‘ধানসিড়ি সাহিত্য সৈকত’ রাজাপুর, ঝালকাঠি ও ‘দূর্বা’, গোপালগঞ্জ- এর যৌথ প্রযোজনায় জীবনানন্দ পুরস্কার ২০১৪ ঘোষিত হয়েছে। এ পুরস্কার ২০০৭ সালে প্রবর্তিত হয়েছে। এ পুরস্কারের ব্যবস্থাপনা রীতি অনুযায়ী পুরস্কারের জন্য একজন কথাসাহিত্যিক ও একজন কবি চূড়ান্ত নির্বাচনের লক্ষ্যে পাঁচজন কথাসাহিত্যিক ও পাঁচজন কবির একটি শর্টলিস্ট সারা দেশ থেকে বেছে নেয়া দশজন ভোটদাতা বা নির্বাচকের নিকট প্রেরণ করা হয়। নির্বাচকগণের ভোটের ভিত্তিতে কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত এক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জীবনানন্দের জন্মদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে ‘ধানসিড়ি’ ও ‘দূর্বা’ কর্তৃপক্ষ ‘জীবনানন্দ পুরস্কার ২০১৪’ ঘোষণা করেছেন। এবার এ পুরস্কার পেয়েছেন কবিতায় কবি খালেদ হোসাইন ও কথাসাহিত্যে সুপরিচিত লেখক ইমতিয়ার শামীম। পুরস্কারের অর্থমূল্য দশহাজার টাকা ও সম্মানননাপত্র জীবনানন্দের মৃত্যুদিবস ২২ অক্টোবর তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্পণ করা হবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি খালেদ হোসাইন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর জন্ম ১৯৬৪ সালে নারায়ণগঞ্জে। সাহিত্যের বহুমুখী অঙ্গনে তাঁর সফল বিচরণ। শিশুদের জন্য তিনি লিখেছেন ছড়াগ্রন্থ: ‘হাউমাউ’, ‘বৃষ্টি যদি আসে’, ‘লেজ’, ‘একা একা’, ‘বানান শেখা’, ‘পায়রা উড়ে যায়’ প্রভৃতি। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘ইলামিত্র ও অন্যান্য কবিতা’, ‘শিকার যাত্রার আয়োজন’, ‘জলছবির ক্যানভাস’, ‘পাতাদের সংসার’ এবং আরো অনেক। এছাড়াও রয়েছে গবেষণাগ্রন্থ ‘মীর মশাররফ হোসেন: জীবন ও পরিবেশ’, ‘আধুনিক বাংলা সাহিত্য প্রসঙ্গ’, ‘মীর মশাররফ হোসেনের জমীদার দর্পণ: বিষয় ও শৈলী’ ইত্যাদি। লাভ করেছেন ‘আবুল হাসান স্মৃতি পুরস্কার’ ১৯৮৮।
কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীমের জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলায় ১৯৬৫ সালে। তিনি রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয় থেকে ১৯৮৬ সালে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর উপন্যাস ‘ডানাকাটা হিমের ভেতর’, ‘আমরা হেঁটেছি যারা’, ‘অন্ধ মেয়েচি জ্যোৎস্না দেখার পর’, ‘মোল্লাপ্রজাতন্ত্রী পবন কুটির’, ‘চরসংবেগ’, ‘মৃত্যুগন্ধী বিকেলে সুশীল সংগীতানুষ্ঠান’ ইত্যাদি ইতোমধ্যেই আমাদের ফিকশনের ধারণায় নতুন মাত্র সংযোজন করেছে। এছড়াও রয়েছে তাঁর গল্পগ্রন্থ: ‘শীতঘুমে এক জীবন’, ‘গ্রামায়নের ইতিকথা’, ‘মাৎস্যন্যায়ের বাকপ্রতিমা’, ‘কয়েকটি মৃত মুনিয়া’, ‘আত্সহত্যার সপক্ষে’ ইত্যাদি। লাভ করেছেন আখতারুজ্জামান কথাসাহিত্য পুরস্কার ২০১২ সালে এবং লোক সাহিত্য পুরস্কার ২০১৩ সালে।