জীবানু বিবর্তনের কারনে নতুন জাতের কিছু কিছু ভাইরাস মানব দেহে সংক্রামিত হয়।
ইতিহাসে বার বারই পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাইরাস মহামারি হানা দিয়েছে।
কিন্তু মানুষ তো বসে নেই।
প্লেগ, গুটি বসন্ত পোলিও মত কঠিন রোগ পৃথিবী থেকে নির্মুল করে ফেলেছে।
বার্ডফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, সার্ছ, মার্স, নিপা, ইবলা নির্মুল না হলেও নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়েছে।
নতুন জাতের এই করোনা ভাইরাস থেকে স্যাম্পল নিয়ে টিকা তৈরি করতে একটু বা অনেকটা সময় লেগে যাবে। তত দিনে
হয়তো অনেকেই মারা যাবে।
কিন্তু ভাইরাস ইতিহাস দেখলে এসব বর্তমানে বেশি একটা মারতে পারে না, রাষ্ট্রয় সতর্কতার কারনে। আর কিছুদিনের মধ্যে মানব দেহ নিজেই প্রকৃতিগত ভাবে নিজেই অনেকটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে ফেলে, দিন দিন আক্রান্তের হার কমে আসে। ততদিনে টিকাও তৈরি হয়ে যায়।
ভয় আতঙ্কের কিছু নেই। সচেতনতা দরকার। চীন খুব দক্ষতার সাথে আক্রান্ত শহরগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আর চীনের বাইরে কেউ মারা যায় নি।
তবে গুড নিউজ এই ভাইরাস এয়ারবোর্ন না। খুব ক্লোজ কন্ট্রাক্ট না হলে একজনের রোগ অপরকে ছড়াবে না।
হাচি-কাশির এরোসল বাতাস থেকে একটু দূরে থাকলেই হয়। আর জীবানু মানবদেহ বাদে শুধু বাতাসে বেশিক্ষন বেচে থাকতে পারে না। আর মানুষের গায়ে বেশীরভাগ ভাইরাস ৭ দিনে মানুষকে মারতে না পারলে নিজেরাই মরে যায়। মানে আক্রান্ত মানুষটিতে সেলফ রেজিষ্ট্যান্স তৈরি হয়ে যায়। যেহেতু নতুন ভাইরাস, আর যতেষ্ঠ স্টাডি হয়নি। এজন্য বেশী সাবধানতা দরকার।
মার্কিন CDC মহামারি বিশেষজ্ঞরা বলছেন আক্রান্ত রোগী থেকে ৬ ফিট দূরে পর্যন্ত নিরাপদ।
চীনের সেই শহরের বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনা ঠিক হবে না। ১০ দিন গৃহবন্দি/শহরবন্দি থাকতে হবে।
১০ দিনে অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে এসে যাবে বলে আমার ধারনা
অনেকে পোষ্ট দিচ্ছে সাড়ে ছয় কোটি মারা যাবে! এতই সহজ? আমি কোন ডাক্তার না মাইক্রোবায়লজিষ্টও না। এরপরও আমি বলি আর ১০০ জনও মারা যাবে না। খুব ভাগ্য খারাপ হলে ৩০০। লিখে রাখেন।
এজাবৎ আক্রান্ত দেড় হাজার। মৃত ৪১, গতকাল আরেকজন মারা যাওয়াতে ৪২ জন, চীনের বাহিরে কেউ মরে নি।
এত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দরকার সচেতনতা, সতর্কতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩