করোনা নিয়ে চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, ম্যাকাও, তাইওয়ান সামলে উঠলেও ইয়োরোপ ও আমেরিকা হিমসিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ অপর্যাপ্ত স্বাস্থ অবকাঠামোনিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘণবসতি দেশ।
টেষ্টিং কিট ও পিইপি ব্যাপক সংকট। মুলত সারা বিশ্বেই সংকট।
অযথা করোনা টেষ্ট করতে উতলা হওয়ার কিছু নেই।
করোনা টেষ্টিং কিটের সংকট সারা বিশ্বেই।
টেষ্ট করতে অযথা ছুটোছুটি করে রোগটি আরো বেশী ছড়ানোর কোন মানে হয় না।
সাধারন জ্বর-কাসি হলে করোনা হয়েছে ধরে নিয়েই বাসায়ই থাকতে হবে, পৃথক রুম না থাকলে ৬ ফুট শারিরিক ডিষ্ট্যান্স মেনে সাবধানে চলতে হবে, ফোনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাসায়ই থাকতে হবে। ৮০% ক্ষেত্রে স্বাসকষ্ট হয় না, এরপরও স্বাসকষ্ট হলে, ফোন করে হাসপাতালে সিট কনফার্ম না হলে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না।
করোনা হলে বা সাধারন জ্বর-কাসি হলে করোনা হয়েছে ধরে নিয়েই বাসায়ই থাকুন ৭ দিন কোনমতে টিকে গেলে বিপদমুক্ত। ১৪ দিনে সম্পুর্ন কিয়োর। উন্নত বিশ্বে টেষ্টিং বাংলাদেশ থেকে বেশী হচ্ছে। তবে সার বিশ্ব এই নিয়মেই চলছে। বাসায় থেকে ট্রিটমেন্ট।
আপনার করোনা হোক বা না হোক, - স্টে হোম। স্টে হোম ফরটিন ডেইজ।
আড়াই কোটি বছর আগে থেকে মানুষ্য আদী প্রজাতি থেক বর্তমান হোমোসেপিয়েন্স পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমনের মুখে মানুষ টিকে আছে।
মহামারি আসে একের পর এক ... প্রথমে কিছু মরেছে, পরে মানবদেহ নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে নিয়েছে। এভাবেই লাখ লাখ বছর লড়াই করে টিকে গেছে মানবকুল।
কিছু ভাইরাস মানবদেহের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা বাইপাস করতে বিবর্তনের পর বিবর্তনে দু একটি ভাইরাস জেনেটিক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। তখন মানবদেহ নিজস্ব প্রতিরোধ বুঝে উঠতে পারে না। সংক্রমন একে একে, এরপর শুরুহয় মহামারি।
একসময় মানবকুল যান্ত্রিক সভ্যতায় আসলে বিজ্ঞানীরা কয়েক হাজার ক্ষতিকর ভাইরাসের পরিচয় বের করতে সক্ষম হয়েছে। আবার ৪০ ট্রিলিয়ন বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল আমাদের পাকস্থলি পরিপাকনালী, রক্তসংবহন চক্রে। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও অনেক।
মানবকুল আকাশের দিকে চেয়ে বসে থাকেনি। যেসব ক্ষতিকর ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারেনি, সে সব ভাইরাসের জন্য তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন।
ব্যাকটেরিয়ার জন্য বিভিন্ন ঔসধ ও এন্টিবায়োটিক। করোনা ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়েছে। ভ্যাকসিন তৈরির সুযোগ দেয় নি।
কয়েক ধরনের প্রোটোটাইপ ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। হলেই তো হবে না FDA অনুমোদন পেতে ক্লিনিক্যাল টায়াল এরপর দির্ঘ ফিল্ড ট্রায়াল রেজাল্ট জমা দিলে এরপর FDA সন্তোষজনক মনে করলে পাস করবে। FDA পাস দিলে WHO বিনা প্রশ্নে অনুমোদন দিয়ে দিবে।
এই রোগ প্রতিষেধক টিকা হাতে না আসলেও এই জীবানুর আচরনটা মোটামুটি বুঝা গেছে।
এই করনা ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ালেও। মানুষের দেহ বাদে প্রকৃতিতে বেশিক্ষন বাচে না, তাই ১৪ দিন ঘরবন্ধি করা হলে জীবানু আর ছড়াতে না পেরে বিলুপ্ত হবে হংকং তাইওয়ানের এর মত।
আপনার করোনা হোক বা না হোক, - স্টে হোম। স্টে হোম ফরটিন ডেইজ।
মানবকুল সভ্য হওয়ার আগে থেকেই মানবদেহ নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সফল হয়েছে।
যান্ত্রিক সভ্যতা আসার পরও বিভিন্ন কঠিন জীবানুর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন যুদ্ধে সফল হয়েছে মানুষ
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধের যুদ্ধও সফল হবে। ইনশাআল্লা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫১