সবগুলো মোল্লা ধর্মব্যবসায়ীর অবস্থা এমনই। হঠাৎ বেশী টাকাপয়শা হয়ে গেলে যা হয়।
এরা মানুষের আবেগ নিয়ে ফুটবল খেলে আর অফুরন্ত টাকা নিয়ে খেলে মানবিক খেলা।
এদের সমর্থকদের এখন বড় বিপদ।
এরা যাদেরকে আসমানে উঠায়, কিছুদিন পর সবগুলোই নারীঘটিত কারনে ধরা খেয়ে ভুপাতিত হয়।
এই কদিন সামাজিক মাধ্যমে বিপুলসংখক উচ্চ শিক্ষিত, সুশীল লোকজনের নারী বিদ্বেষ দেখে দেখে যত না অবাক হচ্ছি, তার চেয়ে বেশি অবাক হচ্ছি একজন কথিত স্কলার জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ এবং স্বঘোষিত তালেবানের প্রতি উনাদের অন্ধ সমর্থন দেখে। জঙ্গিবাদ এবং নারী বিদ্বেষ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ এবং এদের সমর্থনকারীদের একটি বিশাল অংশ অশিক্ষিত নয়, কুশিক্ষিত। উনাদের এই আচরণের মাধ্যমে কথাগুলো আরেকবার প্রমাণিত হল।
আফসোস, ফেসবুকের মাঠে দিনরাত চরে বেড়ানো লাখ লাখ ভুয়া আইডির মায়াকান্নায় আমার অনেক ভাই বেরাদারের ল্যাঞ্জা ইতিমধ্যে বের হয়ে গেছে। এখন নতুন কন্সপেরিসি খোজা শুরু হয়েছে।
স্কলার কাকে বলে?
মাত্র ৩১ বছর বয়স, কৃকেট খেলতো, লেখাপড়া মাদ্রাসা নয় সাধারন স্কুল কলেজে। তার কোন ইসলামি ওস্তাদও নেই।
করনা কালিন সময়ে অন্যান্নদের মত অনলাইনে আরবী শিক্ষা দিত।
আর ইউটিউবে জেহাদি বকৃতা দিতো। তোহা বা তোয়াহা নামটা একটু স্টাইলিস্ট করে ত্বহা। এইটুকুই তার চালান, সে বিশিষ্ট বা বিশাল আলেম বা স্কলার হয় কি করে?
বক্তব্যে অকথ্য নারী বিদ্বেষ আর জঙ্গিবাদ তালেবানবাদ প্রচার করলেই এই চ্ছেচ্চরকে স্কলার বলতে হবে?
মামুনুলের মত ৫ম সারির হেফাজত নেতাকেও এদেশের একদল খচ্চর নবীর পর্যায়ে নিয়ে গেছিল।
শুধুমাত্র বংগবন্ধুর বিরুদ্ধে সরাসরি বাজে কথা বলার পরও দীর্ঘ সময় টিকে আছে, ব্যাস, এটাই সবচেয়ে বড় চালান। এই মামুনুলই আমাদের প্রধান নেতা।মামুনুলের সামান্য অবমাননাও আমরা সহ্য করবো না।
এই বয়সে একাধিক বিয়ে, যেখানে মানুষ এক বিয়েই করতে পারছে না চাকুরির অভাবে, আর সে প্রতিসপ্তাহে ঘরে বউবাচ্চা রেখে ঢাকা-রংপুর করে, বলতো ঢাকার কোন এক মসজিদে খোদবা দিতে যায়, আমরা জানি খোৎবা দেয় ইমাম সাহেবরা।
বাস্তবতা হচ্ছে লিভিংটুগেদার করতে যায়। পরে। পরে একটা কাবিন করেছে বাধ্য হয়ে।
এত বিয়ে লিভিং টু, লেখাপড়া, স্কলারগিরি আলেমগিরি শিখার টাইম পাইলো কোথায়? আরো বউ আছে কি না তদন্ত হলেই যানা যাবে।
এবারও উনি সেই দ্বিতীয় বা ৩য় স্ত্রীর কাছেই যাচ্ছিলেন। পরে মাঝপথে মতপরিবর্তন করেন। বা এসব বলে পুর্বপরিকল্পিত ভাবে গা ঢাকা দেন।
বা ৪ জনই হয়তো স্থায়ীভাবে গুম হতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত হয়ে আফগান সীমান্তে জেহাদে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু করোনাকালিন সীমান্তে প্রহরা বাড়ায় কাছাকাছি কোথাও থেকে অপেক্ষা করছিল নিরাপদ সময়ের জন্য।
ঢাকার এই দ্বিতীয় বা ৩য় স্ত্রী জামাতি, সাবিকুন নাহার সারা। মিরপুর আল ইদফান ইসলামী গার্লস মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক।জামাতি মহিলার আগে ৩ বিযে হয়েছিল, মামুনুলের মত লিভিংটুগেদারই চলছিল। সম্প্রতি মামুনুল ধরা খাওয়ার পর সে সাবধান হয় ও কাবিন সম্পন্ন করে সম্প্রতি, মাত্র ২ মাস আগে। তার কথিত স্বামীর মুক্তির সে সবচেয়ে বেশী সোচ্চার ছিল, মুক্তির দাবী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দফতর পর্যন্ত গেছিল। কিন্তু বেরসিক আদালত তাকে প্রথম স্ত্রীর কাছেই ছেড়ে দিল।
গুমের ব্যাপারে সবচে সোচ্চার এই মহিলা বর্তমানে চুপ। মনে হয় উনিও আত্নগোপনে। ঢাকায় অবস্থানের পরও সাংবাদিকরা তার কাছে যান না। ইটিপি কমে যাওয়ার ভয়ে?
আপডেট।
গুমের ঢালাও অভিযোগগুলোর বেশীরভাগই গুম হয় নি। ফিরে এসেছিল।
ফিরে আসলে সেটা আবার গুম হয় কিভাবে?
কিছুদিন পরই ফেরত এসেছেন ৫৭ জন, আর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল ৯৭ জন। আর কিছু নিখোজ অনেকেই পাওনাদারের ভয়ে গাঢাকা দিয়েছিল। সেটা পত্রিকায়ও এসেছিল।
২০১৬ বছরটা ছিল বিদেশী হত্যা ব্লগার হত্যা ও হলিআর্টিজান গণহত্যার বছর।
২০১২ থকে ২০১৬ পর্যন্ত নব্য জেএমবি, আনসারুন্না সিরিয়াতে আইএস যেহাদে যোগ দিতে গিয়েছিল ৩০০০ এর মত বাংলাদেশী যুবক, অনেক মহিলাও নিখোজ ছিল, দেশেই জঙ্গিপনা বা তুর্কি ভিসা নিয়ে বা ইস্তাম্বুলে ট্রাঞ্জিট ভিসা নিয়ে খুব কাছেই সিরিয়া সীমান্ত।
এরা সিরিয়ার উদ্দেস্যে বিমানে উঠার পর বিতর্ক এড়ানোর জন্য কিছু পরিবার থেকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে গুম করা হয়েছে বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল।
২০১৬ জুলাই হলিআর্টিজান বিদেশী হত্যার পর সরকার সেই সময়ে কঠিন ভাবে জঙ্গি ক্রাকডাউন করে ব্যাবস্থা নিয়ে জঙ্গি হামলা শুন্যের কোঠায় নিয়ে আসে। তখন অনেক পিতামাতা পলাতক বা গুম থেকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছিল।
এক শিবির নেতা পালিয়েছিল, গুম বলা হচ্ছিল। পরে গোপনে ফিরে আসলেও এ নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করেনি।
শাকা চৌ পুত্র হুকাও ৩ মাস গা ঢাকা দিয়ে গুমের গুজব ছড়িয়ে ছিল। সে ৩ মাস পর ফিরে আসে।
ফরহাদ মাজহার তার নারীসংগির সাথে কয়েক দিন নিরাপদ জাপন করতে গফুর নামে বাসে টিকেট কেটে বাসে উঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন আমি একটি কালো মাইক্রবাসে, 'আমাকে এইমাত্র মাইক্রোবাসে চোখ বেধে নিয়ে যাচ্ছে' আমি গুম হয়ে গেছি!
নারী নিয়ে রাতযাপন হল, রাষ্ট্রকে, শেখ হাসিনাকেও একহাত দেখে নেয়া হলো।
ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে জনৈক পিনাকীভট্ট ফ্রান্সগামি বিমানে উঠে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো 'আমি এইমাত্র আমার অফিস থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল, আমি গুম হইলাম'। কিন্তু এরপর ৬ মাস পর আবার নির্লজ্জের মত ফ্রান্সে উদয়।
একই ঘটনা বহুল আলোচিত ত্বহা গুম। গুম না বলে ঘুম বলাই ভাল। ৩য় বউয়ের খপ্পর থেকে বাচতে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে রংপুরে। গাইবান্ধা থেকে ঢাকার স্ত্রীকে বললেন আমি গাবতলি এসে গেছি! এক বন্ধু নিজের বাসায় ৪ জনকে লুকিয়ে রেখে গুমের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছিল।
পুলিশের হাতে ত্বহা ধরা পরার পর তিনি বলেন মা তাদের ৪ জনকে আশ্রয় দিয়েছে, আমাকে জানায় নি। উলংগ মিথ্যাচারের জন্য সে ফোন কম্পানির চাকুরিও হারিয়েছিল।
এদিকে ১সপ্তাহ হিউমেন রাইট ওয়াচ, এমনিষ্টি সরকারকে মুন্ডুপাত, আর দেশের মানুষের ঘুম নষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৫