যা জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেত্রকোণায় শহরের বারহাট্রা রোড এলাকার হরিজন পল্লীতে (মেথর পল্লি) যায় ঘাতক এক মাদকাসক্ত টোকাই যুবক। এসময় তার হাতে একটি ব্যাগ ছিল। তবে, সেখানে মদ না পেয়ে বাকবিতন্ডার সময় রবিনের ব্যাগ থেকে রক্ত পড়তে দেখেন হরিজন পল্লীর লোকজন। এসময় ব্যাগে কি আছে তা রবিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রবিনের ব্যাগ খুলে শিশুর কাটা মাথা পাওয়া গেলে, তাকে গণপিটুনি দেয়া হয় এবং মারা যায়।
পরে পুলিশ নিহত শিশু সজিবের বাকি দেহ কাটলি এলাকার একটি তিনতলা নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলা থেকে উদ্ধার করে। শিশুর ছিন্ন মস্তক, দেহ ও যুবকের লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"
প্রথম আলো যথারিতি হেডলাইন - শিশুর মাথা নিয়ে পালাতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কাটা মাথা নিয়ে পালাতে নয় ধরা পরতেই চেষ্টা ছিল। এর জন্য ব্যাবহৃত হল এক হিরোইঞ্চি।
এইভাবে কাটামাথা নিয়ে শহরের আশপাশ এলেমেলো ঘুরাফেরা, কাটা মাথার অস্তিত্ব বুঝা যায় এমন রক্তে ভেজা বাজারের ব্যাগ নিয়ে চলাফেরা জনতার সামনে মদ খেতে চাওয়া, সন্দেহ জাগায় সে কি আদৌ খুনটা করেছে, নাকি তাকে গিনিপিগ বানিয়ে ইউজ করা হয়েছে?
খুনের যে অস্ত্র, সে অস্ত্রও পাওয়া যায় নি। অস্ত্রটা লুকোনো সম্ভব হল। মাথাটাও লুকোনো চেষ্টা হলনা।
খুন করতে মানুষের মাথা কাটা এত সহজ কাজ না।
একটা বাচ্চাকে ধরতে হয়েছে। চিৎকার থামানো, জনমানব শূণ্য স্থানে পরিত্যাক্ত বিল্ডিং নিয়ে যাওয়া লোকচক্ষুর অন্তরালে খুন করতে হয়েছে। এই কাজ একা করা অসম্ভব। বাকিরা কোথায়?
সংগবদ্ধ রটনাকারিদের প্রফেশনাল কিলার টিমওয়ার্ক,
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩১