জীবন কি কখনো নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয়?
প্রশ্নটা নিরপেক্ষ নয়। আবার নারীর বিপক্ষেও নয়। আমরা নারীর পক্ষে। সুতরাং নারীর বিপক্ষে আমাদের অবস্থান নয়। নারীর অবমাননা কিংবা নারীকে অপ্রয়োজন ঘোষনা করাও আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের অবাধ্য মনে এই প্রশ্ন জাগে: কে এই নারী? যার কারণে জীবন মাঝে মাঝে থেমে যেতে চায়! আমরা বিশ্বাস করি এ জীবন কখনো নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয় না।
আমরা বিশ্বাস করি:
''এবিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর''।
কিন্তু যে জীবন নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয় সে জীবন কেমন জীবন? প্রথম প্রশ্নটা আবার করি: এ জীবন কি কখনো নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয়? উত্তরটা ব্যক্তি সাপেক্ষ। কারও জীবন হয়তো এমন যে জীবন তিনি যাপন করছেন সে জীবন তার কাম্য ছিলনা! হয়তো এর চেয়ে উন্নত জীবন তার প্রাপ্য ছিল। যারা নারীকে ভোগের মাধ্যম হিসেবে নিয়ে তৃপ্ত তাদের কাছে নারী কখনোই ব্যর্থতা হিসেবে ধরা দেয় না! কি প্রকাশ্যে কি গোপনে সীমার বাইরে গিয়েও তারা নারীতে অবগাহন করেও দহনে পুড়ে না কখনো। কোন নারীর ছলনায় পড়ে অন্যভাবে বললে মোহে পড়ে হয়তো থেমে যায় না তাদের জীবনরে গতিময়তা! কিন্তু ওই যে প্রথম পক্ষের জীবন গতিহীন হয়ে যায়। কখনো কখনো। কেন? উত্তর খুঁজতে গেলে তখন নারীকে বলা যায় মোহ! কেন মোহ? মোহটা এই জন্য যে স্রষ্টা তাঁকে মোহ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এ ব্যাপারে আমাদের সাবধান বাণী দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের কাছে সবসময় দুটি পথ খোলা থাকে। যে কোন একটি ধরেই আমরা হাঁটতে পারি আমাদের পথে। নারীকে মোহ বলব কেন? উত্তরটা আগেই দেয়া হল। প্রকৃতিগতভাবে নারী সুন্দর। এই সুন্দরের স্রষ্টা যিনি তিনি বলেই দিয়েছেন ''আমি তোমাদের জন্য লোভনীয করেছি অর্থ-সম্পদ.....স্বর্ণ-রৌপ্য...নারী......''।
উত্তরটা আমাদের কাছে স্পষ্ট। কেন নারী মোহ! আবার নারীর প্রয়োজনীয়তা? অবশ্যম্ভাবী! সেই স্রষ্টাই যখন বললেন 'তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের মাঝে রয়েছে প্রশান্তি ' । তখন আর বুঝতে বাকী থাকে না। কেন নারী কেন নারী নয়! পথ খোলা আছে আমাদের সামনে। শুধু আমাদের চিন্তাগুলো আমাদের নির্দিষ্ট করে দেয় কোন পথটা ধরব আগামীর জন্য।
নারী কতটুকু বুঝে নিজেকে? নিজের শক্তিকে? প্রকৃতিতে তার আপন প্রভাবকে? কেউ কেউ বুঝে! আর যে নারী একটু্ও বুঝে না নিজেকে, কেন তাঁকে এত সুন্দর করে স্রষ্টা বানালেন এই ধরায় সে নারীর কারণে প্রলয় হয় আমাদের মনে, সমাজে, সংসারে। কিন্তু যারা বুঝে তারাই আসল নারী! দ্বিধাহীন চিত্ত্বেই বলা যায় সে নারীকে তখন আর নারীবাদি হতে হয় না। না চাহিতেই পেয়ে যায় সে তাঁর অধিকার। আর যারা বুঝে না নিজেকে তারাই হয়ে উঠে পুরুষবিদ্বেষী! তারা ভুলেই যায়:
'শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী
পুরুষ গড়েছে তোমা সৌন্দর্য সঞ্চারী
আপন হৃদয় থেকে!''
সমাজে যে পুরুষ নারীকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ পায় নারী জানে না সেই সুযোগ নারীর দূর্বলতার সুযোগেই পায় পুরুষরা! আর যে পুরুষ নারীকে দুর্বল ভেবে ইচ্ছামত পুতুলখেলার রাজনীতিতে মেতে উঠে সে পুরুষ নিজেও জানে না তার আত্মক্ষমতা! নারী সংক্রান্ত সমস্যায় আমরা তাই জড়িয়ে পড়ি অদ্ভূত তর্কে।
কেন নারী? নারী জীবনের জন্য। কেন নারী নয়? নারীকে অবলা মনে করার জন্য নারী নয়! নারী নিজেকে চিনবেনা এই জন্য নারী নয়। নারী পুরুষের জন্য পুরুষ নারীর জন্য। অন্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করবে উভয়ই। কিন্তু তার আগে ভাববার যথেষ্ট অবকাশ করে নিতে হবে: আমাদের পথ কোনটা?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


