তিনি আমাকে প্রায় ধ্যানের জগতে নিয়ে গেলেন। বললেন, মনে কর তুমি এখান থেকে উড়ে চলে যাচ্ছ উপরের দিকে আকাশে। আকাশের তারাদের মাঝে। তুমি চলে যাচ্ছ গ্রহ থেকে গ্রহে। কোটি কোটি আলোক বর্ষ দূরে কোন নক্ষত্রে তুমি গিয়ে নামলে। সেখানে হেটে বেড়াচ্ছো তুমি। এভাবে তিনি আমায় আরেক শিহরনের মধ্যে নিয়ে গেলেন। এরপর সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে তিনি আমাকে তাদের এই কোর্সের ব্যয় সম্পর্কে ধারণা দিতে শুরু করলেন। সর্বনিু তিনদিনের কোর্স। এছাড়া সাত দিন, পনের দিন ও একমাসের কোর্স রয়েছে। তবে তার সাথে রয়েছে ডলার ডলার ইউএস মুদ্রার হিসাব। মনে মনে নিজেকে বুঝালাম নেপালেতো মেডিটেশন শিখতে আসিনি এসেছি দেখার উদ্দেশ্যে। আগে হিমালয় দেখ, পোখারার ফিউয়া লেক দেখ। ঘুরে বেড়াও তার পর চিন্তা করো গ্রহ নক্ষত্রে যাওয়ার কথা। আর এখানে যে ডলার খরচ করতে হবে তা করলেতো আর বাড়ী ফেরা হবেনা। যাই অনেক দিন অনেকের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারিনি। এমন একটা হোটেলে উঠেছি যারা না জানে ইংরেজী না জানে বাংলা আর আমি তো এ দুটো ছাড়া অচল। এখানে ইংরেজীতে কথা বলেও অনেকত শান্তি পেলাম এরা ভাল ইংরেজী বলতে ও বুঝতে পারে। আমি পড়ে যোগাযোগ করবো বলে ওদের ব্রশিওর নিয়ে এলাম। হিমালয়ের যতই উপরে উঠি এরকম অসংখ প্রতিষ্ঠান চোখে পড়লো। আর কত উপরে উঠবো ওঠার শেষ নেই। পথ আছে লোকজনও উঠছে তবুও আমি নিজে ফিরালাম। আস্তে আস্তে নিচের দিকে নেমে এলাম। দেখতে দেখতে অনেক বেলা হয়ে গেল। নিচে নেমে একটা খাবারের হোটেলে গিয়ে দুপুরের ভাত (সাদাদানা) খেলাম। খাওয়ার পর ফিউয়া লেকের সামনে ঘুরে বেড়ালাম। কিছুক্ষণ ঘুরে কয়েকটা দোকান ঘুরে ঘুরে দেখলাম। সবগুলো দোকানই পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে। একটা দোকানে গিয়ে দোকানের বিক্রেতা মেয়েটাকে অনেক আকর্ষনীয় মনে হলো। এই দোকানে নানান ধরণের শোপিচ বিভিন্ন প্রকারের রত্ন পাথরের রূপার আংটি বিক্রি হয়। আমি দোকানে গিয়ে আংটি গুলো দেখার ফাকে ফাকে দোকানীকে দেখছিলাম। ক্রেতা খুব বেশী নেই। একটু ভিড় কমতেই মেয়েটা আমার কাছে এলো। আমি তার নাম জানতে চাইলাম। সে নাম বলল। নামটি ভুলে গেছি, এ মুহুর্তে মনে নেই। অনেক কথা বার্তায় মেয়েটা আমার সাথে খুবই আন্তরিক হলো। এক সময় সে আমাকে একটি আংটি কিনতে অনুরোদ করলো। রুপার আংটিটায় কি যেন এক পাথরের কথা বলল। আমিও না কিনে পারলামনা। আংটি নিয়ে মেয়েটার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আরও কিছুক্ষণ ফিউয়া লেকের পাশে ঘুরে তারপর লোকাল মাইক্রোবাসে পোখারা চলে এলাম। সন্ধ্যার কিছু পরে এসে হোটেলে পৌছলাম।
(চলবে)।
প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব বাকী লিংক পরের পর্বে দেয়া হবে
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৫৯