তার লাল গোলাপ অনুষ্ঠানটা আমার খুব ভালো লাগতো। সেই সঙ্গে ভালো লাগে বিটিভির প্রতিটি অনুষ্ঠান। একটু ঘুম ঘুম লাগলেও ভালোইতো। দেশ ভালো চলছে । দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে আছে। খাচ্ছে-দাচ্ছে-ঘুরছে, এইতো, ভালোই তো। ভালো ভালো খবর, ইতিবাচক সংবাদ। ইতিবাচক সবকিছুই আমার ভালো লাগে।
তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছিল মেরেলিন মনরোর সেই বিখ্যাত ছবি সম্বলিত টাই পড়ে তিনি যেদিন লাল গোলাপ উপস্থাপনা করতে হাজির হয়েছিলেন।
মনে আছে পত্রিকাটা বন্ধ হয়ে গেল। চাকরিচ্যুত হলেন শ খানেক সাংবাদিক। আর অন্যদিকে তিনি করলেন পালানোর চেষ্টা। তিনটি টিকিট পকেটে নিয়ে একের পর এক ফ্লাইটে করে পালাতে চাইলেন। শেষমেশ প্লেনেও চড়ে বসেছিলেন একবার। তবে শেষ রক্ষা তার হয়নি, প্লেন থেকে তাকে নামিয়ে আনলেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। খুব কষ্ট হয়েছিল সেদিনটাতে।
আজ তারও বেশি কষ্ট হচ্ছে- কারণটা কী ভাই, আমার কষ্ট হচ্ছে কেন? একটা চিনচিনে কষ্ট। বুকের ভেতর।
হ্যাঁ, বলছি শফিক রেহমান রহমানের কথা। বড্ড ভালো মানুষ। তবে তিনি নেই। আসলেই তিনি যায়যায়দিনে নেই। তাকে সম্পাদক পদ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আপনাদেরও কি আমার মতো কষ্ট হচ্ছে। তাহলে আসুন আমরা দল বেধে কাঁদি। হাউমাউ করে কাঁদি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৪১