এই আখ্যানের কথক একজন অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, যিনি দীর্ঘ-অসুখী দাম্পত্যজীবন যাপন করেছেন। অর্থ-সম্পদ-স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও প্রায় সারাটা জীবন তিনি ছিলেন নিঃসঙ্গ, বাঁচার জন্য তিনি নিজের ভেতরে এক আপনভুবন তৈরি করে নিয়েছিলেন। সুখের বসন্তের দেখা তিনি পেয়েছিলেন, কিন্তু সামরিক স্বৈরশাসকের অপশাসনের ঝড় তার জীবনে সেই বসন্ত স্থায়ী হতে দেয়নি। তারপর আবারও সেই আপনভুবনে ফেরা। শেষ বয়সে জীবনের কঠিন-জটিল বাস্তবতা মেনে নিয়ে চেনা আঙিনা ছেড়ে চলে যান বৃদ্ধাশ্রম- 'গোধূলিবাড়ি' তে।
গোধূলিবাড়িতে তিনি এমন এক জীবনের দেখা পান, এমন এক সুখের নীড় খুঁজে পান যে তার আরও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কবি' উপন্যাসের নিতাইচরণের মতোই তিনি অনুভব করেন- 'হায়, জীবন এত ছোট কেনে?'
এই সুখের নীড় কি স্থায়ী হয় তার জীবনে?
উপন্যাসের কথকের প্রজন্ম শ্রম দিয়ে নিন্ম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশের ভিত গড়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাষ্ট্র কি তাদের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করছে? ইউএনডিপি'র প্রতিবেদন অনুযায়ী- ২০৫০ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ হবে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ। আজকের তরুণরা শরীর নিঙড়ে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরিত করবে। রাষ্ট্র কি আজকের তরুণদের শেষ জীবনের খাদ্য ও বাসস্থানের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভাবছে? আছে কোনো পরিকল্পনা?
প্রকাশক: আনন্দম
স্টল নং : ৪৮২
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩২