তসলিমা এবং তাঁর অনুসারীরা ইদানিং বেশ চক্র সিস্টেম-এ আমাদের আঘাত করতেছে। নিচের গল্পটা পড়লে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন ”চক্র সিস্টেম” দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছি।
একবার এক দুষ্ট লোক একজন মধ্য বয়সী ব্যক্তিকে নামাজরতঃ অবস্থায় পেছন থেকে পাঞ্জাবীতে কোনায় গুড় লাগিয়ে দেয়।
মিনিট দুয়েক অতিবাহিত হওয়ার পর গুড়ের উপর মাছি বসে যা উঠানে দাড়ানো কুকুরটা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতেছে। মাছি কখনও উড়তেছে আর কখনও আবার গুড়ের উপর বসতেছে.....
কুকুরটি মাছিকে ধরার জন্য লাফ দিলো এবং মাছিকে ধরতে ব্যর্থ হল। ততক্ষনে সে ভারসা্ম্য হারিয়ে নামাজরত ব্যক্তির উপর ঝাপিয়ে পড়লো। তিনি রেগে গিয়ে কুকুরটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলেন। কুকুরের মৃত্যু হল।
কুকুরটা ছিল নামাজরত ব্যক্তির প্রতিপক্ষ এক লোকের যার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি-জমা নিয়ে উনার বিবাদ চলতেছে।
ততক্ষনে ঐ দুষ্ট লোকটি কুকুরের মুত্যুর খবর এবং কুকুরের মুত্যুর কারণ প্রতিপক্ষ ব্যক্তির কাছে গিয়ে বলল। কুকুর মারার ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল ঝগড়া, মারামারি-কাটাকাটি.....।
তসলিমা আর তার অনুসারীরা অনুসারি’রা দুষ্ট লোক সমতুল্য। এরা কোরআনের উপর পিয়ালা রেখে, ফেইসবুকে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটুক্তিমূলক স্ট্যাটাস প্রসব করে, ব্লগে লিখালিখি করে আমাদের আবেগকে রক্তাক্ত করে গুটিয়ে বসে থাকে। আর আমরা ঐ বিধর্মী, ইসলাম বিদ্বেসীদের সাথে তুমুল ঝগড়ায় মেতে উঠে যদিও প্রকৃত মুসলমান হিসাবে এটা আমাদের করনীয় তবুও ওরা দর্শকের গ্যালারীতে বসে হাত তালি দিচ্ছে আর বিদ্রূপ করতেছে।
সেদিন ফর্মালিনযুক্ত মাছ আমাদের স্থানীয় বাজারে প্রথম ধরা পড়ে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে বাজার কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় বাজারে আগত ক্রেতারা যেন ফর্মালিনযুক্ত মাছ না ক্রয় করেন এবং তা মাইকিং করে সর্বত্র জানানো হয়। সাধারণ ক্রেতারাও ঘোষনাটি গুরুত্বের সাথে দেখে এবং বেশ কয়েকদিন বাজারে আসা মাছ কেউ ক্রয় করেনি।
এতে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বেশ মন্দায় পড়ে এবং পরবর্তীতে তারা আর ফরমালিন যুক্ত মাছ আর বাজারে তুলেনি।
উদাহরনটা টানার পেছনে একটা কারন আছে। আমরা যদি প্রসবকৃত স্ট্যাটসে কমেন্ট না করি, ব্লগ পোস্টটি না পড়ি তাহলে তাদের উদ্দেশ্য বৃথা যাবে এবং তারা অনুৎসাহিত হবে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন অন্ধকারে নিমজ্জিত ঐ অনুসারীদেরকে হেফাজাত করেন। (আমিন)
পোস্টটি একই সাথে আমার ফেইসবুক একাউন্টে প্রকাশ করা হয়েছে।