somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শরৎ - স্নিগ্ধ শুভ্রতায় এলোমেলো অন্য ভূবন

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
(১)


ছবি: Click This Link
নিয়তির কাটাতারের ওই পাশে আমি কেঁদে মরি। আমার শরীর বেয়ে যে অশ্রুকণা ভূমির উপর ছড়িয়ে পড়ে, তা কি তুমি কাটাতারের এই পাশ থেকে বুঝতে পারো?
(২)


ছবি: Click This Link
তোমার পূর্বপুরুষদের নিষেধ অমান্য করে তোমাদের চৌকাঠ মাড়িয়ে তোমায় মুক্তি দিতে পারলাম না। আমার অপারগতায় মনে দুঃখ লুকিয়ে রেখো না। শুধু দখিনের জানালার পর্দাটা একপাশ করে বাহিরে তাকিয়ে দেখ - হ্যা, আমিই জন্ম জন্মান্তর থেকে দাড়িয়ে তোমার দৃষ্টির অপেক্ষায়।
(৩)


ছবি: https://zephyrani.wordpress.com/tag/kashful/
রাতের অন্ধকারেও নাকি লুকিয়ে থাকে কিছু গল্প। আমি তাই চোখ মেলে অন্ধকারের উপস্থিতি মেপে অপেক্ষায় আছি। দাও, তোমার গল্পের কিছু প্রান, তা দিয়েই আমি রচনা করবো অসহায় আত্নসমপর্ণে হারিয়ে যাওয়া কোন গানের শেষ দু'লাইন।
(৪)


ছবি: Click This Link
পেছনে তোমাকে রেখে আমাকেও সামনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। পেছনে স্মৃতিগুলো ফেলে আমাকেও সামনের পথটায় ছুটে চলতে হয়। বলতে পারো - ঠিক কবে সময় ও স্রোতের অবাধ্য হয়ে আমিও নিজের মতো বেঁচে থাকতে পারবো?
(৫)


ছবি: Click This Link
তবুও আমরা পাশাপাশি থেকে যাই। কোন এক বিকেলে হয়তো মেঘপিয়নকে সাক্ষী রেখে মহাকালের যাত্রায় আমিও বিলিন হয়ে যাবো। তখনও তুমি বুঝে নিয়ো - কেউ একজন ছিলো তোমার একলা মনে একলা হয়ে।
(৬)


ছবি: Click This Link
নীলআকাশ। তাকে ছুঁয়ে দিতে চায় মাটির মমতার বাধঁনে জড়িয়ে থাকা সাদা কাশফুল আবার সেই নীলআকাশকে ছুঁয়ে থাকতে চায় বাতাসে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। অথচ মাটি থেকে নীলাকাশের যে দূরত্ব তা অতিক্রম করে তাকে ছুঁয়ে দেয়ার সাধ্য কাশফুলের নেই, অপরদিকে বাতাসের গতিময়তায় নিজের উপস্থিতির স্থিরতায় তাকে ছুঁয়ে থাকার সাধ্য মেঘেরও নেই। এই ছুঁয়ে দিতে চাওয়া কিংবা ছুঁয়ে থাকতে চাওয়ার অসামর্থ্যতার মধ্যে কার আক্ষেপ অপেক্ষাকৃত বেশি আমার তা সঠিক ভাবে জানা নেই। কখনো মনে হয় কাশফুলের দুঃখটাই বোধ হয় বেশি। প্রতি মুহূর্তে যার জন্য স্রষ্টার কাছে নিরব পার্থনা করে যায় সেই নীলাআকাশ কি তবে চিরদিনই অধরা রয়ে যাবে? আর নীলআকাশকে নিজের সীমানায় পেয়েও প্রতি মুহূর্তে তাকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রনা মেঘ ভুলবে কিভাবে? তবুও কিন্তু মাটির কাশফুল আর ভেসে থাকা মেঘ নীলআকাশকেই আপনমনে ভালোবেসে যায়, এক শরৎ থেকে আর এক শরৎ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকে, তারপর আরো অনেক শরৎ পর্যন্ত অন্তহীন অপেক্ষা। কিন্তু কেউ কোন দিন বুঝতে পারবে না ঐ নীলআকাশের দুঃখ। নিজেকে সে চিরদিনই অনন্য উচ্চতায় রেখে প্রানহীন রয়ে যাবে। কিন্তু এই উচ্চতা তো সে কোন দিনই চায় নি। তবুও তাকেই আকাশ হতে হলো। আর এ জন্যই কেউই তার আপন হবে না, না কাশফুল, না মেঘ। নিজের ভালোবাসার কথা কাউকে জানানো হবে না, নিজের ইচ্ছাগুলো পূরণ না হওয়ার অভিমানে হারিয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে না। সৃষ্টির নিষ্ঠুর প্রক্রিয়ায় আমৃত্যু একা থেকে যাবে সে ...
(৭)


ছবি: Click This Link
আমার একলা আকাশ, আামর একলা জীবন। বেঁচে থাকার আনন্দে বেঁচে রই, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে বেঁচে রই অথবা বেঁচে থাকার অপেক্ষায় বেঁচে রই, বেঁচে থাকার স্বান্তনায় বেঁচে রই।
(৮)


ছবি: Click This Link
যদি বিশ্বাস করো তবে এই আমিও বাতাসের অনুররণে তোমায় ভালোবেসে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারি প্রতি মুহূর্তে। প্রাপ্তির সুখ যে প্রাপ্তিতে নয়, তা দেখিয়ে দিতে পারি যদি একবার বিশ্বাস করো।
(৯)


ছবি: Click This Link
তুমি ছুঁয়ে দিলে আমিও লজ্জায় মুখ লুকাই তোমার বিপরীতে। তবুও তুমি বাতাস হয়ে কাশবনে ঝড় তুলে যাও - এই আমার অস্পষ্ট মিনতি।
(১০)


ছবি: Click This Link
অথচ বরাবরের মতোই তুমি ভীতু। আমাকে তোমার ভয়, আমার জেগে থাকায় তোমার ভয়, আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেও তোমার ভয়। শুধু একবার যদি ভয়কে উপেক্ষা করে আমার জন্য প্রার্থনা করো, তবে এই আমিই তোমার মনের ক্যানবাসে সত্য হয়ে অক্ষয় হয়ে থাকবো চিরকাল।
(১১)


ছবি: Click This Link
দিনের আলো যদি হারিয়ে যেতেও থাকে, তবুও আমি ঠায় দাড়িয়ে রবো। কারন আমি জেনে গেছি - রঙ্গিন হাতছানীর আড়ালে যেমন করে অন্ধকারের হিংস্রতা লুকিয়ে থাকে, ঠিক তেমনি তার পথ মেপে প্রভাতের স্নিগ্ধতা ফিরে ফিরে আসে। আজ তাই স্পর্ধা নিয়েই তোমায় অস্বীকার করলাম।
(১২)


ছবি: Click This Link
স্বপ্ন ডানায় উড়ে চলা এ জীবন। অথচ সবার অগোচরে একজনের টেনে ধরায় থেমে যেতে হয়। তবুও স্বপ্ন দেখে যাই - সবুজের শুভ্রতা ছাড়িয়ে অসীম আকাশে হারিয়ে যাওয়ার।
(১৩)


ছবি: Click This Link
আমার সবুজ জমিনে কে এমন সাদা শাড়ী ছড়িয়ে গেলো গো, কোন রমনীর এলোমেলো মনের ভুলের হিসাব আমায় আবার ছুঁয়ে গেলো গো ।
(১৪)


ছবি: Click This Link
শুভ্রতার দিগন্ত মাড়িয়ে একদিন তুমি এসো আমার ছোট ঘরে। আমার আছে জল, আমার আছে ছায়া আর আমার চোখে আছে প্রতীক্ষা। একদিন ভুল করেই না হয় এসে দেখে যেও - কেউ একজন হৃদয়ে পাষাণ পাথর বেঁধে দিনরাতকে তুচ্ছ করে বেঁচে থাকে শুধুই অকারনে।
(১৫)


ছবি: Click This Link
তোমাকে ভালোবেসে না হয় আমি ফড়িং হবো। পারবে তাড়িয়ে দিতে? পারবে আমার থেকে হারিয়ে যেতে? চলে যায় যদি ওই আলোক রেখা, তবে যাক না। আমিইপাশে রইবো প্রত্যাশাহীন নির্ভরতায় তোমার দ্বারের পাশে, তোমার অপেক্ষার অবহেলায়।
(১৬)


ছবি: Click This Link
ভালো থেকো নীল আকাশ। ঋতুর পরিক্রমায় তোমার জন্যই নতুন করে জন্ম নিব, তোমার জন্যই পথ চেয়ে থাকবো, তোমার জন্যই প্রার্থনায় রইবো।
(১৭)


ছবি: Click This Link
শত ক্লান্তিতে আমি চোখ বন্ধ করে তোর জমিনে নিজেকে সমর্পণ করি। ক্লান্তির আড়ালে ও যে তোর প্রতি আমার নির্ভরতা,। তোর মাটির গন্ধ শুঁকতে গিয়ে তোর সবুজ চাদরটাকেও ভালোবেসে ফেলি, আনমনে।
(১৮)


ছবি: Click This Link
কতটা রাত আমি নির্ঘুম কাটিয়েছি, কতটা অন্ধকারের তীব্রতায় আমি ছটফট করেছি,কতটা অপেক্ষার প্রহর আমি আঙ্গুলের হিসাবে রেখেছি - শুধু একটা বিশ্বাসে। আসবে, আমারও আসবে প্রভাত বেলা, আমারও দেহে স্পর্শ করে যাবে সূর্যের প্রথম আলোক রশ্মি।
(১৯)


ছবি: Click This Link
সত্য কোনটা? অস্তমিত পৃথিবীর বুকে শুভ্রতার অবয়ব রেখা হারিয়ে গিয়েও তার উপস্থিতি ছুঁয়ে থাকা নাকি অন্তহীন আকাশের বর্ণিল আলোকচ্ছটা ক্ষণে ক্ষনে বিমোহিত করে এক সময় হারিয়ে যাওয়ায়?
(২০)


ছবি: Click This Link
তোমার মত আমারও ছিল যৌবন। তোমর মত আমিও ছিলাম সৌন্দর্য্যের পূজারী। তাই নিজের প্রতি নিজেই মুগ্ধ হয়ে কাটিয়েছি অনেকটা কাল। তারপর সাদা মেঘের মত আমার থেকে অমিত শুভ্র সৌন্দর্য্যর কণা হারিয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। আমিও এক সময় হয়ে পড়ি মলিন, জীর্ণ আর বৃদ্ধ। জীবনের এই সত্যটা তো শুধু আমার জন্যই নয়। এই সত্য তোমার জন্যও, তোমাদের জন্যও।
(২১)


ছবি: Click This Link
মনের ভাব প্রকাশে আমি বরাবরই অক্ষম, তা তুমি ভালো করেই জানো। অথচ সে দিন কাশবনে লাল ফ্রকের এক বালিকার উচ্ছাসিত হাসির যে পবিত্রতা দেখেছেলাম তা তোমাকে বুঝাতেই পারি নি। তুমি হেসেছিলে খুব। আসলে ওই হাসির পবিত্রতাটাই সত্য, তোমার আমার ক্যাফেতে বসে থাকায় তা নাই হয়তো, হয়তো তোমার চোখের কৃত্রিম কাজল রেখাতেও নেই, নেই আমার শব্দের উপস্থাপনায় জড়িয়ে রাখার চেষ্টাতেও।
(২২)


ছবি: Click This Link


ছবি: Click This Link


ছবি: Click This Link
শিশুর সরলতা, কিশোরের দুরন্তপনা কিংবা তরুনীর মুগ্ধতায় আমার ফিরে ফিরে আসা। ওরা অপেক্ষায় না থাকুক, আমি অপেক্ষায় থাকি আরো একটি শরৎ এ এই বাংলায় ফিরে আসার স্বপ্নে।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা:
কাশফুল দেখলেই মুগ্ধ হয়ে সে দিকে তাকিয়ে থাকি। তাই একবার ইচ্ছা হলো আমার সেই মুগ্ধতাগুলো এখানে ছড়িয়ে দিতে। কিন্তু সামুতে সাময়িকভাবে ছবি আপলোড জনিত সমস্যায় ইচ্ছাটুকু হারিয়ে যাচ্ছিল প্রায়। ঠিক সে সময় ব্লগার একজন ঘূনপোকার টেকি পোস্টঃ সামুতে ছবি আপলোড সমস্যার সমাধান। তিনটি সহজ ধাপ। :D:D:D চোখে পড়লো। তারপর সে পোস্টে উল্লেখিত পদ্ধতি এবং মন্তব্যে ব্লগার অপূর্ণ রায়হানের উল্লেখিত পদ্ধতি অনুযায়ী ভালোই কাজ করছিলাম। কিন্তু বেশ কিছু ছবি আপলোড হওয়ার পূর্বেই আবার সমস্যায় পড়লাম। তারপর ব্লগার অপূর্ণ রায়হানের সাহয্য কামনা করতেই উপকারী আইডিয়া পেয়ে যাই এবং সে অনুযায়ী উক্ত পোস্টের পূর্ণ সমাপ্তিতে ভালো লাগছে। একজন ঘূনপোকা এবং অপূর্ণ রায়হান - এই দুই ব্লগারের প্রতি আমি ব্যাক্তিগতভাবেই অনেক কৃতজ্ঞ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৫
৬৮টি মন্তব্য ৬৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×