somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসংগ এস আলম, টাকা পাচার

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





পৃথিবীর কোন ব্যবসায়ীই ধোয়া তুলসী পাতা না।
চালাকি করেই ব্যবসা করতে হয়। তবে দেখতে হবে ওরা দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করছে কিনা। আয়কর সঠিকভাবে দেয় কিনা।

একটা সামান্য বাস কন্ডাকটর থেকে একটি বাসের মালিক হওয়া এরপর শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়া এত সহজ নয়।
২০০৫ এবং ২০১৮ আন্তর্জাতিক মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে কোথাও অবৈধ অর্থদিয়ে সম্পত্তি ক্রয় করা যায় না।


ডেইলি স্টার বলছে
এস আলম সিঙ্গাপুরে অন্তত দুইটি বা একটি হোটেল, একটি বাণিজ্যিক স্পেস ও আরো কিছু সম্পদ কিনে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলেছে। এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভিনও এর সঙ্গে যুক্ত।

ডেইলি স্টার এত সহজে বলে ফেললো।
২০০৫ এবং ২০১৮ আন্তর্জাতিক মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে কোথাও অবৈধ অপ্রদর্শিত অর্থ দিয়ে অবৈধভাবে সম্পত্তি ক্রয় করা যায় না। কিছু কিছু দেশ মোটা বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেয়, সেখানেও অর্থে বৈধ উপার্জনের প্রমান দিতে হয়,

যেই লোক ৪০ বছর আগে কম্পানী প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ৬২টি টি কম্পানীর মাধ্যমে ২ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান করছে, পরক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের রুটিরুজি হচ্ছে সাপ্লাই সাবকন্ট্রাকটারি করে। যে গ্রুপের নেট মুনাফা বছরে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার। তাকে পৃথিবীর যে কোন দেশ মাথায় তুলে রাখবে। টাকা পাচার করা লাগে নাকি? সামান্য হোটেল, একটি বাণিজ্যিক স্পেস কিনতে পৃথিবীর যে কোন ব্যাঙ্ক বিনা দ্বিধায় ঋন দিবে। আর রিয়েলস্টেট সেক্টরে খুব সহজেই লোন পাওয়া যায়। যেহেতু স্থাপনার ভ্যালু কখনো কমেনা আর ব্যাঙ্ক ঝুকিমুক্ত থাকে।
আমার পরিচিত গন্ডির ভেতরে বাংলাদেশে কপর্দকশুন্য অনেকে সুধু ট্যাক্সি চালিয়ে একাধিক বাড়ী গ্যাস স্টেষনের মালিক হয়েছে অনেকেই। এরা কেউ নিজের টাকায় কিনে নি। ব্যাঙ্ক ঋনে কিনেছে। ব্যাঙ্ক যদি নিশ্চিত হয় সে মাসে মাসে কিস্তি দিতে সক্ষম, ব্যাঙ্ক তো দিবেই, ব্যাঙ্কের মুল আয় তো এভাবেই।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক গ্লোবাল ফাইনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি' একটি জেনুইন পেশাদার সংস্থা।
সংস্থাটি রিসার্চ করে কর্পোরেট ট্রান্সপারেন্সি, মানি লন্ডারিং, কর ফাকি, ইত্যাদি নিয়ে গবেষনা করে। বিশ্বের কেনাকাটা এলসি, ওভার আন্ডার ইনভয়েসিং ইত্যাদি সংগ্রহ করে পর্যালচনা করে কম্পিউটার এনালাইসিস করে,। এদের সহযোগিতায় পানাম ও প্যারাডাইস পেপারে ইমরান খানের নামও উঠে এসেছে সেক্রেটারি কাম বান্ধবীর নামে টাকা রেখে। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুল রহমান আল সৌদ, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের এক ছেলে এবং পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। নেওয়াজের ভাই শাহাবাজও আছে। আরো কিছু পাকিস্তানি রাজনীতিবিদের নামও। নামে বেনামে আছে এরদোয়ান পুটিনের নামও। খুব সৎ বলে পরিচিত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর নামও ছিল।
তবে এসব সংস্থা দেশের কাছে ব্যাঙ্কের কাছে তথ্য চায় না, সফটওয়ার বা অন্য এজেন্সির সহায়তা নেয়। এদের রিপোর্ট বেশিরভাগই সঠিক।

এরা এর আগে শতাধিক বাংলাদেশী টাকা পাচারকারিদের প্রমান সহ নামধাম ঠিকানা সহ প্রকাশ করেছিল। পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে পাচারকারিদের নাম পাওয়া গেছে বাংলাদেশের ৯০ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠানের।
এর মধ্যে পানামা পেপারসে নাম আসে ৬১ ব্যক্তি ও ৭ প্রতিষ্ঠানের। প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসে ২৯ ব্যক্তির।
প্যান্ডোরা পেপারসেও প্রায় অনুরুপ সংখক।
রিসেন্ট কেউ অনিয়ম করলে তার নাম প্রকাশিত হবেই।

২০১৪ সালের পর বিভিন্ন মানি লন্ডারিং আইন সন্ত্রস দমন আইন কার্জকর ভাবে চালু হওয়ার পর থেকে সে কোনো দেশের নাগরিকদের কত অর্থ আছে, তার পরিমাণ প্রকাশ করছে। মানি লন্ডারিং আইন স্বাক্ষরকারি দেশগুলো। ব্যাঙ্কগুলোকে মামলাও মোববেলা করতে হচ্ছে৷ সুইস ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন এখনো গ্রাহকের গোপনীয়তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও বর্তমানে অপরাধে জড়িত গ্রাহকের তথ্য দিচ্ছে৷ ২০১৪ সালে কমন রিপোর্টিং ষ্ট্যান্ডার্ড (সিআরএস) গড়ে তোলে ১০০টি দেশ৷ তার আওতায় সদস্য দেশগুলো তার নাগরিকদের সব তথ্য সুইস ব্যাংক থেকে পায়।
বাংলাদেশও একটু আলাদাভাবে ২০১৪ সালে একটি উদ্যোগ নেয়৷ ওই বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সুইজারল্যান্ডের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে সমঝোতা চুক্তি করার জন্য চিঠি দেয়।পরবর্তিতে বিএফআইইউ এডমন্ট গ্রুপের সদস্যপদ পায়৷ এডমন্ট গ্রুপ হলো সব দেশের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোর একটি জোট৷ যেই ফোরাম মানি লন্ডারিং অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ইনটেলিজেন্স নিয়ে কাজ করে৷ বাংলাদেশ সুনির্দিষ্ট ভাবে কারো একাউন্ট তথ্য চাইলে যে কোন ব্যাঙ্ক দিতে বাধ্য।
কয়েক বছর আগে হংকং এর একটি ব্যাঙ্ক থেকে গ্রেফতারকৃত এক ব্যাক্তির একাউন্ট ডিটেইল স্টেটমেন্ট মামলার এভিডেন্স হিসেবে এনে একজন বাংলাদেশী এর ব্যাবসায়ীকে দন্ড দেয়া সম্ভব হয়েছিল।
এর আগে সিঙ্গাপুর থেকে চোরাই টাকা ফেরত আনার উদাহরণও আছে৷
এস আলম বা রিসেন্ট কেউ অনিয়ম করলে তার নাম প্রকাশিত হবেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪২
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আদর্শের রাজনীতি না কোটি টাকার হাতছানি...

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫



১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল মাদ্রাসার দেয়াল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯



ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তেল আর জল কখনো এক হয় না......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



জুলাই ছিলো সাধারণ মানুষের আন্দোলন, কোন লিডার আমারে ডাইকা ২৪'এর আন্দোলনে নেয় নাই। কোন নেতার ডাকে আমি রাস্তায় যাই নাই। অথচ আন্দোলনের পর শুনি আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড নাকি মাহফুজ। জুলাই বিপ্লবের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্ল্যাং রেভলিউশন: ১৮+ সতর্কবার্তা ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩০


সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকে একটা ভাইরাল ভিডিও চোখে পড়লো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সদস্য সালাউদ্দিন আম্মার গণজাগরণ মঞ্চ ৩.০ তে উপস্থিত হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন: দেখতে পাইলে বাকশাল, শা*উয়া মা*উয়া ছিড়া ফেল/... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ হে বলবান

লিখেছেন ইসিয়াক, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

কে আছিস বলবান!
হ্ আগুয়ান।
দে সাড়া দে ত্বরা।
ধরতে হবে হাল,বাইতে হবে তরী, অবস্থা বেসামাল।

জ্বলছে দেখ প্রাণের স্বদেশ
বিপর্যস্ত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
মানবিকতা, মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির বাতিঘর।
সর্বত্র আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×