somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাবার বিষয়

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান দুনিয়ায় একমাত্র মুসলমানদের কাছেই সম্পূর্ণ অবিকৃত ও অপরিবর্তিত বই আছে যার নাম কুরআন । কুরআনের যে শব্দ আল্লাহর নবীর প্রতি নাজিল হয়েছিল, আজ পর্যন্ত অবিকল তা-ই আছে। কুরআন শরীফ মানুষের ওপর এজন্য নাজিল হয়েছিল যে, তারা এটা পড়বে, বুঝবে, তদনুযায়ী কাজ করবে ।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, যতদিন মানবজাতি সরাসরি কুরআনের হেদায়াত অনুযায়ী চলেছে, ততদিন এটা তাদেরকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ নেতা বানিয়ে রেখেছে ,তখন তারা পৃথিবীর অনেক বিশাল স্থানে খুব দ্রুত তাদের দৃস্টিভঙ্গি ছড়াতে সক্ষম হয়েছিল ।
কিন্তু আজকাল তারা কুরআন দ্বারা জ্বিন-ভুত তাড়ান ছাড়া আর কোনো কাজই করছে না। এর আয়াত লিখে তারা গলায় বাঁধে, তা লিখে ও গুলে পানি খায়, আর শুধু পূণ্য সঞ্চয় করার উদ্দেশ্যে না বুঝে পাঠ করে, তারা আজ এর কাছে সহজ পথ কেমন হবে তা জানতে চায় না। তাদের কাজ-কর্ম কিরূপ হওয়া উচিত, তাদের চরিত্র কিরূপ হওয়া দরকার, তারা এ দুনিয়ায় কিরূপে জীবন যাপন করবে, লেন-দেন কিভাবে করবে, কোন্ নিয়ম অনুসারে তারা মানুয়ের সাথে বন্ধুত্ব বা শত্রুতা করবে,অন্যের প্রতি ও তাদের নিজেদের প্রতি তাদের কর্তব্য কি ? কিসে তাদের সম্মান ও সফলতা হবে, কোন্ কাজে ধন-দৌলত লাভ হবে, তাদের ব্যর্থতা এবং ক্ষতিই বা কিসে হতে পারে-কুরআনের নিকট এ সমস্ত প্রশ্নের জবাব খোজা মুসলমানরা এখন প্রায় ছেড়েই দিয়েছে।
লোকেরা যে রকমের এবং যে পরিমানের মঙ্গল এক কাছে চাবে, কুরআন তাই এবং ততটুকুই দান করবে। জ্বিন-ভূত তাড়ান, সর্দি-কাশির চিকিৎসা, মামলা-মোকদ্দমায় জয়লাভ, চাকুরী লাভ আর এ ধরনের সব ছোট ছোট জিনিস যদি তারা এর কাছে চায়, তবে তাই সে পাবে । মানুষ আজ মহাসমুদ্রের কাছে হতে মাত্র দু’ফোটা পানি নিচ্ছে, অথচ সমুদ্র তাদেরকে বড় নদী দান করতে পারে।

যদি কোনো ব্যক্তি যদি ডাক্তারের কাছ থেকে পেসক্রিপশন এনে কাপড়ে জড়িয়ে গলায়, হাতে বা কোমরে বেঁধে রাখে, কিংবা পানিতে ধুয়ে তা পান করে তাহলে তাকে দেখে আমাদের হাসি পাবে এবং তাকে সবাই আহম্মক ভাববে ।
কিন্তু সবচেয়ে বড় ডাক্তার আমাদের রোগের চিকিৎসা ও মনের নিরাময় করার উদ্দেশ্যে যে অতুলনীয় পেসক্রিপশন লিখে দিয়েছেন, সেই পেসক্রিপশনের সাথে দিন-রাত আমাদের চোখের সামনেই ওই একই ধরনের ব্যবহার হচ্ছে । অথচ সেই জন্য কারো এতটুকু হাসির উদ্রেক হয় না। একথা কেউই ভেবে দেখেন না যে, পেসক্রিপশন গলায় বাঁধার বা ধুয়ে খাবার জিনিস নয়, এর বিধান অনুযায়ী ওষুধ বানিয়ে ব্যবহার করার জন্যই তা লিখিত হয়েছে।
তারপরে আরো একটি ব্যাপার আছে যদি কোন রোগী একটি মেডিকেলের বই নিয়ে পড়তে শুরু করে আর মনে করে যে, এই বইটি না বুঝে মন্ত্রের মত পড়লে সব রোগ আপনা আপনি দূর হয়ে যাবে। তবে আমরা তাকে পাগলা গারদে পাঠানোর সিদ্দান্ত নিবো , তাই নয়কি ? আল্লাহ তাআলা আমাদের মন ও দৈহিক চিকিৎসার জন্য যে মহান বই পাঠিয়েছেন, তার সাথে আমাদের ব্যবহার ঠিক একই রকম হচ্ছে বলেই এখন চোখে পড়ছে কি ?

এটা কি বাস্তবিকই আশ্চর্যের ব্যাপার নয়?এসব কথা আমি হাসি-তামাশার জন্য বলছি না।আমরা যদি একথা চিন্তা করে দেখি তবে আমাদের অন্তরই বলে দেবে যে, দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় অবিচার হচ্ছে আল্লাহর এ মহান কিতাবের প্রতি। আর এ অবিচার শুধু তারাই করছে, যারা এ কিতাবের প্রতি ঈমান রাখে বলে দাবী করে এবং এর জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত বলে প্রচার করে।

সব কথার মূল কথা হলো কুরআন কোন মন্ত্রের বই নয় যে এটি শুধু না বুঝেই ঝারফুকের কাজে ব্যাবহার করতে হবে আসলে এটি একটি জীবন বিধান যা আমাদেরকে মাথা উচু করে বাচতে ও চলতে শিখায় । সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে নিয়মিত অর্থসহ কুরআন বুঝে পড়ার শক্তি দান করুন ।

একটি কুরয়ানের বাণী দিয়ে শেষ করছিঃ হে নবী! তোমার প্রতি কুরআন এ জন্য নাযিল করিনি যে, এটা সত্ত্বেও তুমি হতভাগ্য হয়ে থাকবে।” (সূরা ত্ব-হা: ১-২)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×