somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যতদিন আমেরিকার ডলারের চাহিদা আছে, ততদিন আমেরিকাই সব । এই চাহিদা তৈরি করে কে ? একটি বই রিভিউ

২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



টাকার গন্ধ
লেখক: ড. মাহমুদ আহমদ
প্রকাশনী: আহসান পাবলিকেশন

বইটির মুখবন্ধে লেখক লিখেছেন,
"মধুর চেয়ে মিষ্টি যে টাকা তার আবার গন্ধ কি? টাকা মানেই তো ক্ষমতা। কিন্তু না। টাকা দিয়ে সব কিছু করা যায় না। যেমন- টাকা দিয়ে বালিশ কেনা যায়; ঘুম কেনা যায় না।

টাকা কারো জন্য সম্পদ; কারো জন্য বিপদ। দুনিয়া জোড়া এখন যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তাও এই টাকার জন্য। তাই তো টাকার এত গন্ধ।

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে জানতে এবং মন্দা পরিস্থিতিতে টাকার কষ্ট দূর করে জীবনকে সুখী করতে এ বই আপনাকে সাহায্য করবে।"

বইয়ের ভিতরে কি রকম বিষয় আলোচনা করা হয়েছে তার কিছু নমুনা না দিয়ে থাকতে পারছি না ।

কেন আমেরিকা জোর করে হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে ?
এর উত্তর পেতে হলে আপনাদেরকে আমেরিকার মুদ্রা ব্যবস্থা বা ‘ডলার’কে বুঝতে হবে।

কাগুজে বা ধাতব নোটের নিজস্ব কোন মুল্য নাই, এটি একটি রিপ্রেজেন্টর মাত্র। এক সময় প্রতিটা নোটের সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে সমমুল্যের স্বর্ণখন্ড গচ্ছিত থাকতো। "চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে" কথার মানে হল আপনি যদি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে যেয়ে আপনার কাছে থাকা কোন নোট এর প্রকৃত মুল্য ফেরত চান তাহলে ব্যাংকে গচ্ছিত ঐ নোটের বিপরীতে স্বর্ণখণ্ডটি ব্যাংক আপনাকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। যদিও বর্তমানে টাকার মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে ব্যাংকে রক্ষিত মার্কিন ডলার দিয়ে। তাই নোটের বিনিময়ে স্বর্ণখন্ড পাবার আশা বাদ দেয়াই ভালো

আমেরিকার ডলার ছাপতে কিন্তু কোন স্বর্নের প্রয়োজন হয় না। আমেরিকা স্বর্ণ রিজার্ভ ছাড়াই ইচ্ছামত কাগুজে ডলার ছাপতে পারে। ১৯৭১ সালের ১৫ই আগস্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ডলারের ‘স্বর্ণ ভিত্তি’ বাতিল করেন এবং ‘ব্রিটন উডস সিস্টেম' কে বুড়ো আঙ্গুল দেখায় । এটাকে বলে ‘নিক্সন শক’ বলে ।

কিন্তু স্বর্ণ রিজার্ভ ছাড়া ডলার ছাপালে দেশটিতে মূল্যস্ফিতি দেখা দেয়ার কথা। সেটা কেন হচ্ছে না ?
আসলে আমেরিকা এটা নিয়ন্ত্রণ করেছে- ডলারের প্রচুর চাহিদা সৃষ্টি ও যোগান হ্রাসের মাধ্যমে।

এই চাহিদাটা-ই সৃষ্টি করা হয়েছে ‘তেল’ এর মাধ্যমে। এরজন্য আমেরিকা সৌদি আরব ও অন্যান্য ওপেকভূক্ত তেল রফতানিকারক দেশগুলোকে বাধ্য করেছে শুধুমাত্র ডলার দিয়ে তেল বিক্রি করতে। এতে একদিকে আমেরিকা নিজের ছাপানো কাগজ ‘ডলার’ দিয়ে ফ্রি তেল ক্রয়ের সুযোগ পায়। অপরদিকে অন্যরাষ্ট্রগুলো তেল কিনতে গিয়ে ডলারের শরনাপন্ন হলো, ফলে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হতেই থাকলো। এ কারণে স্বর্ণের ভিত্তি কাটিয়ে আমেরিকার মুদ্রা ডলার চিহ্নিত হলো ‘পেট্রো ডলার’ হিসেবে।

আপনি, আমি সবাই ইনডিরেক্টলি ইরাক, আফগানিস্তান, ইসরাইল সব জায়গায় যুদ্ধের খরচ আমেরিকাকে যুগিয়ে যাচ্ছি। কারণ আমরা ডলার ব্যবহার করছি। যতদিন গোল্ড ফিরে না আসে, ততদিন এই ব্যবস্থাই চলবে ।
বইটি বর্তমানে আহসান পাবলিকেশন নাকি আর প্রকাশ করে না ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×