
পৃথিবীর কোন ব্যবসায়ীই ধোয়া তুলসী পাতা না।
চালাকি করেই ব্যবসা করতে হয়। তবে দেখতে হবে ওরা দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করছে কিনা। আয়কর সঠিকভাবে দেয় কিনা।
একটা সামান্য বাস কন্ডাকটর থেকে একটি বাসের মালিক হওয়া এরপর শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া এত সহজ নয়।
২০০৫ এবং ২০১৮ আন্তর্জাতিক মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে কোথাও অবৈধ অর্থদিয়ে সম্পত্তি ক্রয় করা যায় না।
ডেইলি স্টার বলছে
এস আলম সিঙ্গাপুরে অন্তত দুইটি বা একটি হোটেল, একটি বাণিজ্যিক স্পেস ও আরো কিছু সম্পদ কিনে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলেছে। এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভিনও এর সঙ্গে যুক্ত।
ডেইলি স্টার এত সহজে বলে ফেললো।
২০০৫ এবং ২০১৮ আন্তর্জাতিক মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে কোথাও অবৈধ অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে অবৈধভাবে সম্পত্তি ক্রয় করা যায় না। কিছু কিছু দেশ মোটা বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেয়, সেখানেও অর্থে বৈধ উপার্জনের প্রমান দিতে হয়,
যেই লোক ৪০ বছর আগে কম্পানী প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ৬২টি টি কম্পানীর মাধ্যমে ২ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান করছে, পরক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের রুটিরুজি হচ্ছে সাপ্লাই সাবকন্ট্রাকটারি করে। যে গ্রুপের নেট মুনাফা বছরে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার। তাকে পৃথিবীর যে কোন দেশ মাথায় তুলে রাখবে। টাকা পাচার করা লাগে নাকি? সামান্য হোটেল, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কিনতে পৃথিবীর যে কোন ব্যাঙ্ক বিনা দ্বিধায় ঋন দিবে। আর রিয়েলস্টেট সেক্টরে খুব সহজেই লোন পাওয়া যায়। যেহেতু স্থাপনার ভ্যালু কখনো কমেনা আর ব্যাঙ্ক ঝুকিমুক্ত থাকে।
আমার পরিচিত গন্ডির ভেতরে বাংলাদেশে কপর্দকশুন্য অনেকে সুধু ট্যাক্সি চালিয়ে একাধিক বাড়ী গ্যাস স্টেষনের মালিক হয়েছে অনেকেই। এরা কেউ নিজের টাকায় কিনে নি। ব্যাঙ্ক ঋনে কিনেছে। ব্যাঙ্ক যদি নিশ্চিত হয় সে মাসে মাসে কিস্তি দিতে সক্ষম, ব্যাঙ্ক তো দিবেই, ব্যাঙ্কের মুল আয় তো এভাবেই।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক গ্লোবাল ফাইনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি' একটি জেনুইন পেশাদার সংস্থা।
সংস্থাটি রিসার্চ করে কর্পোরেট ট্রান্সপারেন্সি, মানি লন্ডারিং, কর ফাকি, ইত্যাদি নিয়ে গবেষনা করে। বিশ্বের কেনাকাটা এলসি, ওভার আন্ডার ইনভয়েসিং ইত্যাদি সংগ্রহ করে পর্যালচনা করে কম্পিউটার এনালাইসিস করে,। এদের সহযোগিতায় পানাম ও প্যারাডাইস পেপারে ইমরান খানের নামও উঠে এসেছে সেক্রেটারি কাম বান্ধবীর নামে টাকা রেখে। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুল রহমান আল সৌদ, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের এক ছেলে এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। নেওয়াজের ভাই শাহাবাজও আছে। আরো কিছু পাকিস্তানি রাজনীতিবিদের নামও। নামে বেনামে আছে এরদোয়ান পুটিনের নামও। খুব সৎ বলে পরিচিত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর নামও ছিল।
তবে এসব সংস্থা দেশের কাছে ব্যাঙ্কের কাছে তথ্য চায় না, সফটওয়ার বা অন্য এজেন্সির সহায়তা নেয়। এদের রিপোর্ট বেশিরভাগই সঠিক।
এরা এর আগে শতাধিক বাংলাদেশী টাকা পাচারকারিদের প্রমান সহ নামধাম ঠিকানা সহ প্রকাশ করেছিল। পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে পাচারকারিদের নাম পাওয়া গেছে বাংলাদেশের ৯০ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠানের।
এর মধ্যে পানামা পেপারসে নাম আসে ৬১ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠানের। প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসে ২৯ ব্যক্তির।
প্যান্ডোরা পেপারসেও প্রায় অনুরুপ সংখক।
রিসেন্ট কেউ অনিয়ম করলে তার নাম প্রকাশিত হবেই।
২০১৪ সালের পর বিভিন্ন মানি লন্ডারিং আইন সন্ত্রস দমন আইন কার্জকর ভাবে চালু হওয়ার পর থেকে সে কোনো দেশের নাগরিকদের কত অর্থ আছে, তার পরিমাণ প্রকাশ করছে। মানি লন্ডারিং আইন স্বাক্ষরকারি দেশগুলো। ব্যাঙ্কগুলোকে মামলাও মোববেলা করতে হচ্ছে৷ সুইস ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন এখনো গ্রাহকের গোপনীয়তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও বর্তমানে অপরাধে জড়িত গ্রাহকের তথ্য দিচ্ছে৷ ২০১৪ সালে কমন রিপোর্টিং ষ্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) গড়ে তোলে ১০০টি দেশ৷ তার আওতায় সদস্য দেশগুলো তার নাগরিকদের সব তথ্য সুইস ব্যাংক থেকে পায়।
বাংলাদেশও একটু আলাদাভাবে ২০১৪ সালে একটি উদ্যোগ নেয়৷ ওই বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সুইজারল্যান্ডের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে সমঝোতা চুক্তি করার জন্য চিঠি দেয়।পরবর্তিতে বিএফআইইউ এডমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পায়৷ এডমন্ট গ্রুপ হলো সব দেশের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোর একটি জোট৷ যেই ফোরাম মানি লন্ডারিং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ইনটেলিজেন্স নিয়ে কাজ করে৷ বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট ভাবে কারো একাউন্ট তথ্য চাইলে যে কোন ব্যাঙ্ক দিতে বাধ্য।
কয়েক বছর আগে হংকং এর একটি ব্যাঙ্ক থেকে গ্রেফতারকৃত এক ব্যাক্তির একাউন্ট ডিটেইল স্টেটমেন্ট মামলার এভিডেন্স হিসেবে এনে একজন বাংলাদেশী এর ব্যাবসায়ীকে দন্ড দেয়া সম্ভব হয়েছিল।
এর আগে সিঙ্গাপুর থেকে চোরাই টাকা ফেরত আনার উদাহরণও আছে৷
এস আলম বা রিসেন্ট কেউ অনিয়ম করলে তার নাম প্রকাশিত হবেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



