নাস্তিকতা হল এক ধরণের হতাশা। সত্য চিনতে যারা ভুল করে বা সত্যকে জেনেও চেনার চেষ্টা করে না তারাই নাস্তিকতায় বিশ্বাস করে বা নাস্তিকতার প্রচার করে। নাস্তিকেরা আবার নাস্তিকতার প্রচারে সময়, মেধা ও শ্রম নষ্ট করে কেন এটাই আরেক রহস্য। বিশ্বাসীরা তো তাদের ভাল কর্মের জন্য স্রষ্টার নিকট থেকে প্রতিদান প্রত্যাশা করে। সর্বোপরি তাদের একটা আশার স্থল রয়েছে কিন্তু নাস্তিকতার অনুসারীদের এবং নাস্তিকতার ফেরিওয়ালাদের তো সেই আশাও নেই। সূতরাং নাস্তিকতার প্রচার মানে সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কি? হতাশাগ্রস্থদের ঠিকানা যেমন নাস্তিকতা তেমনি নাস্তিকদের ঠিকানা হল আত্নহনন। কারন তাদের তো স্রষ্টার নিকট যাওয়ার কোন আশা নেই।
নাস্তিকতার বিশ্বাসীরা কি আসলে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে গন্য করে? করার কথা নয়। কারন তারা তো মানুষকে অন্য আর দশটা প্রাণীর মতই মনে করেন। তারা তো মানুষকে বিবর্তনবাদের আলোকে বানরের বংশধর মনে করে।
সংশয়বাদীদের প্রতি আমার মায়া লাগে। কারন তারা যে কোন কারনেই হোক তাদের স্রষ্টাকে চিনতে পারছেনা। এটা তাদের জন্য দুর্ভাগ্য হলেও তাদের দোষ খুব বেশী নয়। কারন তারা আসলে সেই পথে হাটারই সুযোগ পাননি । অথবা ভুল পথে হেটে হতাশ হয়ে পড়েছেন। মুসলিম সমাজে জন্ম নিয়ে যারা অর্থসহ কুরআনই পড়ার সময় সুযোগ পেলেন না তারা হতাশাবাদীদের খপ্পরে পড়েবেন এটা তো স্বাভাবিক।
দেখুন না একটু ট্রাই করে। সঠিক পথটি পান কি না। দেখুন মানুষের কত সীমাবদ্ধতা। পেঞ্চেন্দ্রিয়ের কত সমস্যা। মানুষ যত জ্ঞানীই হোক সে চুড়ান্ত কথা বলতে পারে না। সে জন্য প্রয়োজন স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রদত্ত সহীহ কথা।
স্রষ্টার পক্ষ থেকে যে বাইবেলটি অবতীর্ণ হয়েছিল সেই বাইবেল যদিই ইহুদীদের খপ্পর থেকে বেঁচে থাকত তাহলে বাইবেলই সঠিক পথ দেখাতে পারত। তবে একটি ডিভাইন বই আছে যা কেউ বিকৃত করতে পারে নি। ভাল করে পড়ে দেখুন পৃথিবীর সবচাইতে পঠিত এই বইটি হাকিকত কি। তাহলে হতাশার মধ্যে আশার আলো পেতে পারেন যদি কপালে থাকে।
পৃথিবীতে কেউ দুবার আসবে না। তাই সাবধান।
আমার ভাবতে অবাক লাগে, শত শত ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান প্রতি বছর ইসলাম গ্রহন করছে অথচ মুসলমানদের সন্তানেরা আজ সংশয়ে ভুগছে। আসলে এর কারণ হলো, জ্ঞানের অভাব। জন্মগতভাবে সবাই মুসলিম। কিন্তু প্রকৃত মুসলিম হতে হলে জানতে হবে আর মানতে হবে। মুসলিমের ঘরে জম্ম নিলেই মুসলিম হওয়া যায়না। ইউরোপ আমেরিকার লোকজন পড়াশোনা করে মুসলিম হচ্ছে আর আমরা আমাদের ধর্ম সম্পর্কে না জানার কারনে সংশয়বাদী হচ্ছি।
আমি বলছিনা যে আপনি অন্ধবিশ্বাস নিয়ে থাকুন। তবে যুক্তিই আপনাকে বলে দেবে কোনটি সত্য।
স্রষ্টাকে না জানা বা না চেনাও একটি বড় অপরাধ নয় কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩