বাসগুলোকে ফ্রাঞ্চাইজি করে ৬টি বাস কোম্পানিতে পরিণিত করা হচ্ছে।
হলেও খুব একটা লাভ হবে না।
কারনটা ট্রাফিক জ্যাম। দরকার পৃথক বাস লেন।
দেখি গাড়ী বাস সবই থেমেই থাকে। অল্প একটু চলে আবার থেমে থাকে। জ্যাম।
পৃথক বাস লেন থাকলে অন্তত একটি শ্রেনির গাড়ী (পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বাস) গতি বাড়বে। জটে পড়বে না।
আমেরিকার শহরগুলোতে মাঝে মাঝে বাংলাদেশের চেয়েও বড় জ্যাম হয়, কিন্তু পৃথক লেন থাকায় বাস সার্ভিস জ্যামে পড়ে না।
ঢাকায় সিটি বাস সার্ভিস ৬টি কোম্পানিকে দেয়ার এত ইচ্ছা থাকলে দেক। কিন্তু বাসগুলো লেন ভিত্তিক চলার ব্যাবস্থা করুক।
আর বাসগুলো অবস্যই বড় দোতালা বাস হতে হবে।
ছোট ও মিনিবাস ঢাকায় নিষিদ্ধ করতে হবে। এই বাসগুলোই বেপরোয়া প্রতিযোগিতা, অকারন ওভারটেক আর এলোপাথারি চলে।
দোতালা বাস এভাবে বেপরোয়া চলতে পারবে না।
বাসগুলো অবস্যই বড় দোতালা বাস হতে হবে, বিআরটিসিকেও ৬টি বাস কোম্পানির ভেতর রাখতে হবে।
আমেরিকার মতো দেশেও নগর পরিবহন ১০০% সরকারি, সেবামুলক, অলাভজনক।
বেশিরিভাগ নগরের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যাকে ট্রানজিট বলে ডাকা হয় সেটা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় শতকরা একশতভাগ সরকারি। সরকার মানে সিটির সরকার, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল সরকার না, স্টেটের সরকারও না। সিটি অথারিটি সিটির মেয়র দায়বদ্ধ। সেই ট্রানজিট সিস্টেমে বাস তো থাকেই, মেট্র রেলও থাকে, জমি-আকাশ-পাতাল সব রেল সিটির মালিকানা। শহরের জমির মালিক বড় শহরের বেলায় সিটি কর্পোরেশন আর ছোট শহরের বেলায় টাউন।
অলাভজনক তাই প্রাইভেট সেক্টর এই কাজ করতে পারলে সবার আগে মার্কিন দেশেই সেটা হতো।
বাংলাদেশ এক আজব দেশ, এত দুর্বল সিটি সরকার সেজন্য সিটির হাতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই। সিটির হাতে পানি, সুয়ারেজ, স্টর্ম সুয়ারেজ, ভূমির মালিকানা, কিছুই নেই। রাস্তার বাল্ব পরিবর্তন, মশা মারে, আর রাস্তা ঝাড়ু দেয় মাত্র।
তবে ৬ বাস কোম্পানি বা যাই হোক, দোতালা বাস হোক। হোক পৃথক বাস লেন।
বাস লেন ও যানজট কমাতে এবং এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ছবি সহ আমার আগের লেখাটি পড়ুন।
নাগরিক চলাচল ভোগান্তি কমাতে আমার নিজস্য কিছু ভাবনা
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩