মুরসিকে মিশরের 'গোলাম আজম' বলা যায়।
কারন মুরসির দল ব্রাদারহুড ও বাংলাদেশের জামাতিরা ছিল একই আদর্শের।
ব্রাদারহুডের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি ।
এর আগে এই দলটি ছিল জঙ্গি সন্ত্রাসি। টুরিষ্ট স্পষ্ট, টুরিষ্ট বাসে হামলা চালানো, শিশুপার্কে, মসজিদে বাজারে, খ্রিষ্টান পাড়ায় বোমা হামলা ছিল এদের রুটিন কাজ।
আরব বসন্ত এনেছিল মুক্তমনা ধর্মনিরোপেক্ষ তরুন বামপন্থিরা ও ছাত্ররা। মোবারকের পতন ঘটিয়েছিল এরাই।
তখন ধর্মান্ধদের মুরুসি ফুরসিদের চাল চুলো কিছুই ছিল না।
কিন্তু নির্বাচনে ব্রাদারহুডদের সমর্থক ধনাড্ড আরব শেখরা (আমিরাত, কুয়েত, কাতার বাহারাইন) ও তুর্কি, লন্ডন, টরন্টো ভিত্তিক জামাতিরাও ফাডরাইজিং করে ব্রাদারহুডদের পক্ষে বিপুল অর্থ দিয়ে ভাসিয়ে ফেলে।
মোবারকের পতন ঘটানো ধর্মনিরোপেক্ষ তরুন বামপন্থিরাদের ও ছাত্রদের তেমন কোন অর্থ ছিলনা। মিশরের দরিদ্র জনগোষ্ঠিদের ভোট কিনে ফেলে বিপুল অর্থে বলিয়ান ফ্যাসিষ্ট ব্রাদারহুড।
মার্কিন তৎকালিন সেক্রেটারি অব স্টেট এর ও সমর্থন ছিল
২৩ মে, ২০১২ এর প্রেসিন্ডেন্ট নির্বাচনে মাত্র ২৫.৫ শতাংশ ভোট পেয়েই জিতে যান মুরসি। অর্থ ও সংগবদ্ধ ফ্যাসিস্ট চক্রের কাছে পরাজিত হয় তারুন্য ।
কিন্তু কয়েকমাস পরেই মুরুসির ফ্যাসিষ্ট স্বৈরশাসক মুখোষ উম্মোচিত হয়ে যায়।
দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভাল।
সেই ছাত্র তরুনরাই ভয়াবহ গণআন্দলনে মুরসির পতন ঘটায় ও সেনাবাহিনী ক্ষমতা গঠন করে।
সোমবার আদালতে একটি শুনানি চলাকালে প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ হৃদরোগে অচেতন হয়ে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫২