somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি মিথের পিছু ধাওয়া

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ অনেক দিন হল কথাটা শুনছি আর ইদানিং তো সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপারটা নিয়ে বেশ মাতামাতিও। নিউজ চ্যানেল গুলোও রমরমা প্রতিবেদন প্রচার করছে। যদিও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বা প্রতিবেদন তৈরির যে দায়বদ্ধতা সাংবাদিকদের থাকা দরকার তা আমাদের দেশে প্রশ্নবিদ্ধ।
যাক সে কথা। অনেক দিন পর আবার লিখতে বসা। সন্ধ্যাটা চায়ের স্টলে বসে বসে ভাবছিলাম মনে হয় আজ আর যাওয়া হচ্ছে না। হ্যাঁ, বাংলাদেশের উত্তরে যাবার একটা কথা ছিল স্নেহধন্য এক ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। যদিও আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম ভৌগলিক অবস্থানের কথা চিন্তা করলে আমরা যা খুঁজতে যাচ্ছি তা পাওয়া যাবার কথা না। তারপরও বলা তো যায় না…হতেও পারে। আরব দেশেও তো হাতির কাহিনী বর্তমান।
সময় চলে যাচ্ছে, যদি যেতে হয় তবে এখনই নিশ্চিত করতে হবে কিন্তু আমার সঙ্গী এখনও কিছু জানাতে পারছে না। অপেক্ষা করতে করতে ভাবলাম, থাক; এ যাত্রা না হয় বাদই দেই।
রাত ৮.৩০ মিনিট আমার মুঠোফোন বেজে ওঠল। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ছোট ভাই অপু নজরুল । কি আর করা ঝটপট তৈরি হয়ে আমি রওনা দিলাম বাসের টিকিটের সন্ধানে। ও আসতে একটু দেরী হবে। না, সরাসরি চিলমারির বাস পাওয়া যাচ্ছে না। আর যাদের সার্ভিস আছে তাদের সীট খালি নেই। ঘুরাঘুরি করে অবশেষে টিকিটের বন্দোবস্ত করা গেল। এখন অপেক্ষার পালা।
বাসে বসে আমরা ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলে বুঝতে পারলাম যা ভাবছিলাম তাই। আমাদের একটু ভুল হয়েছে, চিলমারি নয় আমাদের চিলাহাটি যাওয়া উচিত। অন্তত তথ্যসূত্র বলছে চিলাহাটিতেই আমরা সন্ধান পেতে পারি আমাদের কাঙ্খিত বস্তুটির। যা হোক এখন আর তা সম্ভব নয়।
যদিও এ ভুলটি সাপেবর হল। তা আমাদের যাত্রা শেষে বুঝতে পারি। কাল সকাল থেকে শুরু হবে ইঁদুর দৌড়। তাই একটু ঘুমিয়ে নেয়া উত্তম।
সকাল সকাল আমরা চিলমারি বাস স্ট্যান্ডে নেমে ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। ভ্যান চালকের সাথে কথা বলে বুঝতে পারি এখান থেকেও পাহাড় দেখা যায় তবে তা কাঞ্জনজংঘা নয়। যে পাহাড় গুলো দেখা যায় তা ভারতের গারহারির কিছু পাহাড় আর তুরার পাহাড়। তুরার পাহাড় ভাল করে দেখতে হলে যেতে হবে বড়াইবাড়ি, রৌমারি পর্যন্ত।
অগ্রহায়ণের শেষ তাই ব্রহ্মপুত্র প্রায় ঘুমিয়ে আছে। সচ্ছ জল আর বিস্তীর্ন চর নিয়ে সে শীতনিদ্রায় । ভোরের কিরণে চারিদিকে রূপালি আলোর খেলা। মাঝিদের ব্যস্তা এখনও শুরু হয় নি। চিলমারিতে নৌ ঘাট আছে তিনটি, চিলমারীর রমনা, ফকিরেরহাট ও জোড়গাছ ঘাট। এই ঘাটগুলো থেকে প্রতিদিন বাহাদুরাবাদ, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম, বাঘাবাড়ী, ফুলছড়ি, রৌমারী ও রাজিবপুরে নৌকা চলাচল করে। রমনা ঘাট ঘেসেই বেশ কিছু স্থানিয় খাবারের হোটেল আছে সে গুলোতে খুঁজ করে আমার সঙ্গী জানাল, বোয়াল আর বাঘা আইর মাছ দিয়ে গরম ভাত পাওয়া যাবে। বেশ কিছুক্ষণ নদীর কুল ধরে হাঁটাহাটি করে সকালের নাস্তা করে নিলাম। দোকানি জানাল এ গুলো এই নদীরই মাছ। টাটকা মাছের ঝোলের স্বাদটা সত্যিই অপূর্ব ছিল।


ব্রহ্মপুত্র


চিলমারি রমনা ঘাট


ব্রহ্মপুত্রের বোয়াল বাঘাঅাইর দিয়ে সকালের নাস্তা



রমনা স্টশেন
আমরা হিমালয় দর্শনের সন্ধানে আছি তাই এখানে বেশি বিলম্ব করা যাবে না। চিলমারি রমনা বাজার স্টেশন থেকে রংপুর এর তিস্তা জংশন পর্যন্ত একটি লোকাল ট্রেন আছে সকাল আটটায়। একই ট্রেনটি আবার তিস্তা থেকে ঘুরে এসে লালমনিরহাট যায়। স্টেশনে এসে দেখি ট্রেনটি দাঁড়িয়ে আছে। এখানে রেললাইন শেষ। ইঞ্জিন ঘুরিয়ে আবার সে রওনা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ছোট্ট ছিমছাম স্টেশন। লোকজনও কম। এই ট্রেন লাইনের বেশ বদনাম আছে তার শম্বুকগতীর জন্য। আমাদের পরিকল্পনা হল এখন চলে যাব তিস্তা জংশন সেখান থেকে ডেমো-তে করে দিনাজপুরের পার্বতীপুর এবং সেখান থেকে নীল সাগর আন্তঃনগর ট্রেনে করে সরাসরি নীলফামারির চিলাহাটি স্টেশন।
সকালের মিষ্টি হীম হীম হাওয়ায় দোল খেতে খেতে ট্রেন এগিয়ে চলল তিস্তা জং এর পানে। পিছনে পরে থাকল ব্রহ্মপুত্র। আমার শৈশবের সাথে ব্রহ্মপুত্রের নিবিড় সম্পর্ক তাই প্রেমটাও বুঝি বেশী। বালাবাড়ী, উলিপুর, পাঁচপীর, কুড়িগ্রাম, টগরাহাট, রাজারহাট, শিঙ্গেরডাবরী হাট প্রতি স্টেশনই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বেলা ১১.২০ মিনিট, আমরা তিস্তা জং এসে পড়ি। এখান থেকেই ডেমো ট্রেনে করে পার্বতীপুর জং যেতে হবে। ট্রেনের কিছুক্ষণ দেরী হবে। তাই তিস্তা সেতু দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। চলে গেলাম তিস্তার পাড়ে। প্রায় শতবর্ষী তিস্তা রেল সেতুটি আর এর অল্প দূরেই সড়ক সেতুটি। জলহীন তিস্তা দেখলে মায়া লাগবে সেই সাথে ক্রোধ । এ কেমন বন্ধুত্ব ? এ কেমন ভূ-রাজনীতি ? ঈশ্বরের তৈরি ধরণীতে সবার অধিকার সমান থাকা চাই। প্রকৃতির ইলিমেন্ট গুলো ভাগাভাগি করাও তো অমানবিক। আমাদের ফিরতে হবে দ্রুত। স্টেশনে এসে দেখি ডেমো প্রায় ছাড়ে ছাড়ে…কি আর করা দৌড়ে এসে উঠে পরলাম ট্রেনে। টিকিট কাটতে পারিনি। পরের স্টেশনে নেমে কেটে নিতে হবে।
দুপুর নাগাদ আমরা পার্বতীপুর। পেটও আওয়াজ দিচ্ছে। নীল সাগর বিকালে। ট্রেনের খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম আজ ট্রেন আসতে দেরী হবে। কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র লোকমোটিভ মেরামত কারখানা। পেটপুঁজো সেরে এদিক সেদিক কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি আর হিমালয় দর্শনের কথা জানার চেষ্টা। স্থানিয় লোকজন বলল, চিলাহাটি থেকে ভোরে দেখা যায়। কেউ কেউ তো বলল এখান থেকেও দেয়া যায়। যাত্রা পথে যার সঙ্গে কথা হয়েছে তাকেই আমরা জিজ্ঞাসা করেছি। সবাই বলে হ্যা দেখা যায়। মহান্দার তীর থেকে দেখা যায় সে কথা তো আমরা জানিই তবে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা তো ব্যর্থতার কেননা গত বছরও তো এর দেখা পাইনি সেখান থেকেই।
ট্রেনের বিলম্ব দেখে বিকল্প পথে বাসে নীলফামারি যাবার চেষ্টা করি কিন্তু বিধিবাম। অজানা এক কারণে আজ বাস ও ত্রি-হুইলার ধর্মঘট। রাস্তায় বাস দিয়ে ব্যারিকেট তৈরি করে রাখা হয়েছে। কি আর করা ভ্যান নিয়ে সৈয়দপুর যাত্রা শুরু করি। সূর্য মধ্য গগণ থেকে সরতে শুরু করেছে; বিকালের শুরু। ভ্যান ছেড়ে দিয়ে ঢেলারপার বাস ষ্ট্যান্ড থেকে নীলফামারিগামী কোন এক বাসের ছাদে চেপে বসি মনে আশা নিয়ে। শেষ বিকেলের চুরি যাওয়া আলোয় নাকি উত্তর পশ্চিম কোণে ভেসে ওঠে কাঞ্চনজংঘা। হাওয়ায় শীতের আমেজ চলে এসেছে। আমাদের চোখ উত্তরপানে। নিরাশ করে সূর্য পশ্চিম আকাশে রত্তীম আভা তৈরি করে যাই যাই বলছে।
আমরা নীলফামারি সদরে। এখান থেকে চলে যাব ডোমার হয়ে চিলাহাটি। ভাবলাম ডোমার না গিয়ে ডিমলা গেলে কেমন হয়। সেখান থেকে ডুলিয়া হয়ে তিস্তা ব্যারেজ। কিন্তু না আমরা তো একটি মিথের পিছু ধাওয়া করছি।
ডোমার থেকে চিলাহাটি বাস যাবে না। ঠান্ডাও পড়েছে বেশ । অটোতে করে যেতে হবে চিলাহাটি।
চিলাহাটি নেমে ডাকবাংলায় থাকার ব্যবস্থা করে বেরিয়ে পড়ি খুঁজ খবর নিতে যাতে মিথকে বাস্তবতায় পরিণত করতে পাড়ি। চিলাহাটিতে বেশ বড় একটি স্টেশন আছে। সৈয়দপুর-ঢাকা পথে চলাচলকারী নীলসাগর আন্তনগর ট্রেনটিই নতুন গন্তব্য হিসেবে চিলাহাটি আসে । চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন হল চিলাহাটি-দর্শনা ব্রডগেজ লাইনের একটি শেষ পয়েন্ট । এটা বাংলাদেশ - ভারত সীমান্তের একটি বিলুপ্ত রেলওয়ে ট্রানজিট পয়েন্টও। ১৮৭৪ সালে নর্থ বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে কর্তৃক এ লাইনটি নির্মাণ করা হয়। সীমান্তের ওপারে ভারতের কুচবিহারের হলদীবাড়ি।কিছুদিন আগেও ভারতের ছিটমহল ছিল চিলাহাটিতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাটও প্রচুর।
তারপরও সন্ধ্যার পর খাবারের হোটেল খুঁজতে খুঁজতে আমরা হয়রান। এক সময় মনে হল এরা রাতে ভাত-মাছ খায় না ! যাও পাওয়া গেল তার অবস্থাও করুন। বাজারে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম হিমালয় দেখা যায়। পরিস্কার আকাশ আর ভাল আবহওয়ায় ভোরে আর বিকালে। আরও জানতে পারলাম সীমান্তের কাছাকাছি অথবা জাপানি স্কুল থেকে ভাল দেখা যেতে পারে। চিলাহাটি ডাকবাংলাটি বেশ বড় আর গাছও আছে প্রচুর।
ভোর ছ-টায় বের হয়ে পড়ি। বেশ শীত পরেছে, কুয়াশাও আছে। ভ্যান নিয়ে জাপানি স্কুলের দিকে যেতে যেতে ভাবলাম যে কুয়াশা এখান থেকে দেখা পাবার আশা ক্ষিণ। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেই এখানে সময় নষ্ট না করে আরও উত্তরে চলে যাই। আমাদের ইচ্ছা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাহিরেও যে কাঞ্চণজংঘা দেখা যায় সেই মিথ এর বাস্তবতা খুঁজে বের করা। যা হোক আমরা অবশেষে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। কি ভাবে যাওয়া যায়। আমরা অনেকটা পথ চলে এসেছি গ্রামের ভেতর সীমান্তের কাছাকছি। ভ্যান ওয়ালা চাচাকে বলতেই তিনি বললেন গ্রামের ভেতর দিয়ে কাঁচা মাটির রাস্তা আছে যা দিয়ে ভাউলাগঞ্জ যাওয়া যাবে। এমনিতে পাকা সড়ক আছে চিলাহাটিত থেকে ভাউলাগঞ্জ হয়ে দেবীগঞ্জ পর্যন্ত। চিলাহাটি মূলত দেবীগঞ্জের একটা ইউনিয়ন। রেল স্টেশনটি সম্ভবত নীলফামারিতে পরেছে।
ভাউলাগঞ্জ থেকে অটোতে করে বোদা হয়ে পঞ্চগড় সদর এসে ধাক্কামারা বাস স্ট্যান্ড থেকে তেঁতুলিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করি। উদ্দেশ্য চলে যাব উত্তরের শেষ পয়েন্টে বাংলাবান্ধায়।
তেঁতুলিয়া থেকে রণচন্ডী, তিরনই, সিপাই বাজার পার হয়ে চলে আসি বাংলাবান্ধা। সরকারি ছুটি থাকায় বন্দরের কোলাহল নেই, নেই ব্যস্ততা। জিরো পয়েন্টে কিছু সময় কাটিয়ে চলে যাই মহানন্দার তীরে। বিএসএফ এর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পাথর তোলার দৃশ্য আর মহানন্দার মহা-আনন্দে বয়ে চলা দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে আসে।
আমাদের মিথ আর ধরা দিল না। শীতের শুরু নয় শরতের নীল আকাশে হয়তো কদাচিৎ ভেসে উঠে কাঞ্চনজংঘা।
এবার ফেরার পালা। ফেরা পথে সমতলের চা বাগান আর ভিতরগড় দুর্গনগরী না দেখে আসলে হয়। চলে গেলাম শালবাহান সেখান থেকে তালমা নদীর তীর ধরে চলে আসি ভিতরগড়।
ভিতরগড় পঞ্চগড় জেলা শহর হতে ১৬ কিমি উত্তর পূর্বে পঞ্চগড় জেলার সদর থানার অর্ন্তগত অমরখানা ইউনিয়নে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ২৫ বর্গ কিমি জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দুর্গনগরী। ভিতরগড়ের বাইরের আবেষ্টনীর উত্তর দেয়াল এবং পূর্ব ও পশ্চিম দেয়ালের উত্তরাংশ বর্তমানে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার অর্ন্তগত।
স্থানীয় জনশ্রুতি মতে, ভিতরগড় ছিল পৃথু রাজার রাজধানী। ১৮০৯ সালে ফ্রান্সিস বুকানন ভিতরগড় জরিপ করেন। তাঁর মতে, পৃথু রাজার রাজত্ব তৎকালীন বৈকণ্ঠপুর পরগণার অর্ধেক ও বোদা চাকলার অর্ধেক অংশ নিয়ে গঠিত ছিল। ছয় শতকের শেষদিকে এক পৃথুরাজা কামরূপে পরাজিত হয়ে ভিতরগড়ে রাজ্য স্থাপন করেন। আবার তেরো শতকের কামরূপের ইতিহাসে এক রাজার নাম পৃথু। কেউ কেউ মনে করেন পৃথু রাজা ও রাজা তৃতীয় জল্পেশ অভিন্ন ব্যক্তি এবং আনুমানিক প্রথম শতকে তিনি ভিতরগড়ে রাজধানী স্থাপন করে এ অঞ্চলে রাজত্ব করেছিলেন। আবার অনেকে জলপাইগুড়ির জল্পেশে নবম শতকে নির্মিত শিব মন্দিরের নির্মাতা জল্পেশ্বর বা রাজা তৃতীয় জল্পেশকে নবম শতকের শাসক মনে করেন। বুকানন ভিতরগড় জরিপকালে একজন স্থানীয় বৃদ্ধের নিকট হতে জানতে পারেন যে, ধর্মপালের রাজত্বের আগে পৃথুরাজা এ অঞ্চলে রাজত্ব করেছিলেন। কোটালীপাড়ায় প্রাপ্ত স্বর্ণমুদ্রা হতে আমরা জানতে পারি আরেক জন রাজার নাম পৃথুবালা। এই পৃথুবালা সম্ভবত সাত শতকের শেষার্ধে অথবা আট শতকের শুরুতেই সমতটের শাসক ছিলেন। অপর একটি সুত্র অনুযায়ী নয় বা দশ শতকে কম্বোজ বা তিববতীয়গণের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য পালবংশীয় রাজাগণ ভিতরগড় দুর্গটি নির্মাণ করেন।
ভিতরগড় থেকে সরাসরি পঞ্চগড়। এখন থেকে চলে যাই দিনাজপুর। কান্তজিও মন্দির প্রাঙ্গণে চলছে রাসমেলা। মন্দির দর্শন ও ইয়াসমিন স্মৃতিস্তম্ভ দেখে কিছুটা হতভম্ব হয়ে থাকি। ভাবতে পারেন রক্ষকের ভক্ষক হয়ে যবার সেই হরর কাহিনী। পথে চেহেলগাজীর মাজার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির মিনার দেখে রাতের ট্রেনে ঢাকায়। দিনাজপুর যাওয়া হয়েছিল তানভির ভাইয়ের জন্য। সত্যিই রাতের আলোকিত কান্তজিও মন্দির আর আলো-আঁধারির পুরর্ভবা নদীর স্মৃতি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ তানভির ভাইকে।


তিস্তা রেল সেতু


ডাহুক নদী

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৪
২টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×