somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিপরীত লিঙ্গের দেহ দর্শনে দেহ উত্তেজিত হয়।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিপরীত লিঙ্গের দেহ দর্শনে দেহ উত্তেজিত হয়।
সেই উত্তেজনা থেকে এক সময় বিপরীত লিঙ্গের দুটি মানুষ মিলিত হয়,
সেখান থেকে তৈরী হয় ভবিষ্যত প্রজন্ম।
সৃষ্টিকর্তা যদি বিরপীত লিঙ্গের দেহের প্রতি এমন আকর্ষণ তৈরী না করতেন,
তবে হয়ত কোন প্রাণী বংশ বৃদ্ধি করতো না। ফলে অনেক প্রাণী হয়ত অস্তিতহীন হয়ে যেতো।
সৃষ্টিকর্তা তাই বংশ বৃদ্ধির নিম্মিত্তেই বিপরীত লিঙ্গের দেহের প্রতি এক অদৃশ্য আকর্ষন থৈরী করে দিয়েছেন।
বিপরীত লিঙ্গের দেহ দর্শণে দেহ উত্তেজিত হয়, এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
কেউ যদি এটা অস্বীকার করে, তবে তা ডাহা মিথ্যা কথা। বিজ্ঞানকে অস্বীকার করা।
এই দেহ দর্শন করিয়ে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মাঝে DoctLab তৈরী করাকেই সিডিউস বলে।
বাস্তব জীবনের ঘটনা যদি বাদও দেই, তবে দেহ দর্শণে সিডিউজের উপর ভিত্তি করে বহু মুভি আছে। দেশী বিদেশী অভাব নেই।
আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, একটা শ্রেণী বাস্তব জীবনে তো সেই চর্চা করলোই, উপরন্তু সেই সব মুভি দেখলো, সেখানে বাহাবা দিলো, কিন্তু কোন সমস্যা হলো না। কিন্তু হঠাৎ ঢাবিতে এক ছেলে সেই কথাটা শুধু বললো- ছোট পোশাক পরে আমাকে সিডিউস করবেন না। মানে আমার কনসেন্ট না নিয়ে আমাকে সিডিউস করবেন না। এ কথা বলাতেই মাথা খারাপ হয়ে গেলো তাদের। কেন ভাই ? সে কি মিথ্যা কথা বলছে ? সে কি অবৈজ্ঞানিক কথা বলছে ? সে যদি কনসেন্ট না দেয়, তবে কি আপনি জোর করবেন ? থাকে মানসিক ধর্ষণ করবেন ? কাউকে মানসিক ধর্ষণ করার অধিকার কি আপনি রাখেন ?
এবার আসেন আইনের কথায়।
বাংলাদেশের আইনে আছে, যদি কোন পুরুষ কোন নারীকে অশালীন ভাবে দেহ প্রদর্শন করে তবে সেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তার ১ বছরের জেল হবে। (ঢাকা মহানগরী পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬, ধারা-৭৬)
এ ছেলেটি প্ল্যাকার্ডে যা বলেছে, তা কিন্তু এই আইনের কথাই। বেআইনী কোন কথা না।
আপনারা হয়ত দেখেছেন, কিছুদিন আগে কিছু নারী হাইকোর্টের সামনে কিয়ে ফটোশুট করলো। তাদের হাতে লেখা ছিলো- “অশ্লীল লাগে, নজর সরা”। চিন্তা করে দেখুন, এখানে কোন পুরুষ যদি কোন নারীকে তার দেহাংশ উন্মুক্ত করে প্রদর্শন করে তবেই সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে। অথচ একদল নারী প্রকাশ্যে শরীর উন্মুক্ত করে পুরুষকে হুমকি দিচ্ছে “নজর সরা”। আবার কোন পুরুষ ভিকটিম যখন সেটা সহ্য না করতে পারে সত্য কথাটা বলছে, তখন তারও অপরাধ হয়ে যাচ্ছে! তাকে নিয়ে ফেসবুক-মিডিয়ায় ট্রল করা হচ্ছে। এ কেমন লিঙ্গবৈষম্য !!
আসলে আমরা এতদিন শুধু মুখে মুখে নীতি নৈতিকতা ও আইনের কথা বলেছি।
কিন্তু আমরা নিজেরাই তা কতটা বিশ্বাস করি, তা সন্দেহজনক।



Source: Prothom Alo
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কতভাগ ব্লগার মহা-ডাকাত তারেককে সরকারে দেখতে চায়?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১২



জিয়া মিথ্যা হ্যাঁ/না ভোটে সামরিক এডমিনিষ্ট্রেটর থেকে আইয়ুবের নতো দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, ৫% ভোটকে মিথ্যুকেরা ৯৮% বলেছিলো ; আওয়ামী লীগ বাধা দিতে পারেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর, বেগম জিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক
দায়হীন সরকারের শাসনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে?


দিপু চন্দ্র দাস মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন—
“আমি নবীকে নিয়ে কিছু বলিনি, আমাকে মারবেন না।”
রাষ্ট্র তখন কোথায় ছিল?

আগুনে পুড়তে পুড়তে ছোট্ট আয়েশা চিৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

'আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান'

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯



১। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের মহাত্মা গান্ধীর কর্মকান্ড লুথার খুবই পছন্দ করতেন। ১৯৫৫ সালে লুথার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×