এত গরম আর হটটটট !!
গরমের দিনের তুলনায় শীতের দিনই আমার কাছে বেশি ভাল লাগলেও একটা ইস্যুতে গরমের দিনগুলো ভালই লাগে। কেমন যেন নস্টালজিতে ভুগি। পুরনো দিনের অনেক হটটটট কথাই মনে পরে যায়।
আমার জীবনের সবগুলো রোমান্টিক ঘটনাগুলো ঘটেছে এই গরমের দিনে। আবার সেই ঘটনাগুলোর নির্মম ইতি ঘটেছেও এই গরমের দিনে। কবিতা, গল্প, গানে রোমান্টিকতা সাধারণত শীত আর বর্ষা কেন্দ্রিক হলেও আমি এর থেকে অবচেতনভাবেই ব্যতিক্রম ছিলাম।
জীবনে প্রথম রোমান্টিকতার স্বাদ পেয়েছিলাম ক্লাস নাইনে থাকতে। মেয়েটি নিজ থেকেই আগ বাড়িয়ে আমার দিকে আসলো, আর আমিও দেরি না করেই অফারটি লুফে নিলাম। মনে আছে, যেদিন মেয়েটিকে নিয়ে পাশের গ্রামের মেলায় গেলাম, সে কী গরম…। ধুলোবালি আর ঘাম মেখে দাড়িয়েছিলাম কৈশোর জীবনের প্রথম প্রেমিকার সামনে। প্রেমিকাকে নিয়ে বসলাম মেলার পেছনের ধানক্ষেতে। একটু পরেই দেখলাম মামা হাওয়া খেতে আসছেন আমাদের দিকে, প্রেমিকাকে ফেলে এক দৌড়ে পালিয়ে এলাম সেদিনের মত।
কলেজ লাইফে ফার্স্ট ইয়ারের এক মেয়েকে খুব ভাল লেগে গেল। একদম ফিদা মাম্মম্মা!! বন্ধুকে বললাম যেভাবেই হোক এই মেয়েকে আমার ভালবাসতেই হবে। বন্ধুও আমার পক্ষে কাজ শুরু করে দিল। চৈত্র মাসের কড়া রোদ মাথায় রেখে আমরা দাড়িয়ে থাকতাম রাস্তায় এক পলক আমার জানপাখিটিকে দেখার জন্য। আর বিকেল হবার আগেই বন্ধুকে নিয়ে রওনা হতাম দুই মাইল দূরে সেই মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে। হাটতে হাটতে অস্থির হয়ে বন্ধু আমার পকেট থেকে ত্রিশ টাকা নিয়ে আমাকে কোক কিনে খাওয়াতো। শেষমেশে পকেটের কোক কেনার পয়সা ফুড়ানোর মত আমার প্রেমও ফুড়িয়ে গেল।
ভার্সিটি লাইফের শুরুতেই কেমনে কেমনে যেন জুটে গেল একটা গার্লফ্রেন্ড। নতুন গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে রমনা পার্কে বসে হাওয়া আর বাদাম খেতাম। যদিও গার্লফ্রেন্ড আমার ছিল খুবই উদার মনের মানুষ! মাঝে মাঝেই একটু আড়ালে নিয়ে আমাকে এতা ওটা কীসব খাওয়াতে চাইতো, আমি মোটেও খেতে চাইতাম না। গরমের মাঝে কি এগুলা খেতে ভাল লাগে! ‘তুমি আসলেই একটা ভুন্দা’- বলে গার্লফ্রেন্ড আমার আমাকে ছেড়ে চলে গেল অন্যের হাত ধরে।
এই ছিল আমার ছাত্রজীবনের সব রোমান্টিক আর হটটট (গরম) প্রেমের গল্প।
(বিঃদ্রঃ গল্পের কোন চরিত্রের সাথেই লেখকের মিল নেই।)
Md. Mithun Hasan
April 05, 2014