্ক নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দু’বছর আগে পুলিশের জন্য প্রায় এক কোটি টাকার টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট কেনা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই ওই গোলাবারুদের বেশির ভাগ শেষ হয়ে গেছে। অপর একটি সূত্র বলেছে, গত বছর যে টিয়ার শেল আমদানি করা হয়েছিল, তা ছিল চীনের তৈরি। এর কর্মক্ষমতা এবং ঝাঁজ অনেক কম। এ কারণে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ব্যবহারের পরও জনতার আন্দোলন মোকাবেলায় কর্তব্যরত পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেল তুলে আবার পুলিশের দিকেই ছুড়ে মেরেছে আন্দোলনকারীরা। এর ফলে আন্দোলন মোকাবেলায় পুলিশকে যেমন বেগ পেতে হয়েছে, ঠিক তেমনি জনতার হাতে পুলিশ আক্রান্তের ঘটনাও ঘটেছে বেশি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে পুলিশ বাহিনীর জন্য ইতালি ও আমেরিকার তৈরি টিয়ার শেল এবং রাবার বুলেট আমদানি করা হতো। কিন্তু ওই টিয়ার শেল ব্যবহারের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকেÑ এ ধরনের একটি রিপোর্টের পর তা ধ্বংস করে দেয়া হয়। এছাড়া আমেরিকা ও ইতালির তৈরি ওই রাবার বুলেটের মূল্যও অনেক বেশি।
সরকার বিরোধী আন্দোলন নির্মমভাবে প্রতিহত করতে ২ কোটি টাকার রাবার বুলেট আর টিয়ারসেল কেনা হচ্ছে। সরকার প্রস্তুত, তবে বারাব বুলেট আর টিয়ারসেলের সামনে বুক পেতে দিতে বিরোধী দল প্রস্তুত তো?
View this link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



