গরু কেনার জন্য যখন ৩৫০০০ টাকা তুলে দিলাম হুসেইন ভাইয়ের হাতে তখন তিনি জানতে চাইলেন, যাকাতের টাকা নেই তো?
না নেই, কিন্তু থাকলেও বা কী? বললাম আমি।
আসলে আমাদের মাদ্রাসাগুলো অনেক দূরে দূরে ছড়ানো। ঈদের পরের দিন কুরবানি হবে। মাদ্রাসাগুলো থেকে উস্তাদেরা এসে নিয়ে যাবেন। শিক্ষকেরা ভালো জানেন কোন কোন ছাত্রগুলো আসলেই গরীব। সেই ছাত্রদের বাসায় তারা গোশত দিয়ে দেবেন। জামেয়া রাহেমিয়াতে সেদিন কিছু গোশত রান্না হয়। দূর থেকে আসা শিক্ষকরা খান। এই শিক্ষকদের অধিকাংশই অনেক দরিদ্র, তাদের নিসাব দেওয়ার মত সম্পদ নেই। তবে কয়েকজনের আছে। যেহেতু তাদের জন্য যাকাতের গোশত খাওয়া বৈধ হবে না তাই যাকাতের টাকা থাকলে কুরবানির গোশত শিক্ষদের খাওয়ানো হবে না। আমি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললাম। এই সৎ মানুষেরা দুনিয়াতে কষ্ট পান বেশি।
হুসেইন ভাই লালমনি শহরে একটা ছোট্ট জমি কিনবেন বলে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবেন। এর কাছে ওর কাছে হাত পাতবেন--শহরে যেন একটা মাদ্রাসা হয়। একটা শহর, বাচ্চাদের কুরান পড়তে শেখার একটা জায়গা নেই, কীভাবে সম্ভব? এত পাগলের মত টাকা খুঁজছেন... খুব বেশি কিছু করতে পারিনি।
আবার দীর্ঘনিঃশ্বাস বেরিয়ে এল বুক থেকে। এই মানুষেরা কত সহজে জান্নাতে চলে যাবেন আমাদের ডিঙিয়ে।আর আমরা আমাদের লোক দেখান ধর্ম পালন নিয়ে অসহায় বসে থাকব হাশরের মাঠে।
[https://www.facebook.com/ProjectU1 ]