ডক্টর কামাল। ৪ মাস আগে -
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে নীতিগত আপত্তি নেই,
জামাতের বিরুদ্ধে কারফিউ। জামাত থাকলে ডক্টর কামাল সাহেব বিএনপিকে যুক্তফ্রন্টে নিবেন না!!
হঠাৎ করেই বাঙালি নড়েচড়ে বসলো, 'মাই গড - এতো তাজ্জব কারবার'!
হ্যা, মাত্র সেদিন ২৮সে আগষ্ট ডা.কামালের বাসায় মিটিং।
আয়জক মাহামুদুর রহমান মান্না ও বদচৌ। মান্না ও বদচৌ অবস্য ৩-৪ মাস জাবত চেষ্টা করে যাচ্ছে ডক্টর সাহেবকে ধরার জন্য, কিন্তু উনি টাইম দেই দেই করে আর দেন .. দেন না। মান্না-বদচৌ নিরুপায় হয়ে ডাক্তার জাফরুল্লাকে হাতে পায়ে ধরা যাতে ডক্টর সাহেব একটু সময় দেয়। এর পর ২৮সে আগষ্ট মিটিঙ্গে রব ও সুলতান মুনসুরকেও দেখা যায়।
সবাই সরব, শক্ত। জামাত-তারেক বা যুদ্ধাপরাধী সমর্থক কাউকে নেয়া হবে না। বিএনপি আসলেও এসব শর্ত মেনে ভাল হয়ে আসতে হবে।
সাজাপাওয়া দন্ডপ্রাপ্ত কাহারও মুক্তি চাওয়া হবে না, শুধু রাজবন্দিদের।
বিএনপির পক্ষ থেকেও জানানো হল, খালেদা জিয়ার মুক্তি তারা না চাইলেও জাতীয় ঐক্য গড়তে কোনো সমস্যা হবে না। তবে বিএনপি এককভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলে যুক্তফ্রন্টের কোনো বাধা থাকবে না।
আবারো বলা হলো - জামাত বা যুদ্ধাপরাধী সমর্থক নেয়া হবে না।
"ও মাই গড ড.কামাল ক্যাম্নে এই বয়সে এত হর্স পাওয়ার পেলো!!'
হঠাৎ একদিন ওদের মিটিংএ সুট-টাই পরিহিত মইনুল!
এইডা কৈথ্যাক্কা আইলো?
মিটিং শেষে ডা.জাফরুল্লার পাসে বসে ফিস ফিস শুরু। লন্ডন ও করাচি ইন্টারন্যশানাল জামাতের মিশন নিয়ে এসেছে মইনুলের মাধ্যমে।
একপর্যায়ে দেখা গেল জামাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার অংশটি মায়নাস হয়ে গেল।
এরপরও ড. সাহেব লজ্জা কাটিয়ে উঠতে পারেন নি, সিলেটের জনসভায় খালেদার মুক্তি না চেয়েই বক্তৃতা শেষ করলেন।
ক্ষিপ্ত মান্না ছুটে এল, স্যার এটা কি করলেন?
না মান্না এই কথা আমি বলতে পারবোনা, আমার মুখ দিয়ে বের হবে না।
স্যার তীরে এসে তরী ডুবাইয়েন না ... । মির্জা ফকরুল একা দাঁড়িয়ে কোথায় যেন ফোন করছে, জাফরুল্লা রব কে বলছে ফিস ফিস করে - দেখছো শালা একটা কাউয়ার্ড!
হসিনার সাথে দুই দফা সংলাপে খাওয়াদাওয়া করে ... নাস্তনাবুদ হয়ে ...
ড. সাহেবদের এখন লজ্জা সরম কেটে গেছে ।
এক বক্তৃতায় শুনলাম সরাসরি স্পষ্ট ভাবে খালেদার মুক্তি চাইছে।
তারেকের নেতৃত্ব নিশ্চুপ থেকে মেনে নিচ্ছে।
আর জামাত?
আবার জিগায়!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩