বিলের ধারের ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খাবো ব’লে
আমি যখন ডাহুক পাখি হই,
তখন লক্ষ্মীকান্ত কবিরাজ আলপথে ফাঁদ পেতে রাখে
আমার শরীর পিষে বাতের রোগীর মালিশের তেল বানাবে ব’লে!
চৈত্রের দুপুরে ক্লান্ত পথিককে ছায়া দেব ব’লে
আমি যখন পত্রসমৃদ্ধ বৃক্ষ হই,
তখন কেউ আমার শাখা কাটার জন্য কুড়াল চালায়
মণ দরে ইটভাটায় বিক্রি করবে ব’লে!
কৃষক যখন ক্ষেতের ফসলের জন্য আকাশের দিকে দু-হাত তুলে বৃষ্টি চায়
আমি তখন ঘনকৃষ্ণ মেঘপুঞ্জ হই,
অথচ কেউ তখন বৃষ্টি অপ্রয়োজনীয় মনে ক’রে
বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে ছাতা মেলে ধরে!
যখন কেউ তীব্র হতাশা কিংবা গভীর দুঃখে কাঁদে
আমি তখন কথা আর সুরে মেঠো গীত হই,
অথচ কেউ না কেউ দু-কানে আঙুল দিয়ে
আমাকে শোনা পাপ মনে করে!
তবু আমি কুয়াশামাখা বিকেলে ডাহুক পাখি হই
চৈত্রের রৌদ্রতপ্ত দুপুরে ঘনপত্র বৃক্ষ হই,
চরাচর ভাসাই বৃষ্টিতে, মূর্ছনা ছড়াই মেঠো গীতে
জীবন কখনো থাকে না থেমে, প্রতিকূল স্রোতে।
ঢাকা
১৫.০১.২৩
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



