অনেক দিন আগে এক নোয়াখাইল্লা জাহাজের খালাসি, জাহাজে জাহাজে ঘুরতে ঘুরতে
এক সময় সুযোগ পেয়ে লন্ডনে। কাজ-কাম না পেয়ে চাকরি না পেয়ে কিছুদিন লন্ডনের রাস্তায় ঘোড়াঘুরি ---
অবশেষে রাস্তার পাসে তাবু টেনে অস্থায়ী হেকিমি-কবিরাজি ক্লিনিক খুলে বসল।
তাবুর বাইরে ইংরেজিতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে লিখে দিল --- সর্ব রোগের চিকিৎসা, বিফলে মূল্য ফেরত।
'GET TREATMENT FOR £20 - IF NOT CURED GET BACK £100.'
এক ব্রিটিশ বাংগালী আইনজীবী চিন্তা করল এই বাটপার নোয়াখাইল্লারে একটু সায়েস্তা করা দরকার। সাথে ১০০ পাউন্ড ধান্ধা করার এই সুযোগ।
উকিল গিয়ে ডাক্তারকে বলল- আমার জিহ্বায় কোন কিছুর স্বাদ পাইনা, আমি কোন স্বাদ পরখ করতে পারিনা, আমার চিকিৎসা করুন।
কতদিন জাবৎ?
এই ৩-৪ মাস, জিব্বায় লবন -চিনি কিছুই বুঝি না।
ডাক্তার তার ইংরেজ এসিস্ট্যান্টকে হাক দিয়ে বলল--- একে ৪২০ নম্বর ডিব্বা থেকে তিন ফোটা খাইয়ে দাও।
ঔষধ খাওয়ানোর পর উকিল চেচিয়ে উঠল- ইসস স কেরোসিন! ওয়াক থু
ডাক্তার: গুড, আন্নের জিবলা কাম শুরু কইচ্ছে, ভিজিট ২০ পাউন্ড দিয়া হালান।
২০ পাউন্ড হারিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে উকিল আরেক দিন আবার আসল ডাক্তারের কাছে।
উকিল: আমার স্মৃতি কাজ করছেনা, কিছুই মনে থাকে না। আপনি আমার চিকিৎসা করুন।
ডাক্তার আবার তার এসিস্ট্যান্টকে হাক দিয়ে বলল- একে ৪২০ নম্বর ডিব্বা থেকে তিন ফোটা খাইয়ে দাও।
খাওয়ানোর পর উকিল রেগেমেগে একাকার। বলল: ওয়াক থু, এই কেরোসিন তো জিহ্বায় স্বাদ ফেরানোর জন্য খাইয়েছিলেন গতবার!
ডাক্তার: এই তো স্মৃতি ফিরে এসেছে। ভিজিট বিশ পাউন্ড।
৪০টা পাউন্ড হারিয়ে মেজাজ খারাপ উকিলের।
টাকা উদ্ধারের আশায় + প্রতিশোধের নেশায় -- আবার এক দিন উকিল সেই ডাক্তারের তাবুতে। এবার চোখে কালো চশমা, হাতে সাদা ছড়ি।
ডাক্তার: কি সমইস্যা দাদা?
উকিল: আমি চোখে কিছু দেখিনা, অন্ধ হয়ে গেছি আমার চোখ ভালো করে দিন।
ডাক্তার: দুই আংগুল উচু করে - এখানে কয়ডা আঙ্গুল?
উকিল: আমি চোখে কিছুই দেখিনা।
ডাক্তার: দাদা এই চিকিৎসা আমার আওতার বাইরে, বিফলে মূল্য ফেরত এই ন্যান ১০০ পাউন্ড, বলে একটা নোট বাড়িয়ে দিল।
উকিল খেয়াল করে দেখলো -- সেটা ৫ পাউন্ডের নোট।
উকিল চেচিয়ে বলল: এটা কি দিলেন? এটা তো পাঁচ পাউন্ডের নোট!
ডাক্তার নোটখানা ফিরিয়ে নিয়ে বলল: দাদা আন্নের চোখ ভালা হইয়া গেছে -- ভিজিট বিশ পাউন্ড দিয়া হালান।
(সংগ্রহিত ও সম্পাদিত ০৮-২৫-২০১৯)