শেখ হাসিনার ভারত জয়(!) করে আসার বিবরণ শুনে অনেক দিন আগে শোনা একটা গল্প মনে পড়ে গেল।
একবার এক বাঘ, সিংহ আর শিয়াল একটা গরু একটা হরিন আর একটা খরগোশ শিকার করল। তিনজনে যখন খেতে বসেছে তখন সিংহ - "আমি খুবই ন্যায় পরায়ন রাজা, খাবারের ইনসাফপুর্ণ বন্টন ছাড়া আমি খেতে পারি না।" সুতরাং সে বাঘকে বল্ল খাবার ভাগ করতে।
বাঘ বল্ল এটা তো খুবই সহজ হিসাব, শিয়াল ছোট প্রানী তাই সে পাবে খরগোশ, আমি হরিণ পেলেই খুশি, আর আপনি মহারাজ, আপনার প্রয়োজনও বেশী তাই বড় গরুটা আমরা আপনাকেই দিচ্ছি।
সিংহ তো রেগে আগুন। কি, এটা কোন ইনসাফপুর্ণ বন্টন হল? সে এক থাবায় বাঘের ধর থেকে মাথা আলাদা করে ফেল্ল। এরপর শিয়ালকে বল্ল খাবার ভাগ করার জন্য।
শিয়াল বল্ল, এতো খুব সহজ হিসেব মহারাজ, আপনি খরগোশ দিয়ে সকালের নাস্তা করবেন, দুপুরে খাবেন হরিণ আর রাতের ডিনার সারবেন গরু দিয়ে। আর আপনার খুশিমত আমাকে যদি দুই একটা হাড়, চামড়া কিছু দেন আমি তাতেই খুশি।
সিংহ এবার খুব খুশি হয়ে বল্ল - কি রে শিয়াল, এত চমৎকার ভাগ বাটোয়ারা শিখলি কার থেকে?
শিয়াল তখন বাঘের প্রানহীন দেহটা দেখিয়ে বল্ল, মহারাজ এই বাঘের পরিনতি দেখেই বুঝে নিয়েছি আপনি ঠিক কেমন ইনসাফ পছন্দ করেন।
শেখ হাসিনা এবার যেরকম সানন্দে ভারতের সব দাবি পুরোন করে এসেছেন তাতে যদি মনমোহন সিং প্রশ্ন করতেন "কি দিদি এত চমৎকার কুটনিতি কোথায় শিখলেন?" তাহলে শেখ হাসিনা সম্ভবত গল্পের শেয়ালেরমত জবাব দিত -"গত চারদলীয় জোট সরকার পুর্বমুখি কুটনিতি শুরু করার মাধ্যমে আপনাদের অসন্তুস্ট করায় তাকে যেভাবে ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলা দিয়েছেন তা থেকেও যদি শিক্ষা না নেই তাহলে কি আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এতদিন থাকতে পারি?"