স্কোয়াড্রন লীডার মুনমি খান মজলস,ি পি এস সি
১। ছোট্ট পৃথুর চোখে দ্যুতিরা প্রাণ হয়ে মাতামাতি করছে। তাদের আজ কি যে আনন্দ তা কাউকেই যেন বোঝাতে পারছে না। আনন্দের ঝর্ণাধারা অবারিত প্রস্ফুটিত তাদের সবার মাঝে। কি অপূর্বই না স্বামর্থ এই অতিসাহষি মানুষগুলোর। চোখের পলক যেন স্থির হয়ে গেছে। পাছে এই দ্যুতির কারুকার্য অবলোকন থেকে বঞ্চিত হতে হয়। আজ এই আনন্দের আসরে পৃথুদের সাথে সাথে বড়রাও ফেলে দিয়েছে তাদের কৃত্রিম বাধণ। জাতি আজ উজ্বযাপন করছে তার সবচেয়ে বড় অর্জণ - স্বাধীণতার বর্ষপুর্তি। দেশবাসির প্রাণের সুরের সাধে ঐক্যতান করছে তাদের প্রিয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। আমাদের মহাণ স্বাধীণতা যুধ্যের সময় জন্ম নেয়া বিমান বাহিনী আজ তাই স্বগৌরবে প্রদর্শণ করছে তাদের পারিদর্ষতা। আকাশের বুক চিরে তাদের অপূর্ব কারুকাজ আজ যেন আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে দিয়েছে ছোট বড় সবার মাঝে। বাংলাদেশ সশস্র বাহিনী নিয়ে দেশবাসির যে গর্ব তাই প্রতিফলিত হচেছ বিমান বাহিনীর এই মনোঞ্জ ফ্লাইপাস্ট ও জংগি বিমানের দুর্ধষ্য এ্যারোবেটিকস্-এর মাধ্যমে।
২। বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত- এই মূলন্ত্র্-এ উজ্জিবিত বিমাণ সেনারা দেশসেবায় নিবেদিত। তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর এই বাহিনী বিশ্বের অত্যাধুনিক আবিস্কারের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের আধুনিকায়নে সদা জাগ্রত। বাংলাদ্রেশ বিমান বাহিনী স¤প্রতি সিস্টেম অটোমেশন’ সহ নিবিড় আকাশ প্রতিরা ব্যবস্থ্া বাস্তবায়ন ছাড়াও উইপণ সিস্টেমেরও আধুনিকায়ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিমান বাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক জংগি বিমান। থ্রি ডাইমেনশনাল এ্য্টমসফেয়ারের অতন্দ্র প্রহরী এই তৃতীয় প্রজন্মের মুক্ত বিহঙগদের সাথে তাল মিলিয়ে বিমান বাহিনীর পরিবারে সংযুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রশিণ এবং পরিবহণ বিমান ও হেলিকপ্টার। আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে আমাদের বৈমানিকদের মুন্সিয়ানার সার প্রত্য করল দেশবাশি তাদের স্বাধীণতা দিবসের মহড়ায়।
৩। তানপুরার নানা ধাতুর বিণায় শীল্পির স্পর্শে শব্দেরা যেমন শৃঙ্খলিত হয়ে অনুরণন তোলে তেমনি বিমান বাহিনীর বৈমানিকরা নানান রকমের বিমানগুলোকে চালিয়ে নিয়ে যায় একই সুতায় গাথা বিভিন্ন বর্ণের ফুলের মালা রূপে। দর্শকরা অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে থাকে আর মুগ্ধ হয় তাদের সূর্য সন্তানদের দৃঢ়তায়। একসাথে উকি দিয়ে চলে গেলেও এইসব বিহঙগগুলো কিন্তু একসাথে ডানা মেলে না। তাদের এনড্যুরেন্স-র উপর নির্ভর করে বিমানগুলো পর্যায়ক্রমে উড্ডয়ন করে আকাশের বিভিন্ন প্রন্তে অবস্খান নেয়। এই বহরে যেমন থাকে শব্দের চেয়ে গতিশীল যুদ্ধ বিমান , তেমনি আছে শব্দের গতির বোমারু , প্রশিণ জেট , পরিবহন , অল্প গতির প্রশিণ বিমান এবং হেলিকপ্টার। তাদের সবার উদ্দেশ্যই কিন্তু একসাথে মিলিত হয়ে দেশবাসিকে অভিবাদন জানান। তাইতো নানাবর্ণের এই পাপড়িগুলো একটা নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লাইপাস্ট কন্ট্রোলারের সংকেতের সাথে সাথে স্বস্ব অবস্থান থেকে বিভিন্ন গতিতে ধাবিত হয় তাদের গন্তব্যে। অসংখ জলধারা যেমন বহু চড়াই পার হয়ে সাগর সঙগমে মিলিত হয় , বিচিত্র এই আকাশচারীরাও ঠিক নির্দিষ্ট সময়ে মালা গেথে পার হয়ে যায় বিষ্ময়াভূত দর্শকসারী। ছোট্ট পৃথুদের ধাঁধাঁ কখনই সমাধান হয় না - “কি করে এই হেলিকপ্টারগুলো সুপারসনিক ফাইটারদের সাথে অমন করে একই সাথে ভেসে এলো ! ঐ দানবের মতন পরিবহন বিমানগুলো কিভাবেই না অগ্রবর্তী দ্রুতগামী জেট এবং পশ্চাতের অল্পগতির বিমানগুলোর মাঝে সমন্বয় করে সমান্তরালে এগিয়ে চলেছে!
৪। প্রায় ৬০ টি মুক্ত বিহঙ্গের সুশৃঙখল ঝাঁক দিগন্তে মিলিয়ে যেতে না যেতেই আকাশ চিরে আবির্ভূত একটি প্রশিণ বিমান । ফোয়ারার জলধারা যেমন উর্ধ্বমূখি উথিত হয়ে চতুর্দিকে আছড়ে পরে প্রপেলার বিমানটি তেমনিই আকাশের ক্যানভাসে বিভিন্নমূখি রেখাচিত্র একে চলেছে। সার্প টার্ন, ল্যুপ, এলিরণ রোল, কিউবান-৮, ব্যারেল রোল ইত্যাদি নানা কারুকার্যে চিত্রিত আকাশপট। অদূরে পাখিরাও মেতে উঠেছে এই আনন্দ যজ্ঞে। বেসিক ট্রেইনারটিকে ধাওয়া করে নেমে এলো বাংলাদেশ বিমান বহরে নতুন সংযোজিত একটি ফাইটার। মূহুর্মূহ দিক পরিবর্তন করে চতুর্দিকে ধাবিত হয়ে আবার ফিরে আসা- এ যেন গল্পের পঁংখিরাজের এখানে ওখানে ছোটাছুটি। দর্শকদের স্বাদ অপূর্ণ রেখে হঠাৎ করেই চপলা জেট বিমানটি উর্ধ্ব আকাশে উঠে গেল। সবাই যখন তার গন্তব্যের আবিস্কারে মগ্ন, তখনই পূর্ব আকাশে গ্যালারির নিচ থেকে আবির্ভূত যেন এক বাঁজপাখি। তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধ বিমানটি দেখতে বড়ই মনহর। দুইপ্রান্তের গ্যালারির মাঝে যে ফাকা জায়গা তার মাঝ দিয়ে আবির্ভূত হয়ে সহশাই দিক পরিবর্তন করে সামান্য ্উচ্চতায় যখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির মঞ্চের সামনে দিয়ে অভিবাদন করে চলে গেল তখন সত্যিই দেশবাসির সাথে তার অনুভূতির বিনিময় হয়ে গেল। আমাদের বুক ভরে গেল প্রসংশা আর অহংকারের অশ্র“ বর্ষণে। যাšিতৃক শাহীনটি যে কি করে অমন গতিতে ধাবিত হয়ে পরমুহূর্তেই সেসনার গতিতে নেমে আসে ভাবা যায় না। এটাই নাকী মিগগুলোর বিশেষত্ব। যার ফলশ্র“তিতে তারা পেছন থেকে শব্দের গতিতে আগত শত্র“ বিমানকে ফাঁকি দিয়ে তার পেছনে অবস্থান নিতে সম হয় এবং সহজেই ঘায়েল করতে পারে। নিজেকে সমান্তরাল রেখে দুই ডানায় ভর করে ঘূর্ণির মত সাইড রোল দিতে দিতে আকাশে তরঙ্গ খেলে যাওয়া সবাইকে মুগ্ধ ও বিষ্মিত করে দিল। পরণেই সামান্য গন্ডিতে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখে বৃত্তাকারে ঘুরে এসে চতুর্দিকের বায়ুমন্ডলকে যেন অভিবাদন জানাল তাকে ভাসিয়ে রাখার জন্য। গোধুলী বা ঊষালগ্নে পাখিদের ঝাঁক যেমন তাদের নৈপুন্যে আমাদের আকৃষ্ট করে চলে যায় বাতাসে বিকট শব্দ তুলে তেমনিই এই বিষ্ময় আবিষ্করটি আমাদের অভুক্ত কিন্তু গর্বিত ও অবাক করে সোজা উর্ধ্ব আকাশে হারিয়ে গেল। সবার মনোযোগ ও নিস্তব্ধতা ভাঙ্গল অনেণ পরে দেশবাসীর মূহুর্মুহ আবেগআপ্লুত করতালিতে।
৫। ১৯৭১ সালের স্বাধীণতা যুদ্ধের বিুব্ধ দিনগুলোতে বিমান বাহিনীর সাহষী সূর্যসেনারা মাতৃভূমিকে শত্র“মুক্ত করতে ঝাপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে। সর্বস্তরের বিমানসেনারা অংশগ্রহণ করেছিল মুক্তিবাহিনীর অন্য্ান্য সদস্যদের সাথে বিভিন্ন রণাংগনে। সর্বোমোট ২৫০ জন অফিসার্স্ এবং ৭০০ জন বিমানসেনা প্রাণের টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। আমাদের স্বাধীণতা যুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠদের অন্যতম ফাইট লেফটেনেন্ট মতিউর রহমান মহত্ব ও আত্মত্যগের যে দৃষ্টান্ত স্খাপন করে গিয়েছেন মানব সভ্যতার ইতিহাসে তা চিরস্মরণীয় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। আগামি পৃথিবীর যে কোন জাতীয়তাবাদি আন্দলোনে তা অনুকরনীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে। আত্মত্যাগি এই যোদ্ধারা সমর যুদ্ধে শুধুমাত্র সাহসিকতারই পরিচয় দেয়নি, বরং নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনার অমর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক (গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার) সহ ১১ টির মধ্যে ২টি সেক্টরের কমান্ডার (উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার ও উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান) ও কয়েকটি সেক্টরের উপ-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বিমান বাহিনীর অফিসাররা (ফাইট লেফটেনেন্ট সদরুদ্দিন, ফাইট লেফটেনেন্ট কাদের, ফাইট লেফটেনেন্ট সুলতান মাহমুদ উল্লেখযোগ্য) যুদ্ধ পরিচালনায় যে দতার পরিচয় দেখিয়েছে তা সত্যিই বিরল। এই সাহসি যোদ্ধারা অত্যন্ত বিচণতার সাথে উপলদ্ধি করলেন থ্রি-ডাইমেনশনাল ফোর্সের প্রয়োজনিয়তা। ২৮ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে ভারতের বর্তমান নাগাল্যান্ড-র অরণ্য ঘেরা ডিমাপুরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিত্যাক্ত একটি এয়ারফিল্ড-এ জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশের বিমান বাহিনী। অব্যাবহৃত ১ টি ডিসি-৮ বিমান এবং ২টি হেলিকপ্টার (১টি অটার ও ১টি এল্যিউট) নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যাত্রা যার গোপন সাংকেতিক নাম ছিল “কিলো ফাইট”। বিভিন্ন সেক্টর থেকে জোড় করা হয় পাইলট, নেভিগেটর, কন্ট্রোলার, টেকনিশিয়ানসহ গুটিকয়েক বীর সেনানিদের। স্বল্পতম সময়ে ফাইট লেফটেনেন্ট সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে নিজেদেরকে শত্রুর দুর্গে ঘাযেল করতে প্রস্তুত করে তোলে। পৃথিবীর ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম বিমান বাহিনী, কমার্শিয়াল এয়ারলাইনস্, ফাইং কাব, প্ল্যান্ট প্রটেকশান ইত্যাদি সিভিল -মিলিটারী উভয় পেশার এভিয়েটররা একসাথে মিলিত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করল।
৬। ১৯৭১ সালের ৩ রা ডিসেম্বরের রাতে অসংখ নত্ররাজির সাথে দিগন্তে ঊদিত হলো কয়েকটি রক্তিম সূর্য। তারা সুধূর ডিমাপুর থেকে বৃরে ছায়ায় নিজেদের আড়াল করে শত্রুর র্যাডার ফাঁকি দিয়ে তৎকালিন পূর্ব পাকি¯তনের কেন্দ্রে আঘাত করে শত্রুকে ¯তব্ধ ও হতবাক করে দেয়। সেনাবাহিনীর মূল চালিকাশক্তি পতেঙগার তেল শোধনাগার ও নারায়নগঞ্জের তেল ডিপো বোমার আঘাতে আকাশে আগুনের লেলিহান শিখা তুলে প্রজ্বলিত হতে থাকে। এতে শত্রুর জালানি সম্ভারই শুধুমাত্র প্রজ্বলিত হয়নি, বরং তাদের মনোবলে গভীর চির ধরে। তাইতো পাক আই এস পি আর-র প্রতিনিধি অকপটে স্বীকার করে চট্টগ্রমর তেল শোধনাগার ৪ঠা ডিসেম্বরের প্রথম প্রহর ২ টায় শত্রু বিমানের বোমার আঘাতে প্রথম বারের মত বিধ্বস্ত হয়। অসীম সাহসী আর দেশপ্রেমে উজ্জিবিত বাংলার ঈগলরা এভাবেই অপ্রতুল সরঞ্জামাদি নিয়ে বাতিল হয়ে যাওয়া বিমান ও হেলিকপ্টারগুলো চালু রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে থাকে। কোনরকম নেভিগেশনাল এইডস-র সাহায্য ছাড়া পাকিস্তানের সুশিতি এ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট আরটিলারীকে ফাঁকি দিয়ে পাক আর্মির ১৪ তম ডিভিশন সদর দপ্তর এবং অন্যান্য স্খানে বিশেষভাবে ভৈরব ও গোদনাইল এলাকায় নিবিড় আঘাত হানে। এইসব ট্রেনিং ও ফসলের খেতে ওষুধ ছিটানোর কাজে ব্যাবহৃত বিমান দিয়ে বাংলার দামাল সন্তানরা কেবলমাত্র শত্রুকে ঘায়েল করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং স্বাধীন দেশের বিমান বাহিনীর মত সেনাবাহিনীকে সহায়তা বা ট্রুপস ট্রান্সপোর্টেশন, লিঁয়াজো এবং রাষ্ট্রীয় বিশীষ্ট ব্যাক্তিবর্গের চলাচলের মত মিশন পরিচালনা করে। দেশপ্রেমে উজ্বিবিত হয়ে আমাদের বীর ফ্যালকনদের অবদান যুদ্ধের কলাকৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করে। মূলত গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা একটি জনগোষ্ঠির মধ্য থেকে কতিপয় সিভিল মিলিটারী এভিয়েটরের একটি বিমান বাহিনী গড়ে তোলা এবং পরবর্তীতে কনভেনশনাল বাহিনরি মত যুদ্ধে অংশগ্রগণ করা পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যিই বিড়ল।
৭। সূচনালগ্নে পূর্বসূরীরা যে সাহষিকতা আর দতার সার রেখে গিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে আজকের সমৃদ্ধ ও আধুনিক বিমান বাহিনী। তার প্রতিফলন আমরা যেমন দেখেছি জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে তেমনি জাতি গর্বভরে প্রত্ত করেছে তাদের বিমান বাহিনীর চিত্তাকর্ষক ল্লাইপাষ্ট, এয়ার- শো, রিলিফ মিশন, ডিসাস্টার ইভাকুয়েশন মিশন, ভিভিআইপি মিশন, জরুরী গার্মেন্টস সামগ্রী বা জালানী তেলের ট্রান্সপোর্টেশন ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ। বন্যা, জলোৎছাস, সাইকোন সহ যেকোন প্রকৃতিক দুর্যোগে বিমান বাহিনীই সর্বোপ্রথম পাশে এসে দাঁড়ায় অসহায় মানুষের সাহায্যে। সম্প্রতি সাইকোন সিড্রর বিধঃস্ত জনপদে উই এস মেরিনের সাথে সমানতালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও পরিবহণ বিমান-র অবদান জাতি অবশ্যই কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করে। শুধুমাত্র দেশেই নয় বিমান বাহিনীর অকুতোভয় ম্যাভরিকরা বিদেশের মাটিতেও তাদের উইংস-র কারুকাজ প্রতিষ্ঠিত করেছে। গাল্ফ ওয়ার পূর্ববর্তী ইরাকের এয়ারফোর্স একাডেমীর চীফ ফাইং ইন্সট্রাকটর সহ অনেক ইন্সট্রাকটরই ছিল বাংলাদেশী পাইলটরা। জাতিসংঘ শান্তিরা মিশনে ষ্টাফ হিসেবে অবদান রাখার পাশাপাশি কুয়েত, ইষ্ট তিমুর এবং গনপ্রজাতান্ত্রিক কংগে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্টের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। জাতিসংঘ মিশনে এয়ার সাপোর্ট দেয়া গুটিকয়েক দেশের এলিট গ্রুপের সদস্য বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা বিমান বাহিনী প্রধাণ তাইতো কৃতজ্ঞতা ও গর্বে উদ্ভাসিত থাকেন স্বাধীণতার বেদীতে অর্ঘ্য প্রদাণের লগ্নে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০১