মানবজাতিকে জিইয়ে রাখতে তুমি
কর নিজ রক্ত বিসর্জন
মানব সন্তানকে কর দশ মাস গর্ভে ধারণ
ভুমিষ্টকৃত সন্তানকে তুমি
কর আপন বক্ষের দুগ্ধে পুষ্ট
কর অপার যত্ন, ভালবাসায় লালন
মহীয়সী নারী তুমি
ত্যাগ ও ভালবাসায় মানবজাতিকে কর ধন্য!!
পুরুষ তোমাকে বলাৎকার করে, করে ধর্ষণ,
করে তোমার দেহ-হৃদয়-মনকে চূর্ণ
সে পাষণ্ড পুরুষকে ক'রে আপন গর্ভে ধারণ,
ক'রে আপন দুগ্ধ, মায়া-মমতায় পুষ্ট,
তুমি নিজেকে মনে কর ধন্য
মহীয়সী নারী, তুমি অনন্য!!
পুরুষ সৃষ্টি করেছে ধর্ম, সংস্কার
করতে তোমার ব্যক্তিত্ব, মর্যাদা খর্ব,
তোমার স্বাধীনতা হরণ
বানিয়েছে তোমাকে ক্রীতদাসী, যৌনদাসী
এসিড ছুড়ে সে করে তোমাকে বিদগ্ধ-বিকৃত
উপড়ে ফেলে তোমার চোখ, কেটে ফেলে নাক-কান
নাশ করে তোমার জীবন, স্বপ্ন
সে বর্বর নির্মম পুরুষে
ঢেলে দিয়ে হৃদয়-মন, সবটুকু ভালবাসা
তুমি নিজেকে মনে কর ধন্য
নারী তোমার বদান্যতা অতুল্য
নারী তুমি মহীয়সী, তুমি অনন্য!!
--
(কবিতাটি স্বামী-কর্তৃক চোখ উপড়ে ফেলে অন্ধকৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রুমানা মঞ্জুরকে উৎসর্গ করা হল।)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১