somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: সত্যিকার ভূতের সাথে এক রাত!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




১) অন্যান্য সচেতন মানুষের মতো আমিও ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করি নি। কিন্তু আমার সমস্ত বিশ্বাস ও চেতনাকে বদলে দিলো সেদিন রাতের ঘটনা। কখনও ভাবি নি আমি ভূত দেখতে পাবো, অথবা ভূতদের আবার পার্টি থাকতে পারে। কিন্তু ওই দিন, অর্থাৎ ওই রাতে, ঘটনাক্রমে না থাকলে হয়তো আমি আজও বলতাম যে, ভূত বলে কিছু নেই। আমি ঠিক বুঝতে পারি নি এটি যে ভূতের পার্টিতে পরিণত হবে। ঘটনাটি খুলে না বললে বিশ্বাস করাতে পারবো না যে, ভূত এখনও আছে।

খুবই স্বাভাবিক একটি দিন। বৃহস্পতিবার। সামনে শুক্র ও শনিবার। দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটির আমেজ নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে অফিসের একজিট বাটনে বামহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রেস করলাম। যন্ত্রচালিত ‘ধন্যবাদ’ শুনতে শুনতে অফিসের মূল ফটক থেকে পা বের করার মুহূর্তেই মুঠোফোন বেজে ওঠলো। আরে, এ যে সুলতান! নিশ্চয়ই আলতাফ, অতীন, প্রিয়া আর হাসনাহেনাকে নিয়ে আড্ডার আয়োজন হচ্ছে। কয়েক দিন পর পর তারা একত্রিত হয়। সাভার, উত্তরা আর মোহাম্মদপুর থেকে মহাখালিতে একত্রিত হতে আর কতক্ষণ লাগে! উফ্ এমন একটি সময়ের অপেক্ষা করছিলাম আজ। ভাবতে ভাবতে রিঙগিঙ শেষ হলে লাইন কেটে গেলো। স্ক্রিনে লেখা ওঠলো ‘মিস্ড কল’।
আহা, বেচারা হতাশ হবে। যাক, গাড়িতে ওঠে আমিই ফোন দেবো।

সুলতান শিমুল আহমেদ। এককালের জমিদার সুলতান রেসালাত আহমেদের প্রপৌত্র। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ তাদের বাড়ি। আমরা কখনও তাকে জমিদারের বংশধর বলে আলাদা কোন কদর দিই নি। আচার-আচরণে একটি বনেদি ভাব থাকলেও আমাদের সাথে সে কখনও তার উচ্চবংশ নিয়ে উচ্চবাচ্য করে নি। সুলতান আর অতীন আমার কলেজ জীবনের সহপাঠি। হাইকোর্টের জৈষ্ঠ্য উকিল অতীন আচার্য্য – আমাদের হাইস্কুলের গণিত শিক্ষক যতীন স্যারের ছেলে। বাকিরা হয় বন্ধুর বন্ধু, অথবা বন্ধুর স্ত্রী। যেমন সুলতানের বন্ধু আলতাফ। আলতাফের স্ত্রী হাসনাহেনা এবং অতীনের স্ত্রী প্রিয়া। শিক্ষাজীবনে তত মিশুক না হলেও কর্মজীবনের যাতাকলে পড়ে আজকাল মনে হয় আমি অনেক সামাজিক হয়ে গেছি। ফলে বন্ধুর বন্ধু অথবা বন্ধুর স্ত্রী, তাদের সাথে ঘনিষ্টতা তৈরিতে বেশি চেষ্টা করতে হয় নি। আলতাফের সাথে আমার ঘনিষ্টতা সুলতানের চেয়েও বেশি। যা হোক, এসব বাদ দিয়ে আসল কথায় আসি।

গাড়িতে ওঠেই সুলতানকে ফোন দিলাম। ফোন ধরেই সুলতান বলে ওঠলো, -“কীরে! এটা কি তুই, নাকি তোর ভূত?”
-“কী যা-তা বলছিস, আমার ভূত আবার কোত্থেকে আসবে? আমি কি মরে গেছি নাকি, যে আমার ভূত কথা বলবে?” আমি বিস্মিত কণ্ঠে বললাম। কিসের মধ্যে কী!
-“আরে মানুষ মরলে হয় প্রেতাত্মা, জীবিত থাকলে হয় ভূত। তুই কি সত্যিই জানিস না?” সুলতান হাসতে হাসতে বললো। যেন ভূতের আলাপ করার জন্যই আমি ওকে কলব্যাক করেছি। ভূত আর প্রেতের অদ্ভুত ব্যাখ্যা শুনেও আমি বিরক্ত হলাম।
-“ফালতু আলাপ বাদ দিয়ে ওরা সবাই এসেছে কিনা সেটা বল আমাকে!” ফোনে আমি আর কথা বাড়াতে চাইলাম না।
-“হুম, অনেক দিন পর আমার এক পুরাতন বন্ধুও এসেছে। তবে আজ আড্ডা হবে না রে। আজ এক জায়গায় জলসায় যোগ দেবো। এজন্যই তোকে ফোন করেছিলাম।”
-“তোরা, মানে তুই এবং ওরা সকলে, মহাখালিতেই আছিস তো এখন?” আমি কথা না বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
-“হুম, তুই যোগ দিলে আমরা আরও আধাঘণ্টা অপেক্ষা করতে পারি।” সুলতান বললো।
-“আমি এসে বলবো।” এই বলে আমি ফোন রেখে দিলাম।

মহাখালি বাজারের পেছনে ‘ছায়ানীড়’ নামের একটি ন’তলা ভবনের চতুর্থ তলায় সুলতানের নিজস্ব বাসা। বিশ্ববিদ্যালয় হল থেকে বের হবার পর তার বাবা তাকে কিনে দিয়েছে। দু’হাজার বর্গফুটের বাসাটি একজন অবিবাহিত এবং বেকার যুবকের জন্য একটু বেমানান হলেও ক্ষয়িষ্ণু জমিদারি টিকিয়ে রাখার জন্য সুলতানের বাবা একাজটি করে দিয়েছে। হয়তো একসময় পরিবারের সকলেই এসে মহাখালির এ বাসায় ওঠবে। আপাতত এটি আমাদের সাপ্তাহিক আড্ডার একমাত্র ঠিকানা। আসলে সাপ্তাহিক নয়, পাক্ষিক বলা যায়, কারণ প্রতি সপ্তাহেই আসা যায় না। মনে হচ্ছে মাসিক হলেই ভালো। সকলেই তো আর সুলতানের মতো বেকার নয়! হাইকোর্টের উকিল অতীন তো বলেই দিয়েছে মাসিক না হলে তার পক্ষে আর আসা সম্ভব নয়। মজার ব্যাপার হলো, সে তবু কোন আড্ডা বাদ দেয় নি আজ পর্যন্ত। আড্ডার আকর্ষণ কে সংবরণ করতে পারে।





২) সুলতানের বসার ঘরের দরজা খুলে দিলেন একজন অপরিচিত ভদ্রলোক। আমি তো আঁতকে ওঠলাম। ইনিই কি সুলতানের সেই পুরাতন বন্ধু? লোকটি আমার দিকে চেনা মানুষের মতোই তাকিয়ে হাসছে। আমি মনে মনে মেলানোর চেষ্টা করলাম। এক হাতে সিগারেটের প্যাকেট, আরেক হাতে এশট্রে এবং একটি জ্বলন্ত সিগারেট ঠোঁটে শক্ত করে চেপে ধরে সুলতান প্রবেশ করলো। সুলতান একজন স্বনামধন্য শেকল-ধূমপায়ী, মানে চেইন স্মোকার।

“পরিচিত করিয়ে দিচ্ছি, এ হলো আমার বন্ধু ধূমকেতু। এর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করবে না!” তারপর আমাকে দেখিয়ে সুলতান বললো, “আর এ হলো আমার গুডিবয় বন্ধু আসলাম। শান্তশিষ্ট এবং লেজবিশিষ্ট।” ওর মন্তব্যে কান না দিয়ে আমি হাসিমুখে হাত বাড়ালাম ধূমকেতুর দিকে, কিন্তু খটকা লাগলো তার নামে। ‘ধূমকেতু’ আবার মানুষের নাম হয় কী করে! আবার কিছু জিজ্ঞেসও করা যাবে না! অন্য কক্ষ থেকে হইহই করতে করতে বের হয়ে এলো অতীন আর তার স্ত্রী প্রিয়া। বন্ধুসুলভ শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ে গেলো, কিন্তু আলতাফ এবং তার স্ত্রীকে না দেখে বিস্মিত হলাম।

‘কিছু জিজ্ঞেস করা যাবে না’ এরকম কথার কারণে আমি আরও বেশি কৌতূহলী হয়ে ধূমকেতুকে লক্ষ্য করতে লাগলাম। অতীন, প্রিয়া আর সুলতানের সাথে আলাপচারিতা চলছে। লোকটির কথা বলার ঢঙ ঠিক আলতাফের মতো। হাসি শব্দচয়ন সবকিছু। তবে সবকিছুর মধ্যে একটি মেকি ভাব প্রকট। যেন নিজেকে আড়াল করতে চাচ্ছে। ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে সুলতান ঘোষণা দিলো আর দেরি নয়, বের হতে হবে। না হলে জলসা শুরুর মজা হারাতে হবে। আমার সাদামাটা গাড়িতে ওঠলো ধূমকেতু আর সুলতানের ঝকঝকে সিলভার রঙের প্রাদো গাড়িতে অতীন আর প্রিয়া। সুলতানের গাড়ি আগে যাবে আমাকে শুধু অনুসরণ করতে হবে। গন্তব্য অজানা!

ইচ্ছে করেই আমি ধূমকেতুকে পেছনের সিটে বসালাম যাতে রিয়ারভিউতে তাকে দেখতে পারি। পাশাপাশি বসলে ঘাড় ঘুরিয়ে মুখ দেখতে হয়, ড্রাইভিং করতে সমস্যা হয়। গাড়ি চলতে শুরু করার সাথে সাথে আমাদের আলাপ শুরু হলো। প্রথমে সৌজন্যতার খাতিরে, পরে এমনিতেই চলতে লাগলো আলাপ। দেশের রাজনীতি, ক্রিকেট, ভারতীয় সিনেমার আগ্রাসন ইত্যাদি নিয়ে। সে-ই সব কথা বলে যাচ্ছিলো। তারই প্রশ্ন তারই উত্তর। তার কিছু কিছু আগ্রাসী মন্তব্যে আমি বারবার থমকে ওঠলাম। কিছুটা ঘোরলাগা কণ্ঠে কথা বলে সে। গভীর রাতে বা নেশাগ্রস্ত হলে মানুষ যেভাবে কথা বলে, ঠিক রেকম। এদেশের রাজনীতি নাকি সমাজের শক্তিশালী কুচক্রিদের দ্বারা মানুষ শোষণের নীতি। ওখানে ভালো মানুষ কেউ নেই! তাছাড়া দেশের সরকার প্রধান ও বিরোধী দলের প্রধানকে নিয়ে এমন কিছু ব্যক্তিগত আক্রমণ করলো, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমার শুধু বারবার মনে হচ্ছিলো সে এদেশের কেউ নয়। কারণ দেশের মানুষের মতো তার মন্তব্যগুলো দায়িত্বশীল ছিলো না। আলাপের এক পর্যায়ে অতীনের কথা আসলে সে প্রিয়া ও অতীনকে জড়িয়ে একটি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য দিলো। প্রিয়া ও সুলতানের মধ্যে একটি ধোঁয়াচ্ছন্ন সম্পর্ক আছে আমি আগেই আঁচ করেছিলাম। কিন্তু ধূমকেতু সেটা দিন তারিখ স্থানসহ বিস্তারিত আমাকে জানিয়ে দিলো। এবার মনে হলো সে আমাদেরই কেউ হয়ে থাকবে। তা না হলে এতো জানবে কী করে?





৩) সুলতানের গাড়ির নম্বর প্লেইট দেখে দেখে মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যেই আমরা গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। ধূমকেতুর সঙ্গে আলাপে এতোই মগ্ন ছিলাম যে, স্থানটি ঢাকা হলেও এর নাম বা অবস্থান ঠিক ঠাওর করতে পারি নি। একটি একতলা বাড়ির গেইট দিয়ে সুলতানের গাড়ি অনুসরণ করে আমিও প্রবেশ করলাম। ডান পাশে একটি অন্ধকার এলাকা, খুব সম্ভব আম বাগান, অতিক্রম করে ডানপাশেই গাড়ি থামালাম। সামনের গাড়ি থেকে সুলতান ও তার সহযাত্রীরা ততক্ষণে ভেতরে প্রবেশ করেছে। ভেতর থেকে মানুষের কলরব শোনা যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো প্রত্যেকেই কথা বলছে। সুলতান আমাকে তাদের সাথে পরিচিত করিয়ে দিচ্ছে। আরও অদ্ভূত নামের কিছু ব্যক্তির সাথে পরিচিত হলাম। যেমন, কানকথা, স্বপ্নবাক, চাঁদের আলো, অশিক্ষিত, ভণ্ডরাজ, হিংস্র মানব ইত্যাদি। এসব কি কারও নাম হতে পারে!

আমি হেঁচকা টানে সুলতানকে বারান্দায় বের করে জিজ্ঞেস করলাম, -“আচ্ছা এই ধূমকেতু চিড়িয়াটি কে রে?”
-“আচ্ছা, তোর কোন ভূত নেই – মানে তুই কি একাই চলাফেরা করিস?” সুলতান পাল্টা প্রশ্ন করলো।
-“মানে কী? ভূত কীভাবে থাকবে? মানুষের ভূত থাকে কী করে? কী হেয়ালি প্রশ্ন! আচ্ছা তোর কোন ভূত আছে?” রাগ করেই আমি জিজ্ঞেস করলাম। মনে হচ্ছে অনেক দিন পর সুলতানের সাথে আমার ঝগড়া হবে।

কোন রকমের প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সুলতান বলতে লাগলো,
-“অবশ্যই আমার ভূত আছে। তাও একটি না, কমপক্ষে সাতটি ভূত আছে আমার। তুই ভূত ছাড়া কীভাবে সমাজে জীবন-যাপন করিস, সেটাই আমি বুঝতে পারছি না! বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে। আচ্ছা কারও সাথে ঝগড়া বা মারামারি করতে হলে তুই কি নিজেই তাদের মুখোমুখি হস?”

আমি তার কথার কিছুই বুঝতে পারছি না, এটি সে বুঝতে পেরে বারান্দার চেয়ারগুলোর একটিতে গিয়ে বসলো এবং আমাকেও ইশারা করলো। এরপর সে আমাকে জানালো যে, অতীনেরও নাকি ঊনিশটি ভূত আছে। ভূতকে আলাদাভাবে দেখার কোন মানেই হয় না। খুবই স্বাভাবিক একটি সামাজিক প্রাণী এবং মানুষের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। সকল শ্রেণীর মানুষেরই ভূত আছে। এগুলোকে বলা যায় প্রতিনিধি ভূত: মানে তারা একজন মানুষের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি হয়ে কাজ করে। মানুষ সবসময় নিজের পক্ষে কথা বলতে পারে না, নিজের পক্ষে শারীরিক সংঘর্ষেও লিপ্ত হতে পারে না। এতে তার ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। ভূত ঠিক ওই কাজটি মানুষকে করে দেয়। এগুলো মানুষের অতিরিক্ত শক্তি বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা ততোধিক সত্ত্বা হিসেবে কাজ করে। কিন্তু নিজের ব্যক্তিত্ব বা ক্ষমতা খাটো হয়ে যাবে বলে কেউই তা স্বীকার করে না। তারা বলে বেড়ায়, ‘পৃথিবীতে ভূত বলে কিছু নেই’।

তবে যারা চালাক তারা বলে, ‘মানুষই ভূত, ভূতই মানুষ’। অথবা বলে ‘ভূতকে ঢালাওভাবে সমালোচনা বা ঘৃণা করা ঠিক নয়, কারণ প্রত্যেকটি ভূতের আড়ালে লুকিয়ে আছে একজন মানুষ।’ আসলেই তাই, ভূত খারাপ কাজ না করলে কেন তাদেরকে হেয় করতে হবে? খারাপ হলে তো মানুষও পরিত্যজ্য। ভূত হলে তো কোন কথাই নেই।

পেশাগত জীবনে ভূতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যেমন অতীনের কয়েকটি ভূত কেবল আদালত প্রাঙ্গণে আর ওকালতি কাজেই ব্যবহৃত হয়। তার ফৌজদারি মামলাগুলোতে সাক্ষী হিসেবে আছে দশজন প্রশিক্ষিত ভূত। মামলা শুনানির সময় দর্শক সারিতে থাকে কমপক্ষে তিনচারজন ভূত, তাদের কাজ হলো আকার-ইঙ্গিত, হাসি, কান্না, হাততালি ইত্যাদি দিয়ে মালিক উকিলের বক্তব্যকে সমর্থন করা। তবে সাক্ষি ভূতগুলো তার কর্মজীবনকে সহজ করে দিয়েছে। বাকিগুলো সামাজিক কাজে। তবে এসব নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা ঠিক নয়।





৪) ভূত পুষলে সেটি গোপনে রাখারও কৌশল জানতে হয়। কথায় কথায় বলতে হয়, ‘আমি ভূতে বিশ্বাস করি না’। তখন বুঝতে হবে, ওই ব্যক্তির কমপক্ষে পঞ্চাশটি ভূত আছে। তাছাড়া যুক্তির ব্যবহার করতে হবে। যেমন: ‘এ বিজ্ঞানের যুগে ভূত বলে কেউ নেই’ এটি একটি শক্তিশালী যুক্তি।


ভেতরে সবকিছু শান্ত। কোন হইহুল্লা আসছে না। মনে হয় অনুষ্ঠান শুরু হবে। সুলতানের মধ্যে একটি অস্থিরতা দেখতে পেলাম। তবু সে আমাকে তা বুঝতে না দিয়ে, হঠাৎ জিজ্ঞেস করে বসলো,
-“আচ্ছা, মনে হচ্ছে তুই কিছুটা বুঝতে পেরেছিস। এবার বল তো, রাজনীতিবিদদের জন্য ভূতের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কখন?”
-“নির্বাচনের দিন অথবা কোন নির্বাচনী সভায়।” আমি যেন বিশ্বাসই করে ফেলেছি যে ভূত আছে।
-“এই তো ধরে ফেলেছিস! তবে প্রথম উত্তরটিই সঠিক। এবার চল ভূতের পার্টিতে। আরও বুঝতে পারবি।”

[৭ মে ২০১৩]


------------------------
বন্ধ হওয়া পাবলিক ব্লগ থেকে স্থানান্তরিত।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×