একাত্তরে বাংলাদেশে হিন্দু রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ছিল না। থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন কঠিন হয়ে যেত। কারণ হিন্দু রাজাকারদের থিঙ্কট্যাঙ্কগুলো ভারতকে বোঝাত বাংলাদেশকে সহযোগিতা না করার জন্য। তাতে ভারত রাজিও হয়ে যেতে পারত। আর রাজি হয়ে গেলে ভারত বর্ডার খুলে দিত না, মানুষ আরও বেশি গণহত্যার শিকার হতো। ভারতের অসহযোগিতা থাকলে বাংলাদেশ কোনোভাবেই স্বাধীন হতো না। কিন্তু সময় বদলে গেছে, ২০২৪ সালে এসে মুসলিম জঙ্গি যেমনি ব্যাপকহারে বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে মুসলিম জঙ্গিদের সমর্থক হিন্দু রাজাকার ও থিঙ্কট্যাঙ্ক। পিনাকী অনলাইনে বেশি সরব, তাই সে বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু এর বাইরেও অনেক আছে, যাদের বেশিরভাগই বামপন্থী ও সংস্কৃতিকর্মী। কেউ কেউ দীর্ঘদিন ধরেই স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও জঙ্গি সমর্থকদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করছেন নীরবে কিংবা সরবে। কেউ কেউ টপ লেভেলের হিন্দু রাজাকার এবং জঙ্গি সরকারের থিঙ্কট্যাঙ্ক। অলিখিতভাবে উপদেষ্টাদের হিন্দু ধর্ম বিষয়ক পরামর্শদাতা। এই হিন্দু রাজাকাররা নতুন মিশনে নেমেছে, হিন্দুদের সমর্থন আদায়ের মিশন, বিশেষত হিন্দু তরুণদের মাথা নষ্ট করা তাদের উদ্দেশ্য। দেশপ্রেমের ধুয়ো তুলে এরা তরুণদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের বলয়ে টেনে নেবে, ভারতবিরোধীতার দীক্ষা দেবে, মুক্তিযুদ্ধকে অশ্রদ্ধা করার দীক্ষা দেবে।
সঙ্গত কারণেই হিন্দুদের সতর্ক হতে হবে নব্য হিন্দু রাজাকারদের সম্পর্কে। এই হিন্দু রাজাকারদের দর্শন বিভ্রান্ত, চিন্তা কলুষিত, কর্ম আত্মঘাতী। হিন্দু রাজাকাররা যাতে তাদের বিভ্রান্ত দর্শন, কলুষিত চিন্তা আর আত্মঘাতী কর্ম দ্বারা তরুণদের প্রভাবিত করতে না পারে, দীক্ষিত করতে না পারে, সে-জন্য বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে। সন্তানকে রক্ষার দায়িত্ব পিতা-মাতার। তরুণদেরও দায়িত্ব রয়েছে চোখ-কান খোলা রেখে নিজেকে রক্ষার, জীবনটা তার নিজের, মহামূল্যবান একটাই জীবন।
এই বামপন্থী হিন্দু রাজাকাররা মার্ক্স, লেনিন, চে গেভারাকে বিক্রি করে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখিয়ে অসংখ্য তরুণের ক্যারিয়ার নষ্ট করেছে। বহু তরুণ ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পরও বিপ্লবের স্বপ্নে বিপথে গেছে। আমি অনেক প্রাক্তন বামপন্থীকে তাদের অতীত জীবনের জন্য আফসোস করতে দেখেছি, কেউ কেউ নিজেই অতীত জীবনে কাল্পনিক স্বপ্নে বিভোর থেকে কী সব বালখিল্য কাণ্ড করেছে তা বলে হেসেছেন!
পুরোপুরি খিলাফত কায়েম হলে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে বিপদে ফেলে রেখে এই রাজাকাররা যোগেন মণ্ডলের মতো অন্য দেশে পালাবে। এরা যোগেন মণ্ডলের যোগ্য উত্তসুরী। সঙ্গত কারণেই এই হিন্দু রাজাকারদের থেকে সাবধান থাকুন, দূরে থাকুন। ভাবাবেগে না ভেসে সমাজ বাস্তবতায় নিজের বোধকে কাজে লাগান।
ভাগ্যিস, এই হিন্দু রাজাকাররা একাত্তরে ছিল না, থাকলে হয়ত এখনো আমরা পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতাম!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



