somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রক্তদানের উপকারিতা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজুড়ে রক্তদান এখন এক আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। আর তাইতো প্রত্যেক বছর জুন মাসের ১৪ তারিখে, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উদযাপন করা হয়। হর হামেশাই আমাদের আশেপাশের প্রতিবেশী আপনজনদের শারীরিক নানা জটিলতায় রক্তের প্রয়োজন পরে। আর তাই সেই মুহূর্তে প্রয়োজন পরে রক্ত ডোনারের, যাদের থেকে খুব সহজেই একই গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করা যায়।

রক্তদান রক্তদানের উপকারিতা
রক্তদান এটি একটি মহৎ কাজ, যে কাজটি করার মাধ্যমে একটা প্রাণকে পুনরায় সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেয়। আজকের এই আলোচনায় আমরা আপনাদেরকে রক্তদান কি এবং রক্তদানের উপকারিতা, সেইসাথে রক্তদান সম্পর্কে ইসলামি কিছু বিধি-বিধান তুলে ধরব, যেগুলো সম্পর্কে জানার জন্য সচরাচর অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন।

রক্তদান কি?
রক্তদান হলো একটি পদ্ধতি, যে পদ্ধতির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার রক্ত অন্য একজন সহকর্মীকে বাঁচাতে নিজ ইচ্ছায় দিয়ে থাকে। আরেকটু ভিন্নভাবে বললে বলা যায়– রক্তদান হলো কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়ার একটা প্রক্রিয়া।

রক্তদান কাকে বলে?
রক্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লাড ব্যাংকে সংরক্ষণ করে রাখার উদ্দেশ্যে যারা সদিচ্ছায় নিজেদের শরীরের রক্ত দান করে থাকে তাকেই রক্তদান বলা হয়। রক্তদান করলে সেই রক্তগুলো সাধারণ মানুষ বা যেকোনো রোগী প্রয়োজনের সময় ব্লাড ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারে, যেটা রোগীর প্রাণ বাঁচানোর কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো- গোটা বিশ্বের মানুষকে রক্তদানের ব্যাপারে সচেতন করে তোলা, উদ্বুদ্ধ করা মানুষের মাঝে সংহতি এবং সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি মানুষের মনের অহেতুক ভয়কে দূর করা এবং নতুন রক্তদাতা তৈরি করা এবং নিরাপদ রক্ত ব্যবহারে উৎসাহিত করা। তাই আসুন দেশের দশের উপকারের জন্য আমরা নিজ নিজ দায়িত্বে রক্তদান করি এবং অন্যকেও এ ব্যাপারে জানাতে এগিয়ে আসি।

রক্তদান করার কারণ কি?
রক্তদান করার মাধ্যমে অন্যের জীবন বাঁচানোতে বিশেষ ভূমিকা রাখা যায়। রক্তদান করার মূলত অন্যতম এবং একমাত্র কারণ কোন দুর্ঘটনায় কবলিত বা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রয়োজনের সময় রক্ত দিয়ে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

আমাদের শরীরে রক্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আর এটা আমাদের কারোরই অজানা নয়। শরীরের অন্যান্য সমস্ত কাজের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে রক্ত। আমাদের শরীরে যদি এক ফোঁটা রক্ত না থাকে তাহলে আমাদের এই জীবন শেষ হয়ে যাবে অর্থাৎ আমরা বাঁচতে পারব না।

আর কিছু পরিস্থিতিতে মূলত মানুষের দেহে রক্তের অভাব দেখা দেয়। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি শরীরে রক্ত স্থানান্তর করা না হয় তাহলে ওই ব্যক্তি জীবন হারাতে পারে। কিন্তু সঠিক সময়ে রক্ত স্থানান্তর করতে পারলে সেই ব্যক্তির জীবন বেঁচে যেতে পারে আল্লাহর রহমতে। আর এজন্যই মূলত রক্তদান করা হয়। যাতে করে দুরারোগ্য বা রক্তশূন্য ব্যক্তিকে সঠিক সময়ে রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে তার চিকিৎসা করা যায় এবং তাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।

রক্তদানের উপকারিতা
রক্তদানের উপকারিতা অনেক। আর এর অন্যতম উপকার হিসেবে আমরা তুলে ধরতে পারি দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দেয়। রক্তদানে শুধুমাত্র যে অসুস্থ সেই মানুষটি উপকৃত হয় এমনটা নয়। রক্তদান করার মাধ্যমে রক্তদানকারী ব্যক্তিও বেশ কিছু উপকার পেয়ে থাকেন। যেমন:

তার শরীরে নতুন লাল রক্ত কণিকার বিকাশ ঘটে
হৃদ রোগের ঝুঁকি কমে যায়
ক্যালোরি বার্ন করে
আয়রনের মাত্রা কমে যায় (কিছু লোকের উৎস আয়রনের মাত্রা উদ্বেগের সৃষ্টি করে তাদের জন্য উপকারী)
মানসিক স্বস্তি মেলে এবং
অন্যের মুখে হাসি ফোটানো যায় জীবন বাঁচানোর মাধ্যমে।
তাই আসুন আমরা নিজ নিজ দায়িত্বে রক্তদানের জন্য এগিয়ে আসি এবং নিজেদেরকে ও আশেপাশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করি। পাশাপাশি আলোচনার শেষ মুহূর্তে জেনে নেই- রক্তদান নিয়ে ইসলামি নিষেধ নির্দেশনা। আমাদের ধর্মে রক্তদান করার নির্দেশনা কি দেওয়া রয়েছে, নাকি এটা আমাদের জন্য নিষিদ্ধ

Source: All Easy Advice
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কতভাগ ব্লগার মহা-ডাকাত তারেককে সরকারে দেখতে চায়?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১২



জিয়া মিথ্যা হ্যাঁ/না ভোটে সামরিক এডমিনিষ্ট্রেটর থেকে আইয়ুবের নতো দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, ৫% ভোটকে মিথ্যুকেরা ৯৮% বলেছিলো ; আওয়ামী লীগ বাধা দিতে পারেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর, বেগম জিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক
দায়হীন সরকারের শাসনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে?


দিপু চন্দ্র দাস মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন—
“আমি নবীকে নিয়ে কিছু বলিনি, আমাকে মারবেন না।”
রাষ্ট্র তখন কোথায় ছিল?

আগুনে পুড়তে পুড়তে ছোট্ট আয়েশা চিৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

'আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান'

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯



১। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের মহাত্মা গান্ধীর কর্মকান্ড লুথার খুবই পছন্দ করতেন। ১৯৫৫ সালে লুথার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×