১.রোমেল আর তার বউ গলফ খেলা শিখতে গেছে এক গলফারের কাছে। প্রথমে রোমেলের পালা। কষে বলের ওপর ক্লাব চালালো সে। বল গিয়ে পড়লো ১০০ গজ দূরে।
“উঁহু, এভাবে নয়।” এদিক ওদিক মাথা নাড়লো গলফার। “এমনভাবে ক্লাবটাকে আঁকড়ে ধরুন, যেন স্ত্রীর বুক চেপে ধরেছেন।”
এই পরামর্শ কাজে লাগিয়ে ক্লাব হাঁকালো রোমেল। এবার বল গিয়ে পড়লো ৩০০ গজ দূরে। সন্তুষ্ট হয়ে এবার রোমেলের বউকে শেখাতে বসলেন গলফার।
“কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম, ক্লাবটাকে এমনভাবে পাকড়াও করুন, যেন আপনার স্বামীর ঐ প্রত্যঙ্গটি চেপে ধরেছেন। তারপর কষে হিট করুন।”
রোমেলের বউ হিট করলো, বল গিয়ে পড়লো ১০ গজ দূরে।
গলফার বললেন, “হুম, মন্দ নয়। এবার এক কাজ করুন, ক্লাবটাকে মুখ থেকে নামিয়ে হাত দিয়ে ধরে আবার মারুন তো দেখি!”
২.বাবুর বড় বিপদ, ২৫ ইঞ্চি দীর্ঘ প্রত্যঙ্গ নিয়ে গাড্ডায় পড়েছে সে। কোনও মেয়েকে সে ঠিক খুশি করতে পারে না, আবার এই আকৃতি নিয়ে তার নিজেরও নানা হাঙ্গামা। একদিন জঙ্গলে এক দরবেশ বাবার আস্তানায় ধর্ণা দিলো সে। তার সমস্যার কথা খুলে বলে কাকুতিমিনতি করে জানালো, বাবা যদি কোনোভাবে ২৫ ইঞ্চি থেকে তাকে ১০-এ নামিয়ে আনতে পারেন, সে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
দরবেশবাবা মিনিট পাঁচেক চোখ বুঁজে ধ্যান করে বললেন, “এখান থেকে সোজা উত্তর দিকে বনের এভতর পাঁচশ কদম হাঁটলে একটা কুয়ো পাবি। ওখানে বাস করে এক মাদী ব্যাং, কিন্তু মানুষের জবানে কথা বলে। তাএক শুধাবি তোকে সে বিয়ে করতে চায় কি না। যদি উত্তরে না বলে, ৫ ইঞ্চি কমে যাবে। এখন যা বেটা। হক মাওলা!”
বাবু ৫০০ কদম এগিয়ে কুয়ো খুঁজে পেলো। ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখলো, বাস্তব, একটা ব্যাং বসে। সে গলা খাঁকরে শুধালো, “ইয়ে ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?”
গম্ভীর গলায় উত্তর এলো, “না!”
বাবু টের পেলো, ২০-এ নেমে গেছে সে। কিন্তু এতেও অসুবিধা হবে ভেবে সে আবারো জিজ্ঞেস করলো, “ও ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?”
আবারও গম্ভীর গলায় উত্তর এলো, “না!”
বাবু ১৫-তে নেমে এলো।
উল্লসিত বাবু আবারো জিজ্ঞেস করলো, “বলি ও ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?”
এবার উত্তর এলো, “এক কথা কতবার বলবো তোকে ব্যাটা হারামজাদা? না, না, না!
৩.১৮ বছরের মেয়েরা হল ফুটবলের মত। পেছনে ২২ জন দৌড়ায় ।
২৮ বছরের মেয়েরা বাস্কেটবলের মত। পেছনে ১০ জন থাকে ।
৩৮ বছরের মেয়েরা গলফ বলের মত। একজনই পেছনে থাকে ।
আর ৪৮ বছরের মেয়েরা টেবিল টেনিস বলের মত। এ বলে তুই নে ও বলে তুই নে ।
৪.বই পড়ে হঠাৎই ছোট্ট হৃদয় জানতে পারল যে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্করই অন্তত একটি করে গোপনীয়তা আছে যেটা কোন মূল্যেই প্রকাশ করতে রাজি নয়। সে মনে মনে ভাবল, এটা নিয়ে খানিকটা মজা করা যাক।
সে তার মা’র কাছে গিয়ে বলল, মা আসল সত্যটা কিন্তু আমি জানি। মা চমকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ৫০ টাকা দিয়ে বলল, খবরদার সোনামানিক, তোমার বাবাকে বলো না!
তারপর সে আরেকদিন তার বাবাকে বলে বসল, বাবা আসল সত্যটা কিন্তু আমি জানি। বাবা চমকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ১০০ টাকা দিয়ে বলল, খবরদার জাদুসোনা তোমার মাকে বলো না!
হৃদয় এতে দারুণ মজা পেয়ে গেল। তখনই দেখল তাদের বাড়ির সামনে দুধওয়ালা এসেছে দুধ দিতে। সে তার কাছেও দৌড়ে গিয়ে বলল, চাচা আসল সত্যটা আমি জানি।
দুধওয়ালা সে কথা শুনে দু’হাত বাড়িয়ে ছলছল চোখে বলে উঠল-
তবে আয় বাবা আয়, তোর আসল বাপের কোলে আয়।
৫.বাবা আর ছেলে মার্কেটে গেছে। হঠাৎ ছেলে দেখে বাপের প্যান্টের চেইন খোলা!
ছেলেঃ বাবা, বাবা, তোমার প্যান্টের চেন খোলা!
বাবাঃ স্টুপিড, এভাবে বলতে নেই। বলতে হয়, “তোমার মেকআপ বক্স খোলা”
পরের দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি—–
ছেলেঃ বাবা, তোমার লিপস্টিক বের হয়ে গেছে।
৬.ইংরেজ শাসন আমলের রাজস্থানের মরুভুমিতে একটা দুর্গ। সেইখানে সেনাপতি হয়ে এসেছে জাত্যাভিমানী এক ইংরেজ যুবক। এসেই শুরু করছে হম্বি-তম্বি। এরে ধমকায় ত ওরে মারে। কোনো কিছু তার পছন্দ হয় না। ইন্ডিয়ানদের রুচি নাই। চোর-বাটপার সব কয়টা। প্রথম দিনেই দুর্গ পরিদর্শনের সময় সেনাপতি দেখে একটা উট বাধা। " ওই হারামজাদা। উট এইটা কিসের জন্য? " একজন কাচুমাচুভাবে বলল " আমরা তিন-চার মাস একটানা দুর্গে থাকি। এইখানে কোনো মেয়ে নাই। সৈনিকরা মাঝে মাঝে খুব একা বোধ করলে এই উট ব্যাবহার করে। " সেনাপতি ত bloody indian দের কথা শুনে থ। শুয়োরের বাচ্চারা উটকে "কামে" লাগায়...ছি ছি ছি।
সে কড়া নির্দেশ দিলো যে এরপর কোনো নেটিভ হারামজাদা উট ব্যবহার করলে তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হবে। যাই হোক তার কড়া শাসনে দুর্গে নিয়ম-শৃংখলা ফিরে আসলো। সবাই সোজা। সব কিছু ঠিকমত চলছে। মাসের পর মাস যাচ্ছে।
এক সময় সেনাপতির একা একা লাগা শুরু করল। শালার একটা মাইয়া দেখি নাই গত চার মাস। আরো এক মাস গেলো। একদিন সকালে সে হুকুম দিলো, "শুয়োরের বাচ্চারা, উটটা নিয়ে আয় আমার তাবুতে"।
কিছুক্ষন ধস্তা-ধস্তি হল। উটের চিৎকার শুনা গেল। এরপর সেনাপতি প্যান্টের চেইন লাগাতে লাগাতে বের হয়ে আসল। বড় বড় চোখ করে bloody indian গুলো তাকিয়ে আছে। এদের দিকে তাকিয়ে সেনাপতি বলল
- জিনিসটা খারাপ না, তোরাও কি এইভাবেই ব্যবহার করিস নাকি?
- না হুজুর। আমরা এইটাতে চড়ে মাইলদুয়েক দুরের একটা শহরে যাই।
বিঃদ্রঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ২:১৬