কিছু মানুষ বেশী লাফায়।
টিআইবি বলেছে ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। এতে ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস অপচয়।
হ্যা। সেটা বাসায়। যাদের গ্যাস সংযোগ আছে তারা করছেন। কিন্তু বাসার বাহিরে কি খাচ্ছেন?
ওয়াসার পানি ঢাকাবাসিরা না ফুটিয়েও পান করছে। আমি আপনিও খাচ্ছি।
কি অবাক হচ্ছেন?
মিনারেল ওয়াটার নামে বোতলের পানি আসে কোথা থেকে? বা জারের পানি?
মিনারেল ওয়াটার ও জারের পানি সবটাই ওয়াসার পানি। এই পানি মোটেই সিদ্ধ করা পানি নয়।
শুধু বড় একটি ট্যাঙ্কে পানি একদিন রেখে থিতানো হয়। এরপর বোতলে ভরা হয়, কোন ফিল্টারও করা হয় না। দ্রুত থিতানো প্রয়োজন পরলে ট্যাঙ্কে ফিটকারি ব্যাবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফিটকারি লাগে না। কারন পানির কারখানাগুলো ওয়াসার মডস জোনের কাছাকাছি হয় ও ভাল পাইপ দিয়ে সংযোগ নেয়া।
ওয়াসার পানি ১০০% বিশুদ্ধ। কারন ঢাকার পানির স্তর নামতে নামতে এত নীচে গেছে যে সেখানে জীবানু প্রবেশ অসম্ভব।
আধা মাইল পাতালে পাইপ ঢুকিয়ে আনতে হচ্ছে পানি।
দোকানের সরবত লাচ্ছি সবই ওয়াসার পানি, বরফও ১০০% ওয়াসার পানি। লাচ্ছি বা লেবুর সরবতের বরফ সবটাই ওয়াসার পানি। বরফ কলে সরাসরি ওয়াসার পানি, সেখানে থিতানোও হয় না। মাছের বরফ আর সরবতের বরফ কোন তফাত নেই। একই ডাইসে বানানো সব বরফ।
কিন্তু সবাই খাচ্ছে, আমিও ঢাকা গেলে নিউমার্কেটে লাচ্ছি খাই। টিএসসিতে লেবুর সরবত। সবাই খাচ্ছে। ওয়াসার না ফোটানো পানি।
১ টাকায় একগ্লাস জারের পানির নামে সরাসরি ওয়াসার পানিই তো খাচ্ছে।
তবে ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। এটা সত্য।
যাদের গ্যাস সংযোগ আছে তারা করেন।
নামমাত্র মুল্যে আনলিমিটেড গ্যাস সুবিধা আছে বলেই করেন।
মুলত ভুগর্ভস্থ রিজারভয়ার ও ওভারহেড ট্যাঙ্ক অপরিচ্ছন্ন থাকায় পানিকে সিদ্ধ করে খেতে হয়।
যাদের গ্যাস সংযোগ নেই, সিলিন্ডার গ্যাস, তারা ফিল্টার ব্যাবহার করেন, বা ফিটকিরি দিয়ে সোধন করেন।
নইলে বোতলের মিনারেল পানি কিনে পান করেন। মিনারেল পানির নামে ওয়াসার পানিই খাচ্ছেন।
যাদের আছে সারা দিন-রাত পানির হাড়ি চুলায়। হাড়ির তলা ফুটা না হওয়া পর্যন্ত! ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস অপচয় তো হবেই।
৩৩২ কোটি টাকা অপচয়, ক্ষতিটা কার?
৩৩২ কোটি টাকা গ্রাহক আলাদা করে দিচ্ছে না। মিটার বিহীন সংযোগ হওয়াতে অফুরন্ত অবিরাম চুলা জ্বলাতে এটা রাষ্ট্রের ক্ষতি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১১